1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতের সংসদে ভালবাসা নিয়ে যেতে চায় কুমার

১৯ মে ২০১১

প্রায়ই শোনা যায় অমুক প্রেম করতো তমুকের সঙ্গে৷ কিন্তু বাবা-মা রাজি না হওয়ায় তাদের বিয়েটা হলো না৷ এই অবস্থার পরিবর্তন আনতে ২০০৮ সালে ভারতে জন্ম নিয়েছে একটি রাজনৈতিক দল - যার নাম ‘অল ইন্ডিয়া লাভার্স পার্টি’ আইএলপি৷

https://p.dw.com/p/11JLg
LOGO Indian Lovers Party
অল ইন্ডিয়া লাভার্স পার্টি

কুমার শ্রী শ্রী৷ পেশা - জুনিয়র মেকআপ আর্টিস্ট৷ তবে তার চেয়ে বড় পরিচয় তিনি আইএলপি দলের প্রতিষ্ঠাতা৷ নিজের জীবনের খারাপ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি যেন আর কাউকে হতে না হয় সেজন্য গড়ে তুলেছেন এই দল৷ আর এখন তারা চাইছে সংসদেও যেতে৷

কুমার ভালবাসতেন তাঁর স্ত্রী মঙ্গাদেবীকে, যার বাবা তেমন অবস্থাসম্পন্ন ছিলেন না৷ তাই কুমারের বাবামা তাদের বিয়েতে রাজি ছিলেন না৷ কারণ তাদের আশা ছিল ছেলেকে বড় অংকের যৌতুকের বিনিময়ে বিয়ে দেবেন৷ তাই বাবামা'কে না জানিয়েই কুমার বিয়ে করে ফেলেন মঙ্গাদেবীকে৷

এই ঘটনার পরই কুমার আইএলপি গঠনের সিদ্ধান্ত নেন৷ ইতিমধ্যে অংশ নিয়েছেন তামিলনাড়ুর রাজ্যের নির্বাচনে৷ যদিও তাঁর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে, কিন্তু তবুও হতাশ হন নি৷ স্বপ্ন দেখছেন ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়ে সংসদে যাওয়ার৷ একা নয়, সঙ্গে দলের আরও অন্তত ১০ জন যেতে পারবে বলেও আশা করছেন তিনি৷ তাঁর দলের দাবিগুলো হচ্ছে, যাদেরকে বাবামা ছাড়াই বিয়ে করতে হয় তাদের জন্য বিনামূল্যে থাকার ব্যবস্থা ও তাদের সন্তানদের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা৷ কুমার বলেন, প্রতিদিন তিনি ১৫-২০ জনের কাছ থেকে টেলিফোন পাচ্ছেন যারা তাঁর দলকে সমর্থন দেবে বলে জানিয়েছে৷

আইএলপি দলের হয়ে কাজ করছে প্রায় ২০ জন স্বেচ্ছাসেবক৷ যারা পোস্টার লাগানো, লিফলেট বিতরণ এসব কাজ করে থাকে৷ এদিকে চাকরির পয়সা দিয়েই দল চালাচ্ছেন কুমার৷ গত তিনবছরে মোট ২৫টি দম্পতিকে তিনি সফলভাবে বিয়ে দিতে পেরেছেন বলেও জানিয়েছেন৷ এরকম এক দম্পত্তি হলো লক্ষী ও শ্রীনিবাস৷ তারা বলছেন, কুমার না থাকলে তাদের বিয়েটা সম্ভব হতনা কারণ শ্রীনিবাসের বাবা হলেন সরকারি কর্মকর্তা আর লক্ষীর বাবা একজন গরিব শ্রমিক৷

ইতিমধ্যে তাঁর দলের বিরুদ্ধে প্রচার প্রচারণা শুরু হয়ে গেছে৷ ভ্যালেন্টাইনস ডে'কে সমর্থন করায় আইএলপি দলের সমালোচনা করেছে রক্ষণশীল ‘হিন্দু মাক্কাল কাচ্চি' দল৷ তারা বলছে, এটা ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল ফারূক