1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্রেমেনকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে জার্মান কাপ জিতল বায়ার্ন

১৬ মে ২০১০

ব্রেমেনকে চার শূন্য হারিয়ে জার্মান কাপটাও ঘরে তুলে নিল বায়ার্ন মিউনিখ৷ পুরো খেলায় সোজা হয়ে দাঁড়াতেই পারে নি ব্রেমেন৷ এই বায়ার্ন দলটার আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে বললে ভুল হবে না৷

https://p.dw.com/p/NP2z
কাপ হাতে বায়ার্নের অধিনায়ক মার্ক ফান বমেলছবি: AP

এ বছর কী ত্রিমুকুট মাথায় উঠবে বায়ার্ন মিউনিখের? শনিবার বার্লিন স্টেডিয়ামে ভ্রেডা ব্রেমেনকে যেভাবে হাসতে হাসতে ৪-০ উড়িয়ে দিল বায়ার্ন, তারপর এই প্রশ্নটা জার্মানির ফুটবল মহলে অবশ্যই উড়ে বেড়াচ্ছে৷ আগামী শনিবার ২২ মে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে বায়ার্ন খেলবে ইন্টার মিলানের বিরুদ্ধে৷ নয় বছর পর চ্যাম্পিয়নস লিগটাও যদি বায়ার্নের ঘরে ওঠে তাহলে তো বছরের প্রথম পাঁচমাসের মধ্যেই ত্রিমুকুট বায়ার্নের শিরে৷ কারণ, বুন্দেসলিগার সেরার তকমা বায়ার্নের জুটে গেছে আগেই৷

শনিবারের খেলাটায় প্রথম গোলটা বায়ার্ন পেয়ে যায় পেনাল্টি থেকে৷ ব্রেমেনের ডিফেন্ডার ম্যাটেসাকরার হাতে বল লাগে পেনাল্টি এরিয়াতেই৷ বাঁ পায়ের জোরালো শটে গোল দিয়ে যান আর্জেন রবেন৷ প্রথমার্দ্ধ পর্যন্ত ফলাফল ছিল সেই ১-০৷

DFB-Pokalfinale Werder Bremen gegen Bayern München
সাফল্যের জোয়ারে ভাসছে এবার বায়ার্ন মিউনিখছবি: AP

দ্বিতীয়ার্দ্ধের ৫১ মিনিটে রবেনেরই কর্নার কিক ধরে নিয়ে দ্বিতীয় গোলটা ব্রেমেনের জালে জড়িয়ে দেন ইভিতচা ওলিচ৷ ৬৩ মিনিটে ব্রেমেনের কাউন্টার অ্যাটাক থেকে বল ছিনিয়ে নিয়ে তিন নম্বর গোল করেন ফ্রাঙ্ক রিবেরি৷ ৭৭ মিনিটের মাথায় ব্রেমেনের মাথা গরম ক্যাপ্টেন টর্স্টেন ফ্রিঞ্জ সোয়াইনস্টাইগারকে বাজে ফাউল করলে রেফারির হলুদ লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন৷ এরপর ওই সোয়াইনস্টাইগারই ব্রেমেনের জালে জড়িয় দিয়ে যান চার নম্বর গোলটা৷ খেলা তখন ৮৩ মিনিটে৷

জার্মান কাপের ফাইনালে যেভাবে ব্রেমেনকে হারাল বায়ার্ন, তাতে সেই আত্মবিশ্বাস বজায় রাখতে পারলে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালটাও বেশ আসান হয়ে যাবে বলে ধারণা ফুটবল বোদ্ধাদের৷ আসলে অনেকদিন পর জার্মানির সেরা দল আবার বেশ চাগিয়ে উঠেছে বলেই মনে হচ্ছে৷ অন্তত শনিবারের পর সেটাই হয়তো হবে সবপক্ষের বক্তব্য৷ এই চাগিয়ে ওঠাটাকে ধরে রাখতে হবে, এই বক্তব্যও একইসঙ্গে শোনা যাচ্ছে৷ তবেই আসবে এই মরশুমে ত্রিমুকুটের সাফল্য৷ বায়ার্নের জন্য৷

প্রতিবেদন: অরুণাভ চৌধুরী

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়