1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতের বৈপরীত্বের ছবির ওপর আলোকপাত করেছে জার্মান দৈনিক

১ ফেব্রুয়ারি ২০১০

৬০ বছর আগে ভারতের সংবিধান কার্যকর হয়৷ দেশটি হয় সর্বতোভাবে স্বাধীন এক প্রজাতন্ত্র - বহু সংস্কৃতি, ভাষা, ধর্ম, জনগোষ্ঠী আর বর্ণের এক জাতি৷ এই উপলক্ষ্যকে সামনে রেখে ভারতের বৈপরীত্বের ছ বির ওপর আলোকপাত করেছে জার্মান দৈনিক৷

https://p.dw.com/p/LoOB
ছবি: picture-alliance/dpa

মিউনিখ থেকে প্রকাশিত দৈনিক স্যুদডয়চে সাইটুং পত্রিকার নিবন্ধের শিরোনাম: একটি অসম্পূর্ণ জাতি উৎসবমুখর৷ উপশিরোনামে লেখা হয়েছে, ৬০ বছর ধরে ভারত বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র৷ কিন্তু এখনও সে পুরনো সমস্যাগুলোয় ক্লিষ্ট৷ পত্রিকা লিখছে:

প্রজাতন্ত্র গঠিত হবার ৬০ বছর পর বার্তামাধ্যম মৌলিক এক প্রশ্ন তুলেছে: ‘‘আমরা কি আমাদের প্রতিষ্ঠাপুরুষদের ভাবনাকে প্রতারিত করেছি?'' একাধিক সংবাদপত্র আর ম্যাগাজিনে স্থান পেয়েছে এধরণের শিরোনাম৷ সংবিধানদায়ী পরিষদ প্রায় তিন বছর পরামর্শ করার পর ১৯৫০ সালের ২৬ শে জানুয়ারি সংবিধান গ্রহণ করে৷ ভারত হয় এক সমাজবাদী, ধর্ম নিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক দেশ৷ সংবিধান নাগরিকদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করার নিশ্চয়তা দেয়৷ কিন্তু এই অঙ্গীকার পূরণে সুস্পষ্ট ফাঁক থেকে গেছে, অনুযোগ করছেন ভাষ্যকাররা ৬০ বছর পরেও৷ টাইমস অফ ইন্ডিয়া লিখেছে: ‘‘আমরা এখনও সংগ্রামের মাঝে, এখনও আমরা অসম্পূর্ণ এক জাতি৷'' পরিসংখ্যান দিয়ে বলা হয়েছে, দুজন মেয়ের মধ্যে লিখতে পড়তে জানে মাত্র একজনের মত৷ ছোট ঠোট ছেলেমেয়েদের প্রায় অর্ধেক অপুষ্টিতে ভুগছে৷ মধ্যবিত্ত শ্রেণী দ্রুত বৃদ্ধি পেলেও ১১০ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে কয়েক শ মিলিয়ন মানুষ এখনও দারিদ্র্যসীমার নীচে বাস করে৷ তাদের জীবন প্রতিদিনই এক লড়াই৷

স্যুদ ডয়চে সাইটুং একই সঙ্গে ভারতের ধনকুবের সম্প্রদায়ের বিপুল বিত্তের কথা উল্লেখ করতে গিয়ে লিখেছে:

দারিদ্র্য হল ভারতের এমন একটি দিক যা চিনে নিতে অসুবিধা হয়না৷ একই সঙ্গে ভারত আবার এমন এক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির অধিকারী হয়েছে যা সংখ্যালঘু একটি গোষ্ঠীর জন্য এনে দিয়েছে বিপুল সম্পদ৷ দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশের মত বিশ্বের আর কোন দেশে এত বেশি সংখ্যক বিলিওনেয়ার আর পাওয়া যাবেনা৷ মার্কিন ফোর্বস্ ম্যাগাজিনের হিসাব অনুযায়ী, এই সংখ্যা ৫২৷ এই বৈপরীত্বই প্রজাতন্ত্রের ৬০ বছর বর্ষপূর্তিতে চোখে পড়ে৷‘‘আমাদের এখানে নৈতিকতাসম্পন্ন মানুষ যেমন আছেন তেমনি আছে সবচেয়ে দুর্নীতিপরায়ণ মানুষও৷ আছে সবচেয়ে ধনী আর সবচেয়ে দরিদ্র মানুষ৷ সবচেয়ে বুদ্ধিমান আর উদ্ভাবনী ক্ষমতার অধিকারী মানুষ'', বলেছেন একজন ছোট মাপের উদ্যোক্তা৷

স্যুদডয়চে সাইটুং লিখছে, এই আত্মসমালোচনার বিপরীতে আবার বাইরের দুনিয়ায় রয়েছে ভারতের এক অন্য ছবি৷ পশ্চিমের লেখকদের অসংখ্য সিরিয়াস গ্রন্থে স্থান পেয়েছে বিশ্বশক্তি হিসেবে এই দেশের উত্থানের কথা৷ তার বিশালতা, তার অর্থনৈতিক সংস্কার ও গণতান্ত্রিক স্থিতির কারণে এইযে উত্থান শুরু হয়েছে তা অপ্রতিরোধ্য৷

ভাষান্তর: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন