1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতের চলতি জনগণনায় জাত-তথ্য অন্তর্ভুক্ত হবে

১২ আগস্ট ২০১০

জনগণনায় জাত-পরিচয় অন্তর্ভুক্ত করতে, অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে গঠিত মন্ত্রিগোষ্ঠী সবুজ সঙ্কেত দিয়েছেন৷ স্থির হয়েছে, জাত-তথ্য নেয়া হবে জাতীয় জনসংখ্যা রেজিস্টারের বায়োমেট্রিক পর্যায়ে৷

https://p.dw.com/p/Om1L
ভারতের অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ছবি: UNI

জাতীয় জনগণনায় জাত-পরিচয় জানা জরুরি কিনা তা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়৷ এর পক্ষে বিপক্ষে নানা যুক্তি খাড়া করা হয়৷ বিরুদ্ধবাদীরা বলেন, এতে দেশ জাতপাতের লাইনে আরো বিভাজিত হবে৷ দ্বিতীয়ত, সরকারি সুযোগ সুবিধা নিতে অনেকে আবার জাত নিয়ে জালিয়াতি করতে পারে৷ নীচু জাতে নাম লেখাতে পারে৷ ফলে প্রকৃত পরিসংখ্যানে গলদ থাকার সম্ভাবনা৷৷ জাত-পরিচয় জানার পক্ষে যাঁরা, তাঁদের মতে এতে সরকারি নীতি রচনায় সুবিধা হবে৷ আর্থ-সামাজিক অবস্থায় পরিবর্তন আনা যাবে৷ বেসরকারি বাণিজ্যিক সংস্থাগুলির পক্ষে তাদের পণ্যের বাজার চিহ্নিত করতে সুবিধা হবে৷

চলতি জনগণনায় ব্যক্তিগত পরিসংখ্যান যেহেতু নেয়া হয়েছে, তাই জাত-তথ্য নেয়া হবে বায়োমেট্রিক পর্যায়ে৷ ঐ সময় ১৫ বছরের ওপর সব নাগরিকের ফটো, আঙ্গুলের ছাপ নেয়ার সঙ্গে জাত-তথ্য নেয়া হবে৷ সেই সব তথ্য ও পরিসংখ্যান বিশ্লেষন করে তার ডেটা তৈরি করা হবে৷ তার ভিত্তিতে, ১২০ কোটি জনসংখ্যার এই দেশে জাতপাতের সংখ্যা এবং তাদের শ্রেণী বিন্যাস নতুন জাতীয় জনগণনা রেজিস্টারে নথিভুক্ত করা হবে৷ কিন্তু বায়োমেট্রিক পর্যায়ে তা নেবার বিরোধিতায় বৃহস্পতিবার সংসদে সরব হয় জাত-তথ্য সমর্থক এসপি ও আরজেডি সাংসদরা৷ তাঁদের অভিযোগ সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে এই কাজে বিলম্ব করতে চাইছে৷ জাত-ভিত্তিক জনগণনা প্রথম হয়েছিল ১৯৩১ সালে৷ সেই তথ্যের ভিত্তিতে আজও জাত-পরিচয়ের হিসেবনিকেশ করা হয়৷

BdT Indien Kastenkrieg in Wüstenstaat Rajasthan
জাত-ভিত্তিক জনগণনা প্রথম হয়েছিল ১৯৩১ সালেছবি: AP

জনগণনার কাজ শেষ হবে ২০১১ সালের মাঝামাঝি৷ আগামী বছর ২৫ লাখ সেন্সাস কর্মি সাত হাজার শহর ও ছয় লাখ গ্রামের বাড়ি বাড়ি যাবে৷ এই কাজের জন্য কাগজ লাগবে ১১ লাখ টন৷খ রচ হবে ছয় হাজার কোটি টাকা৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ