1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্র্যাডম্যানের প্রশংসাধন্য বোলার বেডসার চলে গেলেন

৬ এপ্রিল ২০১০

ডন ব্র্যাডম্যান যাঁর বোলিং-কে বিশ্বের অন্যতম ‘সৃজনশীল’ বলে ব্যাখ্যা করেছিলেন, সেই অ্যালেক বেডসার চলে গেলেন৷ বয়স হয়েছিল, ৯১৷

https://p.dw.com/p/MoGZ
বল ডেলিভারি দেওয়ার পরের মুহূর্তে, অ্যালেক বেডসারছবি: picture alliance / empics

ক্রিকেটের সর্বকালীন কিংবদন্তি স্যার ডন ব্র্যাডম্যান তাঁর ক্রিকেট কেরিয়ারে মুখোমুখি হওয়া শ্রেষ্ঠ শৈল্পিক এবং ছন্দোময় বোলার বলে মনে করতেন তাঁকে৷ সবথেকে বেশি, মোট ছয়বার ব্র্যাডম্যানের উইকেট তুলেছিলেন ব্রিটিশ ক্রিকেটার অ্যালেক বেডসার৷ নিজেও জীবদ্দশায় কিংবদন্তিই ছিলেন৷ সারে কাউন্টির ক্রিকেটার বেডসার প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট খেলেছেন ২১ বছর৷ ঝুলিতে ছিল ২৩৬টি উইকেট, খেলেছেন ৫১টি টেস্ট ম্যাচ৷ সবচেয়ে বিস্ময়কর ছিল তাঁর ক্রিকেট গড়৷ খেলা যখন ছেড়ে দিলেন, তখন তাঁর গড় ছিল ৯৯.৯৪৷

মিডিয়াম পেস বোলিং-এ দেখবার মত ছিলেন বেডসার৷ প্রত্যেকটা বল অন্যরকম৷ ব্যাটসম্যানের পক্ষে অসম্ভব হয়ে যেত আন্দাজ করা পরের বলটা কী হতে চলেছে৷ সারে কাউন্টিতে বেডসারের একদা সতীর্থ মিকি স্টুয়ার্টের এই মন্তব্য মঙ্গলবার প্রকাশ করেছে কাউন্টি ক্লাবের ওয়েবসাইট (www.britoval.com)৷

Don Bradman
স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের পছন্দের বোলার ছিলেন বেডসারছবি: picture-alliance / KPA/TopFoto

সেই ১৯৪৬ সালে ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট খেলতে নেমে নিজের ক্রিকেট জীবন শুরু করা বেডসার প্রথম ম্যাচ থেকেই আকর্ষণ করে নেন দর্শক এবং রসজ্ঞদের মনোযোগ৷ যমজ ভাই এরিক বেডসারের সঙ্গে ইংল্যান্ড দলে বেডসার যুগ ছিল একটা বর্ণময় ব্যাপার৷ সারে কাউন্টি দলের চিফ এক্জিকিউটিভ পল শেলডনের মতে, বেডসারের মৃত্যু একটি যুগের ওপর যবনিকা টেনে দিল৷ ক্রিকেটিয় পরিভাষায় শেলডন বলছেন, আসলে বেডসার ভাইরা লক্ষ লক্ষ মানুষকে আনন্দ দিতে যে ইনিংস খেলেছেন, এই মৃত্যু সেই ইনিংস শেষ হয়ে যাওয়াই৷

বেডসারকে নিয়ে একটা দারুণ গল্প আজও জানে ইংল্যান্ডের মানুষ৷১৯৪৬ সালে ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট খেলতে নেমে একাই ১১টা উইকেট তুলে নিয়েছিলেন অ্যালেক বেডসার৷ দারুণ হৈচৈ, প্রশংসা ইত্যাদির মাঝে খবরের কাগজের লোকজন সোজা গিয়ে হাজির হয় তাঁর বাড়িতে৷ বেডসারের মায়ের কাছে জানতে চাওয়া হয় তাঁর প্রতিক্রিয়া৷ জবাবে বেডসারের মা বলেন,‘বোলার হিসেবে এটাই তো আমার ছেলের কাজ, প্রতিপক্ষকে আউট করা৷ আর খেলতে নেমে অ্যালেক সেই কাজটাই করেছে৷ তাই না ?’

প্রতিবেদক : সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা : দেবারতি গুহ