1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতে হলুদ নোটিশ পেতে যাচ্ছে গুগল-স্কাইপ

২ সেপ্টেম্বর ২০১০

নিরাপত্তাই সবচেয়ে আগে, আর তাই এ বিষয়টির প্রতি লক্ষ্য রেখে ভারত সরকার ব্ল্যাকবেরির উপর যেমন নিয়ন্ত্রণ চাইছে, তেমনি অনলাইনে কথা বলা যায়, গুগল এবং স্কাইপের মতো এমন অ্যাপ্লিকেশনেরও ডাটা উপাত্ত পর্যবেক্ষণের কথা বলছে৷

https://p.dw.com/p/P1Qm
গুগলের আইপি টেলিফোন সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ করতে চায় ভারত সরকারছবি: Schreenschot

দুই মাসের সময় দেয়া হয়েছে ব্ল্যাকবেরিকে৷ সময়টা কী জন্য? এক কথায় বলা যায়, কোড ভেঙে দেবার কোড দিতে হবে নিরাপত্তা বাহিনীকে৷ খটমট লাগলো তো কথাটা? তাহলে খুলেই বলি৷

ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ব্ল্যাকবেরির ক্যানাডিয় নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘রিসার্চ ইন মোশন' বা ‘রিম'কে বলেছে, যদি তাদের সেট থেকে করা ইমেল এবং মেসেজিং-এর তথ্য সরকারের কাছে না দেয়, তাহলে বন্ধ করে দেয়া হবে তাদের কার্যক্রম৷ কথা ছিল, যদি ৩১ আগস্টের মধ্যে সরকারের কথা না মানে, তাহলেই এই পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হবে৷ এ নিয়ে বেশ দেন-দরবার হয়েছে দুই পক্ষের মধ্যে৷ ফলে আরও দুই মাস হাতে পেলো রিম৷ ব্ল্যাকবেরি সেটের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এতে পাঠানো ইমেল বা এসএমএসের ডাটা এমন ভাবে থাকে, যার উপর নজরদারি চালানো সম্ভব নয়, যতক্ষণ না ব্ল্যাকবেরি কর্তৃপক্ষ নিজেরা তা দিতে রাজি হয়৷ দেখা যাক, দুই মাস সময়ে কী করতে পারে ব্ল্যাকবেরি?

Skype Internettelefonie

যাহোক, ব্ল্যাকবেরি তো সময় পেলো, কিন্তু কী আছে গুগল কিংবা স্কাইপের ভাগ্যে? এবিষয়ে ভারত সরকারের অবস্থান কঠোর৷ গুগল, স্কাইপের মেসেজিং সিস্টেমের উপর নাখোশ সরকার৷ নিরাপত্তা সংক্রান্ত এক বৈঠকে এ ব্যাপারে সরকার গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে৷

গুগল বা স্কাইপের মাধ্যমে সন্ত্রাসী যোগাযোগ হলে, এর তথ্য পাওয়া কষ্টকর – এমন এক কারণেই নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষের মাথাব্যথা৷ আর তাই আইপি টেলিফোন সার্ভিস কিংবা ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং সার্ভিস কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তা নিয়ে সেদেশের নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান একটি উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে বলেই খবর৷ বার্তা সংস্থা পিটিআইকে একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বুধবার এই দুই প্রতিষ্ঠানের কাছে এই নোটিশ পাঠানো হবে, যে নির্দেশ অনুযায়ী হয় সরকারের আদেশ মেনে তাদের কাজ করতে হবে, দিতে হবে প্রয়োজনীয় ডাটা-উপাত্ত৷ নইলে ভারতে তাদের নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেয়া হবে – এমন কথা লেখা থাকবে৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন