1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতের বিরুদ্ধে শাস্তির হুমকি দিল আইওসি

৫ মে ২০১০

ক্রীড়াক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাব খাটানো ও হস্তক্ষেপের ঘটনার কথা কে না জানে? এবার ভারতের ক্রীড়ামন্ত্রীর এক বিতর্কিত উদ্যোগের প্রেক্ষিতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করার ডাক দিল আইওসি৷

https://p.dw.com/p/NF4W
ভারতের অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন'এর প্রধান সুরেশ কালমাদিছবি: UNI India

ভারতের বিভিন্ন জাতীয় ক্রীড়া সংগঠনের কাজকর্মে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি সেদেশের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপের হুমকি দিয়েছে৷ আইওসি জানিয়েছে, অলিম্পিক সনদের মূল নীতিই হল স্বাতন্ত্র্য৷ তাই ক্রীড়া সংগঠনের কাজকর্মে বাইরে থেকে হস্তক্ষেপের ঘটনা ঘটতে থাকলে ভবিষ্যতে ভারতকে যে কোন আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার বাইরে রাখা হতে পারে৷

ঘটনার সূত্রপাত সরকারের এক উদ্যোগকে ঘিরে৷ ভারতের ক্রীড়ামন্ত্রী এম এস গিল জানিয়েছেন, বিভিন্ন জাতীয় ক্রীড়া ফেডারেশনের কর্মকর্তাদের কাজের মেয়াদ সর্বোচ্চ ১২ বছর পর্যন্ত সীমিত করতে তিনি যে প্রস্তাবমালা প্রস্তুত করেছেন, সব রাজনৈতিক দল তার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে৷ তবে এই সব প্রস্তাবকে ঘিরে প্রবল বিতর্ক দেখা দিয়েছে৷ বিশেষ করে ক্রীড়াক্ষেত্রে সক্রিয় কর্মকর্তারা এর তুমুল বিরোধিতা করছেন৷ তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ভারতের অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন'এর প্রধান সুরেশ কালমাদি৷ নতুন নিয়ম কার্যকর হলে তাঁকে নিজের পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হবে৷ বুধবার তিনি আরও কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তাসহ প্রধানমন্ত্রী ড.মনমোহন সিং'এর সঙ্গে দেখা করেছেন৷ ভারত সরকারের এই উদ্যোগের বিরুদ্ধে আইওসি'র লেখা একটি চিঠিও তিনি পেশ করেন৷ কমনওয়েলথ গেমস'এর ঠিক আগে এমন এক বিতর্কিত উদ্যোগ নেওয়ার জন্য তিনি ক্রীড়ামন্ত্রীর কড়া সমালোচনা করেন৷

উল্লেখ্য, আইওসি ২০০৮ সালে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের দায়ে ইরাকের সদস্যপদ সাময়িকভাবে বাতিল করেছিল৷ ফলে বেইজিং অলিম্পিকে ইরাকের যোগদান অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল৷ সেসময়ে ইরাকের সরকার জাতীয় অলিম্পিক কমিটি ভেঙে দিয়ে ক্রীড়ামন্ত্রীর অধীনে এক নিজস্ব কমিটি গড়ে তুলেছিল৷

প্রতিবেদন : সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা : আব্দুল্লাহ আল-ফারূক