ভারতে মহাখরচার আদমশুমারি শুরু
১ এপ্রিল ২০১০ভারতের নানা অঞ্চলের নানা রূপ, তার সঙ্গে রয়েছে রাজনৈতিক নানা বাধা বিপত্তিসহ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আন্দোলন, আরো আছে নানা সংস্কৃতি, নানা ভাষা৷ ফলে আদমশুমারির এই কাজটি মোটেই সহজ কথা নয়৷ এই প্রসঙ্গে আদমশুমারি বিষয়ক কমিশনার সি. চন্দ্রামৌলি জানান, আদমশুমারির অর্থ হচ্ছে প্রতি ১০ বছরে এক বার মূল্যায়ন৷ এর মাধ্যমে একটি পক্ষপাতহীন উপায়ে দেখা হয় সরকারি নানা কর্মসূচী কাঙ্খিত জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছচ্ছে কিনা, একইসঙ্গে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নির্ধারণেও কাজে আসে এই শুমারি৷
এবার আদমশুমারিতে প্রত্যেক নাগরিকের আঙ্গুলের ছাপ এবং ছবি সংগ্রহ করা হবে৷ সেইসঙ্গে নাগরিকত্ব এবং বৈবাহিক অবস্থা সম্পর্কেও তথ্য নেয়া হবে৷ এছাড়াও ব্যাংক একাউন্ট আছে কিনা কিংবা মোবাইল ফোন ব্যবহার করা হয় কিনা সে তথ্যও প্রত্যেকের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হবে৷
জোড়া আদমশুমারি এবং জনগণের নিবন্ধনের এই কর্মকান্ড চলবে ১১ মাস ধরে৷ আর যাকে দিয়ে এই শুমারির শুরু হচ্ছে তিনি হলেন ভারতের প্রেসিডেন্ট প্রতিভা পাটিল৷ শুমারির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা প্রেসিডেন্টের বাড়িতে গিয়ে তাঁর স্বাক্ষর আনবেন৷
এখন পর্যন্ত যা খবর তাতে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যে ভারতের তাবৎ জনগণের হিসাব নেয়া হবে৷ এরপর আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে তা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হবে৷
এবার কিন্তু শুমারিতে প্রযুক্তির ব্যবহারও দেখা যাচ্ছে৷ গতবার মানে ১০ বছর আগে যে শুমারি হয়েছিল তাতে কিছু ভুল ছিল৷ এবার একইধরণের ভুলের পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ব্যবহার করবেন ভারতের ৬০৮,৭৮৬টি গ্রামের স্যাটেলাইট ম্যাপ৷
প্রতিবেদক: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী