1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতে মহিলা সংরক্ষণ বিলে বাধা অব্যাহত

৮ মার্চ ২০১০

আন্তর্জাতিক নারী দিবসকে সামনে রেখে আইনসভায় মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষণ বিলটি সোমবার সংসদে পেশ করা হয়৷ আর তা নিয়েই উত্তাল হয়ে ওঠে অধিবেশন৷ বিরোধি দলগুলির দাবি, অনগ্রসর শ্রেণীর জন্য চাই পৃথক সংরক্ষণ৷

https://p.dw.com/p/MNJn
ছবি: UNI

নতুন বোঝাপড়ায় আসতে বিলের ওপর ভোটাভুটি মঙ্গলবারের জন্য পিছিয়ে দেওয়া হয়৷

সংসদে ও রাজ্য বিধানসভাগুলিতে মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষণ বিলটি ১৪ বছর ধরে যেভাবে বাধা পেয়ে এসেছে, সোমবারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি৷ বিলটি পেশ করামাত্র রাষ্ট্রীয় জনতা দল(আরজেডি), সমাজবাদি পার্টি এবং বহুজন সমাজ পার্টির সাংসদরা রাজ্যসভার উচ্চ কক্ষের অধ্যক্ষের মঞ্চে চড়াও হয়ে, বিলের কপি কেড়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলেন৷ ঐ ঘটনার নিন্দা করে কংগ্রেস মুখপাত্র মনু সিংভি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, যে বিল ভারতের গণতন্ত্র ও ভারতীয় মহিলাদের গর্বের বিষয়, মুষ্টিমেয় দলের অপচেষ্টায় তা পরিণত হলো গণতন্ত্রের লজ্জায়৷

বিরোধী দলগুলির দাবি, সংরক্ষণের মধ্যেই রাখতে হবে দলিত, অনগ্রসর ও সংখ্যালঘুদের জন্য পৃথক সংরক্ষণ৷ না হলে এই সংরক্ষণের ফায়দা তুলবে শুধু সমাজের উচুঁ তলার মহিলারা৷ এই সোরগোলের প্রেক্ষিতে বিলের ওপর ভোটাভুটি মঙ্গলবারের জন্য পিছিয়ে দেওয়া হয়, সম্ভবত একটা বোঝাপড়ায় আসতে৷

তৃণমূল সাংসদ ড. কাকলী ঘোষ দস্তিদার ডয়চে ভেলেকে বলেন, সংরক্ষণের মধ্যে সংরক্ষণের দাবি কালক্ষেপের একটা ছুতোমাত্র৷ বর্তমান বিলটি পাশ করাতে ইতিমধ্যে ১৪-১৫ বছর কেটে গেছে৷ আবার আলোচনা, বিতর্ক, সংসদীয় কমিটি ইত্যাদি করতে গেলে বিল আবার বিশ বাঁও জলে৷ এই ফাঁকে ওরা নিজেদের আসন গোছাবে মাত্র৷ আসলে ওরা চাননা যে, মহিলাদের ক্ষমতায়ন৷

উল্লেখ্য, সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে বিলটি পাশ করাতে গেলে দরকার হয় দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা৷ বলাবাহুল্য সরকারের সেটা আছে৷ কারণ বিলটি সমর্থন করছে বিজেপি, বামদলগুলি ও আরো কিছু দল৷ কিন্ত ভবিষ্যতে ফিনান্স বিল ও অন্য সব বিলের জন্য আরজেডি ও সমাজবাদি পার্টির সমর্থন মনমোহন সিং সরকারের দরকার হতে পারে৷ ঐ দুটি দল বর্তমানে সরকারকে সমর্থন দিচ্ছে বাইরে থেকে৷এখন তাদের মন রাখতে তাই একটা বোঝাপড়ায় আসতে ২৪ ঘন্টা সময় নেন প্রধানমন্ত্রী৷

মহিলা সংরক্ষণ বিলটি প্রথমে আনেন এইচ. ডি দেবেগৌড়ার নেতৃত্বাধীন সংযুক্ত ফ্রন্ট সরকার ১৯৯৬ সালে৷ তারপর সেটি যায় সংসদীয় কমিটিতে৷ এরপর বহুবার বিলটি আনে বিভিন্ন সরকার৷ প্রতিবারই তা বিরোধীতার জন্য আটকে যায়৷ শেষবার বিলটি সংসদে তোলার চেষ্টা হয় ২০০৮ সালে৷

প্রতিবেদক : অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা : দেবারতি গুহ