1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতের নির্ভরযোগ্য কৌশলগত সহযোগী রাশিয়া : পুটিন

১২ মার্চ ২০১০

নতুন দিল্লি সফররত রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ভ্লাডিমির পুটিন ভারত-রুশ কৌশলগত সম্পর্ককে সুসংহত করতে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং-এর সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন৷ স্বাক্ষরিত হয় ৫টি চুক্তি৷

https://p.dw.com/p/MRa0
প্রেসিডেন্ট প্রতিভা পাটিলের সঙ্গে বৈঠকরত পুটিনছবি: UNI

ভারত-রুশ কৌশলগত সম্পর্কের অন্যতম স্থপতি রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ভ্লাদিমির পুটিন তাঁর নতুন দিল্লি সফরে শুধু দ্বিপাক্ষিক ইস্যু নয়, গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যু নিয়েও আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং-এর সঙ্গে৷ বৈঠক শেষে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে রুশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য কৌশলগত পার্টনার হলো রাশিয়া৷ স্বাক্ষরিত হয় ৫টি চুক্তি৷ অসামরিক পরমাণু সহযোগিতা চুক্তি থেকে মহাকাশ প্রযুক্তি, উপগ্রহ নেভিগেশন সিস্টেম গ্লোনাস৷ জঙ্গি বিমান থেকে বিমানবাহী রণতরি, তথ্যপ্রযুক্তি থেকে সমরাস্র সরবরাহ চুক্তি৷ উল্লেখ্য, বিমানবাহী রণতরি গর্সকভের বর্ধিত দাম নিয়ে যে মতান্তর চলছিল তা মিটে গেছে৷ ভারত বর্ধিত দাম দিতে রাজি হয়েছে৷ ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে প্রতিরক্ষা বাণিজ্য শুধু ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই৷ প্রযুক্তি হস্তান্তরসহ যৌথ উদ্যোগে তা তৈরিও হবে ভারতে৷

পর্যবেক্ষকদের মতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অসামরিক পরমাণু চুক্তি সই হবার পর ভারতের পরমাণু বাজার রাশিয়ার হাত থেকে কেড়ে নিতে সক্রিয় মার্কিণ যুক্তরাষ্ট্র৷ রাশিয়া কোনমতেই তা হতে দিতে রাজি নয়৷ ভারতের চিরাচরিত জমি ফিরে পেতে ১২টি পরমাণু চুল্লি সরবরাহ করার প্রস্তাব দিয়েছে পুটিন৷ উল্লেখ্য, কুড়ামকুলামে রাশিয়ার সরবরাহ করা প্রথম পরমাণু চুল্লি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে এই গ্রীষ্মেই৷ পশ্চিমবঙ্গের হরিপুরে প্রস্তাবিত পরমাণু কেন্দ্রের জন্যও রিয়েক্টর দেবার কথা রাশিয়ার৷ কিন্ত নন্দীগ্রাম ধাঁচে হরিপুরেও পরমাণু কেন্দ্র স্থাপনের বিরোধিতা করছে তৃণমূল কংগ্রেস৷

আফগানিস্থান পরিস্থিতি দুদেশের কাছে গুরুত্বপূর্ণ৷ এই প্রসঙ্গে জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর পলিটিক্যাল স্টাডিজের অধ্যাপক অশ্বিনী কুমার রায় ডয়চে ভেলেকে বলেন, আজ না হয় কাল আফগানিস্তান থেকে পাততাড়ি গুটাতে হবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো বাহিনীকে তখন সেখানে রাশিয়া, ভারত ও ইরানের ভূমিকার পরিবর্তন হতে পারে৷

প্রতিবেদক : অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি

সম্পাদনা : সাগর সরওয়ার