1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতের বিদায়, শ্রীলঙ্কা সেমিফাইনালে

১২ মে ২০১০

বিশ্ব টোয়েন্টি-টোয়েন্টিতে সুপার এইট পর্যায়ে তৃতীয় পরাজয়ের পর ভারতকে বিদায় নিতে হল৷ অপরদিকে অস্ট্রেলিয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ছয় উইকেটে হারানোর পর শ্রীলঙ্কা সেমিফাইনালে৷

https://p.dw.com/p/NLgV
ফাইল ফটোছবি: AP

ভারতের পক্ষে লজ্জাকর বৈকি৷ টোয়েন্টি-টোয়েন্টি মানেই তো আইপিএল, এবং সেই আইপিএল'এর দেশ তো ভারত৷ কাজেই আর্থিক সাফল্য এবং রাজনৈতিক প্রভাবের বিচারে তারাই রাজা৷ কিন্তু ক্রিকেট আবার একটা খেলাও বটে এবং তার একটা নিজস্ব লজিক আছে৷ একটি টুর্নামেন্ট জুড়ে কোনো দলের প্রথম ছ'জন ব্যাটসম্যান যদি গড়ে ৮৪ রান করে, তাহলে তাদের পক্ষে জেতা মুশকিল হয়ে ওঠে৷ ভারতের ক্যাপ্টেন এম এস ধোনি সেটা ভালো করেই জানেন৷ ধোনি বলেছেন: ‘‘সব মিলিয়ে ব্যাটিং হল আমাদের শক্তি এবং সেক্ষেত্রে আমাদের আরো ভালো করা উচিৎ ছিল৷ আমরা আমাদের সম্ভাবনা অনুযায়ী খেলিনি৷ ওরা ওদের শেষ পাঁচ-ছয় ওভারের বোলিং-এ আমাদের রুখে দিয়েছে৷ আমাদের বেশ কিছু ক্ষেত্রে উন্নতি করা দরকার৷''

বলতে কি, ভারত বেশ চ্যালেঞ্জিং ১৬৩ টোটাল করে - বিশেষ করে সুরেশ রাইনা'র ঝকমকে ৬৩-র কল্যাণে৷ ১০ ওভারের পরে তাদের স্কোর ছিল এক উইকেটে ৯০৷ কিন্তু ইনিংসের দ্বিতীয়ার্ধে তাদের রানের গতি লক্ষণীয়ভাবে কমে যায়৷ সে তুলনায় শ্রীলঙ্কার রান চেজ ছিল সুন্দরভাবে সাজানো৷ ওপেনার জয়বর্ধনে আর জয়সুরিয়া ছয় রানের মধ্যে পড়ে যাওয়ার পর তিলকরত্নে দিলশন ৩৩ রান করে ধসটা সামলে দেন৷ এর পর ক্যাপ্টেন কুমার সাঙ্গাকারা আর এঞ্জেলো ম্যাথুস প্রত্যেকে ৪৬ রান করে ইনিংসের ভিত গড়ে দেন৷ শেষটা করেন কাপুগেডেরা - ৩৭ রানে নট আউট - চূড়ান্ত ওভারের আগের ওভারের শেষ দুটি বলে ভিনয় কুমারকে দু'টি ছয় মেরে৷ ফলে শেষ ওভারের জন্য বাকি থাকে ১৩ রান করা৷ ম্যাথুস শেষ ওভারের প্রথম বলটিতে নেহরা'কে একটি ছয় মারেন, কিন্তু পঞ্চম বলে রান আউট হয়ে যান৷ তখনও তিন রানের প্রয়োজন৷

ততক্ষণে স্রেফ রান রেটের হিসেবে ভারত হেরে গেছে৷ কিন্তু কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে হল শেষ বলটিতে কাপুগেডেরা'র ছয়৷ যার নাম আবার ক্রিকেট৷

প্রতিবেদক: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম