‘‘ভারতের সঙ্গে আমার পরিচয় গভীর’’: জার্মান প্রেসিডেন্ট
২ ফেব্রুয়ারি ২০১০জার্মান প্রেসিডেন্ট ড. হর্স্ট ক্যোলার রাষ্ট্রীয় সফরে এলেও কোন সমঝোতাপত্র বা চুক্তি সই হয়নি৷ কারণ এটা ছিল মূলতঃ শুভেচ্ছা সফর৷ মঙ্গলবার ভারতীয় শিল্প ও বণিক মহাসঙ্ঘের সভায় তিনি যে বক্তব্য রাখেন, তাতে উঠে আসে দুদেশের সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন, অর্থনৈতিক মন্দা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি থেকে বিশ্ব সন্ত্রাস, জি-২০, জলবায়ু পরিবর্তন, নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা, সংরক্ষণবাদ ইত্যাদি৷
ভারত-জার্মান বাণিজ্যিক সাফল্যের উল্লেখ করে জার্মান প্রেসিডেন্ট বলেন, এই সাফল্যকে দেখতে হবে বিশ্বায়নের দর্পণে৷ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে জার্মানি ভারতের অংশীদার৷ তাই স্থাপিত হয়েছে ভারত-জার্মান বিজ্ঞান কেন্দ্র, ইন্দো মাক্স প্লাঙ্ক কম্পিউটার কেন্দ্র৷ স্থাপিত হবে নতুন দিল্লিতে ‘জার্মান হাউস অফ সায়েন্স অ্যান্ড ইনোভেশন' – যেখানে জার্মান বিজ্ঞান গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলি এক সঙ্গে বসে কাজ করতে পারবে৷
মুম্বই সন্ত্রাসী হামলা বিশ্বের সামনে খাড়া করেছে ভিন্ন ধরণের এক চ্যালেঞ্জ৷ বিশ্বায়ন সমৃদ্ধি এনেছে ঠিকই, কিন্তু সবাই সেই সমৃদ্ধির ভাগ পাচ্ছে না সমানভাবে৷ জাগছে তাই অসন্তোষ৷ এর জন্য দরকার এমন বিশ্ব নিয়মবিধি যাতে সবাই পায় ন্যায্য অধিকার, বলেন জার্মান প্রেসিডেন্ট৷ কোপেনহেগেন জলবায়ু সম্মেলনে উষ্ণায়ন কমিয়ে আনতে সব দেশ একমত, কিন্তু কীভাবে – সেবিষয়ে রয়েছে মতভেদ৷ এই প্রসঙ্গে ড. ক্যোলার বলেন, ভারতে মাথাপিছু গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন এক টন, যা শিল্পোন্নত দেশগুলিতে অনেক বেশি৷ ফলে এমন নিয়মবিধি প্রণয়ন করতে হবে যা সকলের কাছেই হয় গ্রহণযোগ্য৷
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক বিদ্যুত চক্রবর্তী ডয়েচে ভেলেকে বলেন, তিনি ভারত-জার্মান সম্পর্কটা দেখছেন বিশ্বায়নের নিরিখে, যেখানে রাজনীতি আর অর্থনীতি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত৷ ভারতের বিরাট বাজার চুম্বকের মত কাজ করছে৷ যেটা শুরু হয়েছে বার্লিন প্রাচীর পতনের পর থেকে৷
প্রতিবেদক: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি, সম্পাদক: সঞ্জীব বর্মন