1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতে বিলিওনেয়ারের সংখ্যা ৬৯

১ অক্টোবর ২০১০

বিলিওনেয়ার শব্দটাই যৌক্তিক এদের জন্য৷ কেননা কোটিপতি বা ধনকুবের বলে তাদের সম্পদের পরিমাণ বোঝানোটা একরকম অসাধ্য৷ অন্তত, ২৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যার সম্পদের পরিমাণ, তাকে কী শুধু কোটিপতি বলাটা সাজে!

https://p.dw.com/p/PRgs
মুকেশ আম্বানি (বামে)ছবি: UNI

বলছি মুকেশ আম্বানির কথা৷ গত তিন বছর ধরে ভারতের সবচেয়ে বড়লোক তিনি৷ ফোর্বস ম্যাগাজিনের ২০১০ সালের ভারতীয় বড়লোকদের তালিকায় শীর্ষে অবস্থান তাঁর৷ বর্তমানে সম্পদের পরিমাণ ২৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার৷ রিলায়ান্স এর নানান বাণিজ্য থেকে তিনি কামিয়েছেন এই সম্পদ৷

মুকেশের পরেই অবস্থান করছেন লক্ষী মিত্তল৷ সম্পদের পরিমাণ ২৬.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার৷ লন্ডন নির্ভর ইস্পাত বাণিজ্য তাঁর এই সম্পদের মূল উৎস৷ মিত্তলের পরেই অবস্থান এক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবসায়ীর, নাম আজিম প্রেমজি৷ আউটসোর্সিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান উইপ্রো'র কর্ণধার তিনি৷ সম্পদ ১৭.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার৷

এরকম ৬৯ জন বড়লোকের তথ্য দেয়ার পর ফোর্বস ইন্ডিয়ার সম্পাদক ইন্দ্রজিত গুপ্ত'র বয়ান হচ্ছে, আগামী দশকে ভারত এবং চীনই যে বিশ্ব অর্থনীতির কেন্দ্রে অবস্থান নেবে, এটা তারই ইঙ্গিত৷

চলুন, বড়লোকের তালিকার আরো কয়েকজনের দিকে নজর দেই৷ চতুর্থ অবস্থানে নাম রয়েছে দু'জনের৷ শশী এবং রবি রুয়া৷ এই দুই ভাইয়ের সম্পদের পরিমাণ ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার৷ অন্যদিকে জিন্দাল স্টীল এন্ড পাওয়ার এর চেয়ারম্যান সাবিত্রী জিন্দাল এর সম্পদের পরিমাণ ১৪.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার৷ ফোর্বস তালিকায় তাঁর অবস্থান পঞ্চম৷

মুকেশ আম্বানির ভাই অনিল আম্বানির অবস্থান খানিকটা নিচে নেমেছে এবছর৷ গত বছর ধনীদের তালিকায় তৃতীয় থাকা এই ব্যবসায়ীর বর্তমান অবস্থান ষষ্ঠ৷ ভাইয়ের সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে দ্বন্দ্ব আর শেয়ার বাজারের জটিলতায় তাঁর এই অধঃপতন৷ তবে এখনো ১৩.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মালিক তিনি৷

অবশ্য বড়লোকের সংখ্যা বাড়লেও, এবারও ভারতের ব্যবসায়ীরা পুরনো রের্কড ভাঙতে পারেননি৷ ২০০৭ সালে সেদেশের ৪০ জন বড়লোকের মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ৩৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার৷ অথচ ২০১০ সালে ৪০ জন ব্যবসায়ীর মোট সম্পদ ২৪৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার৷

এদিকে, ধনীদের সংখ্যা যেমন বাড়ছে, তেমনি গরীবও কিন্তু কম নয় ভারতে৷ সেদেশের প্রায় সাড়ে তিরাশি কোটি মানুষের প্রতিদিনের গড় আয় ২০ রুপির নীচে৷ তাই ধনী-দরিদ্রের ব্যবধানটা বড় বেশি হয়ে যাচ্ছে দিনে দিনে৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী