1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতের আত্মবিশ্বাসে টান, শ্রীলংকার জয়

৮ মে ২০১০

শিরোনাম দেখে ভেবে বসবেন না, ভারত-শ্রীলংকা খেলেছিল৷ আসলে দুই দল খেলেছে অন্যদের সঙ্গে৷ একটিতে হেরেছে ভারত, অন্যটিতে জিতেছে শ্রীলংকা৷ কিন্তু দু’দলই যে দক্ষিণ এশিয়ার! তাই শিরোনামে তাদের সহাবস্থান৷

https://p.dw.com/p/NJ6v
ধোনিছবি: AP

আত্মবিশ্বাসী ভারত বলছি এজন্য যে, অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খানিকটা পরীক্ষা করতে গিয়ে হেরেছে দলটি৷ নইলে ভারতের আইপিএল জয়ী অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি কেন বারবাডোজের ফাস্ট বোলারদের পিচে হরভজন সিংকে দিয়ে শুরু করেছিলেন?

হ্যাঁ, হরভজন তাঁর ঘূর্ণি জাদু দিয়ে প্রথম ওভারটি রান শূন্য রেখেছিলেন ঠিকই, কিন্তু তাতে কি শেষ রক্ষা হলো? মোটেই না, বরং ১০ ওভারে অস্ট্রেলিয়া তুলেছে ৯৫ রান৷ চমকাবেন না, এই রান তুলতে একটি উইকেটও খোয়াতে হয়নি দলটিকে৷ বরং ভারতের বোলারদের তুলাধুনা করে ছেড়েছে উদ্বোধনী জুটি৷ শেন ওয়াটসনের সংগ্রহ ৫৪ রান, অন্যদিকে ডেভিড ওয়ার্নার করেন ৭২৷ অবশ্য শেষ চার ওভারে মাত্র ২৩ রান তুলতে পেরেছিল অস্ট্রেলিয়া৷ তাই পাঁচ উইকেট হারিয়ে দলটির সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৮৪ রান৷

ব্যাটিংয়ে শক্তিশালী ভারতের জন্য ১৮৪ রান অতিক্রম করা অসম্ভব না হলেও, অস্ট্রেলিয়ার শর্টপিচ বোলিং শুরুতেই বিপদে ফেলে দলটিকে৷ মাত্র ২৩ রান তুলতেই ভারত হারায় চার উইকেট৷ অবিশ্বাস্য ঠেকছে? কি করবেন বলুন, ব্যাটিং নিয়ে গর্বিত ভারত অল আউট ১৩৫ রানে! আর এই রানের অর্ধেকের বেশি এসেছে একজনের ব্যাট থেকে, রোহিত শর্মা৷ ৪৬ বল খেলে তিনি অপরাজিত ছিলেন ৭৯ রানে৷ কিন্তু শুধু একজনই কি আর দলকে জেতাতে পারে?

আরেকটি লাইন না লিখলেই নয়, ভারতের ব্যাটিং লাইন আপে এমন ধস কিন্তু নামিয়েছে ফাস্ট বোলাররা, স্পিনাররা নয়৷ তাই ধোনি কেন এমন মাঠে স্পিনার দিয়ে শুরু করতে গিয়েছিলেন, সেটাই বড় প্রশ্ন৷

অবশ্য ভারত হারলেও সুপার এইটের অপর ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তুলাধুনা করে জিতেছে শ্রীলংকা৷ মহেলা জয়বর্ধনের অপরাজিত ৯৮ রানের উপর ভর করে শ্রীলংকার সংগ্রহ ১৯৫৷ জবাবে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ আট উইকেট খরচ করে তুলেছে মাত্র ১৩৮ রান৷ বুঝতেই পারছেন, ৫৭ রানের বিশাল জয় শ্রীলংকার৷

এবার বলুন, বিশ্বকাপের ছোট আসরে সম্মিলিত দক্ষিণ এশিয়াকে হারানো কি এত সহজ? যেখানে কিনা বারো দলের পাঁচটিই এসেছে এই মুল্লুক থেকে৷

প্রতিবেদক: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী