1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে মোরাটোরিয়ামের আহ্বান

২ এপ্রিল ২০১১

জাপানে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ার পর পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে বিতর্ক সারাবিশ্বে৷ এরই মধ্যে ভারতের সব পরমাণু কেন্দ্রের বিষয়ে মোরাটোরিয়ামের ডাক দিলেন সেদেশের শীর্ষ বিজ্ঞানী৷

https://p.dw.com/p/10mTy
ছত্তিশগড়ের পারমাণবিক স্থাপনাছবি: DW

ফুকুশিমা পরমাণু কেন্দ্র থেকে ছড়িয়ে পড়া তেজস্ক্রিয়তার ব্যাপকতা নিয়ে হুমকির মুখে ঐ অঞ্চলের মানুষ৷ একইসাথে পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিপাকে পড়েছে জাপান সরকার৷ ফুকুশিমার ঘটনা বিশেষভাবে নাড়া দিয়েছে জার্মানিতে চলমান পারমাণবিক কর্মসূচির ভবিষ্যৎ নিয়ে বিতর্ককে৷ এমনকি ইতিমধ্যে বেশ বড়-সড় পরমাণু বিরোধী বিক্ষোভও হয়েছে সেখানে৷ স্থানীয় নির্বাচনেও বেশ বড় ইস্যু হয়েছে জার্মানির পরমাণু স্থাপনাগুলোর ভবিষ্যৎ নিয়ে নীতিমালা৷

এ অবস্থায় জাপানের ঘটনাকে সতর্কবার্তা হিসেবে গ্রহণ করে সারাবিশ্বে পরমাণু কর্মসূচির নিরাপত্তা নীতি সংস্কারের ডাক দেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলা সার্কোজি৷ আর এবার ভারতের শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানী এবং প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং এর বিজ্ঞান বিষয়ক উপদেষ্টাদের অন্যতম পি বালারাম ভারতের সকল পরমাণু স্থাপনার কার্যক্রম মুলতুবি রাখতে ঐকমত্যের ডাক দিলেন৷

ভারতীয় বিজ্ঞান ইন্সটিটিউট এর পরিচালক পি বালারামের লেখা এ সংক্রান্ত একটি চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন সেদেশের আরো ৫০ জন শীর্ষ ব্যক্তিত্ব৷ চিঠিতে তাঁরা বলেন, ‘‘আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, ভারতকে অবশ্যই তার পরমাণু জ্বালানি নীতি মৌলিকভাবে সংস্কার করতে হবে৷'' চিঠিতে সরকারের প্রতি সকল পরমাণু কেন্দ্রে প্রভাবমুক্ত ও স্বচ্ছ নিরীক্ষণ চালানোর জন্য আহ্বান জানানো হয়৷

চিঠিতে স্বাক্ষরকারী অন্যান্য শীর্ষ ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন ভারতের পারমাণবিক শক্তি নিয়ন্ত্রণকারী পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এ গোপালাকৃষ্ণান, নৌবাহিনীর সাবেক প্রধান এল রামদাস, সাবেক জ্বালানি সচিব ই এ এস শর্মা এবং সাবেক জাতিসংঘ দূত নিরুপম সেন৷ প্রসঙ্গত, পারমাণবিক প্রযুক্তির জন্য বিশ্বের বৃহত্তম বাজারগুলোর একটি ভারত৷ দেশটি বর্তমানে তার পরমাণু কেন্দ্রগুলি থেকে ৪,৫৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে৷ ২০৩২ সাল নাগাদ এই কর্মসূচির সম্প্রসারণ করে ৬৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়ে এগুচ্ছে ভারত৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী