1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতে সংসদের অচলাবস্থা কাটার আশু সম্ভাবনা নেই

২৯ নভেম্বর ২০১০

টেলিকম দুর্নীতির তদন্তে যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠনের বিরোধী পক্ষের দাবি নিয়ে সংসদে যে অচলাবস্থা চলেছে তা কাটার আশু সম্ভাবনা আপাতত দেখা যাচ্ছেনা৷ আজও সংসদ অচল করে রাখে বিরোধীপক্ষ৷ সরকারের আপোষ প্রস্তাব খারিজ করে দেয় বিরোধী দল৷

https://p.dw.com/p/QKzC
অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ছবি: UNI

আজ নিয়ে ১২দিন টু-জি স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারির তদন্তে যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠনের দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে সংসদ৷ অধিবেশন শুরু হতেই বিরোধী দলগুলি অধ্যক্ষের মঞ্চের সামনে জড়ো হয়ে শ্লোগান দিতে থাকেন৷ হৈ হট্টগোল চলতে থাকলে অধিবেশন মুলতুবি রাখতে হয়৷ সরকারের তরফে অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায় বিজেপির শীর্ষ নেতা এল.কে আডবানি এবং নিম্নকক্ষ লোকসভায় বিজেপি নেত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে আপোষ প্রস্তাব নিয়ে কথা বলেন৷ কিন্তু বিজেপি তা সরাসরি তা খারিজ করে দেয়৷সরকারের প্রস্তাব ছিল, টু-জি স্পেকট্রাম বন্টন নিয়ে সংসদে ব্যাপক আলোচনার পাশাপাশি চলুক সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো সংক্ষেপে সিবিআই তদন্ত৷ দেখা গেছে অতীতে বফর্স, শেয়ার কেলেঙ্কারিতে জেপিসি তদন্তে কোন ফল হয়নি৷ আসলে জেপিসি বিরোধীদের হাতে একটা রাজনৈতিক হাতিয়ার মাত্র৷

বিজেপির বক্তব্য, সরকার সংবিধান অনুসারে সংসদের কাছে দায়বদ্ধ৷ তাই যৌথ সংসদীয় কমিটি দ্বারাই এর তদন্ত জরুরি, বলেন বিজেপি সংসদীয় মুখপাত্র এস.এস.আলুওয়ালিয়া৷ বিজেপি নেতা মুখতার আব্বাস নাখভির অভিযোগ, দেশের সামনে সবথেকে বড় কেলেঙ্কারি টু-জি স্পেকট্রাম৷ সরকার ও কংগ্রেস সেটা আড়াল করতে চাইছে, যেটা দুশ্চিন্তার বিষয়৷ একমাত্র জেপিসিই পারে দোষীদের শাস্তি দিতে৷ বিজেপি মুখপাত্র বলেন, বিরোধীপক্ষ কেন জেপিসি চাইছে, তার কারণ পরিষ্কার৷ সবাই সেটা বুঝতে পারছে৷ তাই জেপিসির দাবি অপরিবর্তনীয়৷

L.K. Advani
বিজেপি নেতা এল কে আদভানিছবি: UNI

সিপিআই-এম সাংসদ সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, তাঁর দল সংসদ অচল করার বিরোধী৷ সংসদ চলতে দেবার দায়িত্ব সরকারের৷ বোধগম্য হচ্ছেনা জেপিসি গঠনে সরকারের আপত্তির কারণ৷

সংসদীয় মন্ত্রী পবন বনশাল বলেন, বিরোধীরা যেটা চাইছেন সেই কাজটা পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির দ্বারাও হতে পারে৷ তদন্তের স্বার্থে বিভিন্ন তদন্তকারী এজেন্সিগুলিও সাহায্য করতে পারে৷ উপরন্তু, তদন্ত প্রক্রিয়ার দিকে নজর রাখবেন সুপ্রিম কোর্ট৷ এতেও যদি বিরোধীরা বিশ্বাস রাখতে না পারে তাহলে কী করা যায়৷

এই অবস্থায় বিরোধীপক্ষ আগামীকাল সাক্ষাৎ করবেন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে৷ লোকসভার স্পিকার মীরা কুমারও সংসদের অচলাবস্থা কাটাতে আগামীকাল ডেকেছেন সর্বদলীয় বৈঠক৷ মনে হয়না তাতে বরফ গলবে৷

অন্যদিকে সুপ্রিম কোর্টের সমালোচনার পর টু-জি স্পেকট্রাম বন্টন দুর্নীতি সম্পর্কে কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট আজ জমা দেয় সুপ্রিম কোর্টের কাছে৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক