1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্রিটিশ নির্বাচন: একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছে না কোন দল

৭ মে ২০১০

ব্রিটিশ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির চেয়ে এগিয়ে রয়েছে প্রধান বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টি৷ সময় যত যাচ্ছে ততই ডেভিড ক্যামেরনের দিকে ঝুঁকছে বিজয়ের পাল্লা৷ অন্যদিকে সবচেয়ে বেশি হতাশ করছে লিবারেল ডেমোক্রেটরা৷

https://p.dw.com/p/NGft
ডেভিড ক্যামেরনছবি: AP

বৃহস্পতিবারের ভোট গ্রহণের পর এক্সিট পোলের হিসাবে দেখা গেছে যে ডেভিড ক্যামেরনের নেতৃত্বে কনজারভেটিভ পার্টি এগিয়ে আছে ৩০৭ টি আসনে৷ অন্যদিকে লেবার পার্টির প্রার্থীরা এগিয়ে আছে ২৫৫ টিতে৷ আর লিবারেল ডেমোক্রেটরা এগিয়ে আছে ৬১ টি আসনে৷ বুথ ফেরত ১৮ হাজার ভোটারের ওপর এই সমীক্ষা চালানো হয়৷ ইতিমধ্যে ফলাফল ঘোষণা শুরু হয়েছে৷ শুরুতে লেবার পার্টি এগিয়ে থাকলেও সময় যত যাচ্ছে ততই দেখা যাচ্ছে এক্সিট পোলের হিসাবই সঠিক বলে প্রমাণিত হচ্ছে৷ অর্থাৎ ক্যামেরনের দলই বিজয়ী হতে চলেছে৷ এদিকে ৬৫০ আসন বিশিষ্ট ব্রিটিশ হাউস অব কমন্সের কমপক্ষে ৩২৬ টি আসন প্রয়োজন সরকার গঠনের জন্য৷ কিন্তু এক্সিট পোলের হিসাবে দেখা যাচ্ছে যে কনজারভেটিভ পার্টি তা অর্জন করতে সক্ষম হবে না৷ এই অবস্থায় ঝুলন্ত সংসদের সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে যা আগে থেকেই ধারণা করে আসছিলেন পর্যবেক্ষকরা৷

Großbritannien Wahlen - Gordon Brown mit seiner Ehefrau
স্ত্রী সারাহ-র সঙ্গে ব্রাউনছবি: AP

লিবারেল ডেমোক্রেটদের দুর্দশা

এদিকে নির্বাচনী বিতর্কে বেশ সাড়া জাগালেও লিবারেল ডেমোক্রেটরা ভোটারদের আস্থা অর্জনে শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছে৷ এই ব্যাপারে লন্ডন প্রবাসী বিশিষ্ট সাংবাদিক আবদুল গাফফার চৌধুরী বলেন, নির্বাচনী বিতর্কের শুরুর দিকে লিবারেল ডেমোক্রেটদের পক্ষে একটা জনমত দেখা গিয়েছিল মূলত নিক ক্লেগের ব্যক্তিত্বের কারণে৷ কিন্তু পরবর্তী বিতর্কগুলোতে তিনি আর সেটা ধরে রাখতে পারেননি৷ তাছাড়া লেবার পার্টির অবস্থা ভালো না হলেও কনজারভেটিভ পার্টির বদলে লিবারেল ডেমোক্রেটরা যে বর্তমান আর্থিক দুরবস্থা কাটিয়ে উঠাতে সক্ষম হবে সেটি বোধহয় জনগণ বিশ্বাস করতে পারেনি৷ শেষ দিকে তাদের মনে হয়েছে দ্বিদল ভিত্তিক রাজনীতিতে কনজারভেটিভ পার্টিকেই তারা আরেকটি সুযোগ দেবে৷

গাফফার চৌধুরী আরও বলেন, লিবারেল ডেমোক্রেটরা ইরাক যুদ্ধের বিরোধীতার কথা ও আফগানিস্তান থেকে সেনা ফিরিয়ে আনার কথাও বলেছে, এর বাইরে অভিবাসীদের বেলায় তাদের নীতি উদার থাকবে সেটাও বলেছে৷ কিন্তু আর্থিক মন্দা দূর করার ব্যাপারে কোন নিশ্চয়তার ধারণা তারা জনগণের মনে তৈরি করতে পারেনি৷

Großbritannien Wahlen - Nick Clegg und seine Ehefrau
স্ত্রী মিরিয়ামের সঙ্গে নিক ক্লেগছবি: AP

সরকার গঠনের প্রক্রিয়া

ব্রিটেনের নিয়ম অনুযায়ী সরকার গঠনের জন্য প্রথম সুযোগটি পান ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী৷ এই অবস্থায় নির্বাচনের পর সরকার গঠনের সুযোগ পাবেন গর্ডন ব্রাউন৷ এক্সিট পোলের হিসাব যদি বজায় থাকে তাহলে তাকে সরকার গঠনের জন্য জোট বাঁধতে হবে৷ নয়তো মাইনরিটি বা সংখ্যালঘিষ্ঠ সরকার গঠন করতে হবে৷ তবে সেই সরকারকে অবশ্যই হাউস অব কমন্সের অনুমোদন পেতে হবে যেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে যাচ্ছে কনজারভেটিভ পার্টি৷ গর্ডন ব্রাউন সরকার গঠনে ব্যর্থ হলে ব্রিটেনের রাণী ডেভিড ক্যামেরনকে সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানাবেন৷ তবে প্রয়োজনীয় ৩২৬টি আসন লাভে ব্যর্থ হলে ক্যামেরনকেও জোট গঠনের দিকে এগুতে হবে, নয়তো সংখ্যালঘিষ্ঠ সরকার গঠন করতে হবে৷ এদিকে জানা গেছে, ব্রাউনের মন্ত্রিসভার অনেক সদস্যই এখন লিবারেল ডেমোক্রেটদের সঙ্গে জোট করার পরামর্শ দিচ্ছেন৷

প্রতিবেদক: রিয়াজুল ইসলাম, সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম