1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মুক্তিযোদ্ধাদের কবর

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি৮ আগস্ট ২০১৩

ভারতের মাটিতে বাংলাদেশের শহিদদের কবর খুঁজে বের করার পন্থা-পদ্ধতি নিয়ে সম্প্রতি ত্রিপুরায় ভারতীয় ও বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের একটি বৈঠক হয়৷ ঠিক হয়, এ কাজে উভয় দেশ যৌথভাবে কাজে নামবে৷

https://p.dw.com/p/19Lac
Jatiyo Sriti Soudho (Bengali: জাতীয় স্মৃতি সৌধ Jatio Sriti Shoudho) or National Martyrs' Memorial is a monument in Bangladesh. It is the symbol of the valour and the sacrifice of those killed in the Bangladesh Liberation War of 1971, which brought the independence of Bangladesh from Pakistani rule. The monument is located in Savar, about 35 km north-west of the capital, Dhaka. It was designed by Syed Mainul Hossain. Quelle: Wikipedia Link: http://en.wikipedia.org/wiki/File:JSS.jpg Description National Independence Monument at Savar Date 25 October 2007(2007-10-25), 04:40 Source National Monument of Savar Author Tony Cassidy from Nottingham, UK Rechte: This file is licensed under the Creative Commons Attribution-Share Alike 2.0 Generic license.
ছবি: National Monument of Savar

বৈঠকে ভারতের সরকারি কর্মকর্তারা জানান, তাদের তরফ থেকে চারজন নোডাল অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে আগরতলা, কলকাতা, গুয়াহাটি এবং শিলং-এ৷ তারা বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলকে ঐ কাজে সাহায্য করবে৷ কারণ ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও মেঘালয় – এই চারটি রাজ্যেই মুক্তিযোদ্ধাদের কবর দেয়া হয়েছিল, জানান বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ সংক্রান্ত মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব অবসরপ্রাপ্ত লে. কর্নেল সাজ্জাদ এ জাহির৷ তিনি জানান, ইতিমধ্যেই ভারতীয় সীমান্ত সংলগ্ন ২৭টি স্থান চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে৷ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে দেয়া হয়েছে তালিকার চূড়ান্ত রিপোর্টও৷

স্মরণ করা যেতে পারে কিছুদিন আগে ডয়চে ভেলের সঙ্গে আলাপচারিতায় লে. কর্নেল সাজ্জাদ এ জাহির জানিয়েছিলেন যে, ভারতে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের কবর অনুসন্ধানের কাজে প্রথম সাফল্য আসে ২০০৭ সালের ডিসেম্বরে৷ ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা থেকে ৮৪ কিলোমিটার দূরে ধলাই জেলার সদরদপ্তর আম্বাসা থেকে ১০ কিলোমিটার দূরত্বে হাতিমারাছড়ায় উদ্ধার করা হয় বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের দেহাবশেষ৷ সাড়ে পাঁচ ঘণ্টার চেষ্টায় কবর থেকে তাঁর দেহাবশেষ উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকায়৷ পরে তা দাফন করা হয় মিরপুরে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধাদের কবরস্থানে৷

Floral tributes mark the Martyr's Monument, or Shaheed Minar, on International Mother Language Day in Dhaka, Bangladesh, Thursday, Feb. 21, 2013. International Mother Language Day is observed in commemoration of the movement where a number of students died in 1952, defending the recognition of Bangla as a state language of the former East Pakistan, now Bangladesh. The day is now observed across the world to promote linguistic and cultural diversity and multilingualism. (AP Photo/Pavel Rahman)
ছবি: picture-alliance/AP

পশ্চিম ত্রিপুরার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কিরণ গিট্টে বলেন, বাংলাদেশের দেয়া সম্ভাব্য স্থানগুলির তালিকার ভিত্তিতে স্থানীয় লোকজনদের সাহায্যে তা খুঁজে দেখা হবে৷ বাংলাদেশি মুক্তিযোদ্ধাদের দুটি কবর চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে৷ একটি রামনগরে এবং অপরটি গোলচক্করে৷ বাংলাদেশ চাইলে শহিদদের দেহাবশেষ স্বদেশে নিয়ে যেতে পারবে প্রোটোকল মেনে তা না হলে বর্তমান স্থানেই কবরগুলির রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে৷

ব্রাক্ষণবাড়িয়ার জেলা কালেক্টর নূর মহম্মদ মজুমদার মনে করেন, শহিদদের দেহাবশেষ খুঁজে বের করা বেশ কঠিন৷ গত মাসে উনি ভারতে এসেছিলেন এই কাজে৷ তাঁর সঙ্গে একমত কিরণ গিট্টেও৷ কারণ, এর মধ্যে ৪০ বছরেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে৷

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ২০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ আন্তর্জাতিক সীমানা৷ তার মধ্যে ত্রিপুরার সঙ্গে ৮৫৬ কিলোমিটার৷ এছাড়া, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ত্রিপুরার এক বিশেষ স্থান আছে৷ ত্রিপুরা ছিল মুক্তিযুদ্ধের সদরদপ্তর৷ ১৬ লাখ শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছিল ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় এই ছোট রাজ্যটি, যার নিজস্ব লোকসংখ্যা ১৫ লাখের মতো৷ মুক্তিযুদ্ধের সময় এক কোটিরও বেশি শরণার্থী এসেছিলেন ভারতের চারটি রাজ্যে৷ বাংলাদেশের হিসেব অনুযায়ী, প্রায় ৩০ লাখ মানুষ প্রাণ দিয়েছেন নয় মাসের মুক্তি সংগ্রামে৷

বীরপ্রতীক সাজ্জাদ জাহিরের মতে, প্রায় চার হাজার বাংলাদেশি আছেন নিখোঁজের তালিকায়৷ ডয়চে ভেলের কাছে একান্ত স্মৃতিচারণায় উনি বলেছিলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের কবর খোঁজার পেছনে এক জাতীয় আবেগ কাজ করছে৷ অনেক তরুণ মুক্তিযোদ্ধাদের আকুতি ছিল যদি এই মহান যুদ্ধে তাঁরা শহিদ হন, তাহলে যেন তাঁদের দাফন করা হয় স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে৷ কারণ খানসেনারা মুক্তিযোদ্ধাদের মৃতদেহ দেখলেই, তা বিকৃত করে দিত৷ অসম্মান করত কবরস্থানের৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য