1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতের মন জয় করে নিলেন ওবামা

৯ নভেম্বর ২০১০

সর্বস্তরের মানুষের মন জয় করে ভারত ছাড়লেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা৷ মঙ্গলবার সকাল ৯ টায় নতুনদিল্লি থেকে ইন্দোনেশিয়া রওনা হয়ে যান তিনি৷ তাঁর এই সফরের নীট ফলে সকলেই খুশি৷

https://p.dw.com/p/Q2d9
এলেন, দেখলেন, (মন) জয় করলেনছবি: AP

সংসদে প্রেসিডেন্ট ওবামার ভাষণ শুনে কয়েকটি আন্তর্জাতিক বিষয় ছাড়া বাম সাংসদরা পর্যন্ত সমালোচনা করার সুযোগ পাননি৷ ভারত-মার্কিন সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে ওবামার এই সফর যে অতি সফল এবিষয়ে দ্বিমত নেই৷ বিশেষ করে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী আসন পেতে ভারতীয় সংসদে ওবামা যেভাবে সমর্থনের কথা বলেছেন দলমত নির্বিশেষে সব সাংসদই সেটাকে স্বাগত জানান৷ তাঁরা বলেন, ওবামা সফরের এটা একটা মাইলফলক৷ শীর্ষ বিজেপি নেতা এল.কে আডবানি বলেছেন,ওবামা ভারতের প্রত্যাশা পূরণ করেছেন৷ বিজেপি সংসদীয় নেত্রী সুষমা স্বরাজের মন্তব্য, ওবামার বক্তব্যে পাকিস্তান ও সন্ত্রাসকে স্থান দিয়ে তিনি ভারতের উদ্বেগের কথাই তুলে ধরেছেন৷ বাম দলগুলিও সমালোচনা করার সুযোগ পায়নি৷

Barack und Michelle Obama am Denkmal für die die Opfer der terroristischen Angriffe vom November 2008
এযাবৎ কোনো দেশে এটাই ছিল ওবামার দীর্ঘতম সফরছবি: AP

কাশ্মীর প্রসঙ্গে ওবামার বক্তব্যে জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা বলেন, কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের এবং পাকিস্তানের উচিত কাশ্মীর ইস্যুর সমাধানের জন্য এখন আত্মসমীক্ষা করা৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মুখ চেয়ে বসে থাকার দিন শেষ৷ তবে একথাও তিনি বলেন,যুক্তরাষ্ট্র মধ্যস্থতা না করলেও আলোচনার জমি তৈরিতে পরোক্ষ প্রভাব খাটাতে পারে যাতে সমাধান সব পক্ষের গ্রহণযোগ্য হয়৷ এমনকি কট্টর হুরিয়াত নেতা সৈঈদ আলি শাহ গিলানিও ওবামার বক্তব্যে খুশি৷ তিনি মনে করেন, তাঁদের মতই ওবামা কাশ্মীরকে বলেছেন পুরানো অমিমাংসীত বিবাদ৷ ওবামা কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার কথা বলায় মধ্যপন্থী হুরিয়াত নেতা মীরওয়াইজ ফারুক খুশি৷ তবে তাঁর মতে,অ্যামেরিকা ভারতের আপত্তিতে মধ্যস্থতা না করলেও পরোক্ষ ভূমিকা পালন করতে পারে৷ কাশ্মীরী যুব সমাজের একাংশ রাজ্যে দীর্ঘ অচলাবস্থার অবসানে ওবামা কোন আলো দেখাতে না পারায় হতাশ৷

Obama in Indien
সস্ত্রীক ওবামা ভারতের মানুষের মনও জয় করার চেষ্টা করেছেনছবি: AP

বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক অমূল্য গাঙ্গুলি ডয়েচে ভেলেকে ওবামার সফর সম্পর্কে তাঁর মূল্যায়নে বলেন, প্রধান লাভ হলো জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী সদস্যপদে ভারতকে জোরালো সমর্থন দেয়া৷এটা প্রত্যাশার বাইরে ছিল৷ কারণ সফরে আসার আগে ওবামা বলেছিলেন, বিষয়টি খুব জটিল৷ডেমোক্র্যাটদের নীতি সাধারণত ভারতকে একটু দাবিয়ে রাখা৷ হঠাৎ তা পাল্টে যাওয়টা বেশ অপ্রত্যাশিত৷ চীনের ভিটো দেবার সম্ভাবনা সম্পর্কে তিনি বলেন, সেই সম্ভাবনা আছে, কিন্তু পাঁচ বৃহৎ শক্তির মধ্যে চারজন চাইছে ভারতের সদস্যপদ৷এটাই সবথেকে বড় সাফল্য ভারত-মার্কিন সম্পর্কে৷এতে দেশে মনমোহন সিং-এর হাত শক্ত হবে, সন্দেহ নেই৷ পাকিস্তানও একটু কোণঠাসা হয়ে পড়বে৷ এতে পাকিস্তান আরো চীন-ঘেঁষা হতে পারে৷ ভারতের বিরুদ্ধে ভিটো দিতে বা পরমাণু চুক্তি করতে চীনকে ব্যবহার করতে পারে৷ অমূল্য গাঙ্গুলি মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্র বুঝতে পেরেছে পাকিস্তানের তুলনায় ভারত অংশীদার হিসেবে অনেক বেশি নির্ভরযোগ্য৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক