1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সুষমার কাছে প্রত্যাশা

হারুন উর স্বপন, ঢাকা২২ জুন ২০১৪

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ২৫ জুন তিন দিনের সফরে ঢাকা আসছেন৷ ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তর শনিবার এই তথ্য জানানোর পর তাঁর সফর নিয়ে বাংলাদেশে ব্যাপক আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/1CNaH
Symbolbild Grenze Indien Bangladesh
প্রতীকী ছবিছবি: AFP/Getty Images

বিশ্লেষকরা বলছেন, সুষমা পারেন ভারতের নতুন সরকার নিয়ে বাংলাদেশে যে ভয় আছে তা কাটিয়ে দিতে৷ আর ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে এই সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে৷

সুষমা স্বরাজ তিনদিনের সফরে ২৫ জুন ঢাকায় আসবেন৷ আর ঢাকা ছেড়ে যাবেন ২৭ জুন৷ বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর আমন্ত্রণে শুভেচ্ছা সফরে তিনি বাংলাদেশে আসছেন৷

ভারতে বিজেপি সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর সুষমা স্বরাজই প্রথম মন্ত্রী হিসেবে বাংলাদেশ সফর করছেন৷ বাংলাদেশের যদিও প্রত্যাশা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রথম বিদেশ সফর হবে বাংলাদেশে৷ তবে তিনি ভুটানকেই বেছে নিয়েছেন৷

Indien Sushma Swaraj
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজছবি: AP

বাংলাদেশ সফরের সময় সুষমা বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর সঙ্গে বৈঠক করবেন৷ এ ছাড়া তিনি রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত্‍ করবেন৷ তবে তিনি বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে কোন বৈঠক করবেন কিনা তা এখনো জানা যায়নি৷ সফরকালে তিনি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক নানা বিষয়ে আলোচনা করবেন৷ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘‘এই সফর ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ককে আরে সুদৃঢ় করবে৷''

সুষমা স্বরাজের সঙ্গে নীতি নির্ধারক ও ব্যবসায়ী এবং শিল্পপতিদের প্রতিনিধিরাও ঢাকায় আসবেন৷

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ-এর বাংলাদেশ সফরকে দুই দেশের জন্যই একটি সুযোগ হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক ড. শান্তনু মজুমদার ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘ভারতের মোদী সরকার নিয়ে বাংলাদেশে এক ধরনের ভয় কাজ করছে৷ সুষমা তাঁর এই সফরে সেই ভয় কাটিয়ে দিতে পারেন৷''

জানা গেছে, সুষমার বাংলাদেশ সফরে স্থল সীমান্ত চুক্তি প্রাধান্য পাবে৷ ভারত এ ব্যাপারে মোটামুটি সিদ্ধান্ত নিয়েই রেখেছে৷ তারা চাইছে এই চুক্তিটি করে ফেলতে৷ আর বাংলাদেশ থেকে পণ্যবাহী যানবাহন ভারতে প্রবেশের সুযোগ দেয়া হতে পারে৷ বিনিময়ে বাংলাদেশ যদি ভারতীয় পণ্যবাহী যানবাহন বাংলাদেশেও ঢুকতে নাও দেয় তাতেও আপত্তি থাকবেনা৷ কারণ ভারত মনে করে এতে তাদের বাংলাদেশ থেকে পণ্য পরিবহণের খরচ কমে যাবে৷ এই বিষয়ে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে একাধিক খবরও প্রকাশ পেয়েছে৷

বাংলাদেশের তরফে তিস্তার পানি বণ্টন, সীমান্ত হত্যা, ভারতের আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প এবং বন্দি বিনিময়কে প্রাধান্য দেয়া হবে বলে জানা গেছে৷

ড. শান্তনু মজুমদার বলেন, ‘‘ভারতের সঙ্গে বিভিন্ন ইস্যুতে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার সময় বাংলাদেশকে দক্ষতার পরিচয় দিতে হবে৷ এটা কোন বিনিময় বা মান-অভিমানের বিষয় নয়৷ প্রত্যেকটি বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত এবং যুক্তি দিয়ে আলোচনা করলেই সুফল পাওয়া যেতে পারে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য