1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গণপিটুনিতে নিহত এক মুসলমান

৬ এপ্রিল ২০১৭

ভারতের রাজস্থানে গরু পরিবহনের সময় এক মুসলমানকে পিটিয়ে মারার দায়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ এছাড়া হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া আরো ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে গরুর রক্ষা আইন অমাণ্য করায়৷

https://p.dw.com/p/2aoJG
Kühe auf der Straße in Lucknow
ছবি: DW

গরু পরিবহন ঠেকাতে রাজপথে অবস্থান নেওয়া দুই শতাধিক মানুষের হামলায় গুরুতর আহত ৫৫ বছর বয়সি মুসলমান কৃষক পেহলু খান সোমবার হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন৷ তিনিসহ আরো কয়েকজন কৃষক বেশ কয়েকটি গরু ট্রাকে করে রাজস্থান থেকে নিজেদের রাজ্য হরিয়ানাতে নিয়ে যাচ্ছিলেন৷ কিন্তু মহাসড়কে তাঁদের ওপর হামলা চালায় দুই শতাধিক মানুষ৷

ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে গরু জবাই করা নিষিদ্ধ৷ এছাড়া গরু রক্ষায় দেশের বিভিন্ন স্থানে পাহারায় বসানো হয়েছে বেশ কিছু মানুষ, যাদের সংখ্যা ২০১৪ সালে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ক্ষমতায় আসার পর অনেক বেড়েছে৷

পুলিশ অবশ্য এখনো আক্রমণকারী ২০০ জনের অধিকাংশের পরিচয় খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে৷ আলওয়ারের পুলিশ প্রধান রাহুল প্রকাশ জানিয়েছেন, গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতক্ষ্যদর্শীদের রেকর্ড করা বিভিন্ন ভিডিও দেখে তারা তিনজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা ভিডিওগুলো দেখেছি এবং অন্তত পাঁচজনকে শনাক্ত করেছি, যারা ঘটনাস্থলে ছিলেন৷ এদের মধ্যে তিনজন ভুক্তভোগীদের ওপর হামলার সঙ্গে সরাসরি জড়িত৷''

প্রকাশ জানান, পুলিশ আরো ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে, যারা হামলা থেকে বেঁচে গেছেন৷ রাজস্থানের গরু সুরক্ষা আইনের বিভিন্ন ধারায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান তিনি৷ রাজ্যটিতে গুরু জবাই দেওয়া নিষিদ্ধ এবং গরু পরিবহনের জন্য লাইসেন্স নিতে হয়৷

রাজস্থানের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী গুলাব চাঁদ কাটারিয়া অবশ্য শনিবারের সেই ঘটনার জন্য দু'পক্ষকেই দায়ী করেছেন৷ তবে খানের মৃত্যুর পর ভারতের সংসদের উচ্চকক্ষ বিরোধী দলের আইনপ্রণেতারা দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়েছেন৷ বিরোধী দল কংগ্রেসের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধী জানিয়েছেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উদ্বেগজনক অবনতি ঘটেছে৷

প্রসঙ্গত, গরুর মাংস খাওয়ার বা গরু চোরাচালানের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার সন্দেহে ভারতে হিন্দুদের হামলায় গত দু'বছরে অন্তত দশজন মুসলমান প্রাণ হারিয়েছেন৷ ২০১৫ সালে এক মুসলমান গরু জবাই করেছেন সন্দেহ করে প্রতিবেশী হিন্দুরা তাঁকে মেরে ফেলেন৷ যদিও পুলিশের তদন্ত দেখে গেছে সেই মুসলমান বাড়িতে পাওয়া মাংস ছিল খাসির মাংস৷

এআই/ডিজি (এএফপি, ডিপিএ, এপি)

বন্ধু, প্রতিবেদনটি নিয়ে াপনার মতামত জানান, লিখুন নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য