1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতে মহাখরচার আদমশুমারি শুরু

১ এপ্রিল ২০১০

বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে ভারতের আদমশুমারি তথা মাথাপ্রতি জনসংখ্যা গণনার কার্যক্রম৷ এই কাজে নিয়োগ হচ্ছেন প্রায় পঁচিশ লাখ মানুষ৷ খরচ পড়বে ৬০ বিলিয়ন রুপি৷ আর কাগজ খরচ হবে ১১ দশমিক ছয় তিন মিলিয়ন টন৷

https://p.dw.com/p/Mjgu
এদের জন্যই আদমশুমারি (ফাইল ফটো)ছবি: Rainer Hörig

ভারতের নানা অঞ্চলের নানা রূপ, তার সঙ্গে রয়েছে রাজনৈতিক নানা বাধা বিপত্তিসহ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আন্দোলন, আরো আছে নানা সংস্কৃতি, নানা ভাষা৷ ফলে আদমশুমারির এই কাজটি মোটেই সহজ কথা নয়৷ এই প্রসঙ্গে আদমশুমারি বিষয়ক কমিশনার সি. চন্দ্রামৌলি জানান, আদমশুমারির অর্থ হচ্ছে প্রতি ১০ বছরে এক বার মূল্যায়ন৷ এর মাধ্যমে একটি পক্ষপাতহীন উপায়ে দেখা হয় সরকারি নানা কর্মসূচী কাঙ্খিত জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছচ্ছে কিনা, একইসঙ্গে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নির্ধারণেও কাজে আসে এই শুমারি৷

এবার আদমশুমারিতে প্রত্যেক নাগরিকের আঙ্গুলের ছাপ এবং ছবি সংগ্রহ করা হবে৷ সেইসঙ্গে নাগরিকত্ব এবং বৈবাহিক অবস্থা সম্পর্কেও তথ্য নেয়া হবে৷ এছাড়াও ব্যাংক একাউন্ট আছে কিনা কিংবা মোবাইল ফোন ব্যবহার করা হয় কিনা সে তথ্যও প্রত্যেকের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হবে৷

জোড়া আদমশুমারি এবং জনগণের নিবন্ধনের এই কর্মকান্ড চলবে ১১ মাস ধরে৷ আর যাকে দিয়ে এই শুমারির শুরু হচ্ছে তিনি হলেন ভারতের প্রেসিডেন্ট প্রতিভা পাটিল৷ শুমারির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা প্রেসিডেন্টের বাড়িতে গিয়ে তাঁর স্বাক্ষর আনবেন৷

এখন পর্যন্ত যা খবর তাতে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যে ভারতের তাবৎ জনগণের হিসাব নেয়া হবে৷ এরপর আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে তা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হবে৷

এবার কিন্তু শুমারিতে প্রযুক্তির ব্যবহারও দেখা যাচ্ছে৷ গতবার মানে ১০ বছর আগে যে শুমারি হয়েছিল তাতে কিছু ভুল ছিল৷ এবার একইধরণের ভুলের পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ব্যবহার করবেন ভারতের ৬০৮,৭৮৬টি গ্রামের স্যাটেলাইট ম্যাপ৷

প্রতিবেদক: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী