1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারত-আফগানিস্তান বাণিজ্য

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি২০ নভেম্বর ২০১৩

ভারত-আফগান বাণিজ্য সম্মেলনে আফগানিস্তানের উপ-বাণিজ্যমন্ত্রী নতুন দিল্লিতে বলেছেন, ২০১৫ সাল হবে আফগানিস্তানে বিনিয়োগের বছর৷ সেই সুযোগ কাজে লাগাতে তিনি ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের আমন্ত্রণ জানান৷

https://p.dw.com/p/1AKsh
Indian Union Minister for Law and Justice, Salman Khurshid gestures during an interaction with Gujarat media representatives at the Ahmedabad Management Association (AMA) in Ahmedabad on June 13, 2012. In a first of its kind initiative, the Group of Union Ministers addressed a press conference in Ahmedabad covering various issues. AFP PHOTO / Sam PANTHAKY (Photo credit should read SAM PANTHAKY/AFP/GettyImages)
ছবি: AFP/Getty Images

আগামী বছর আফগানিস্তানের মাটি থেকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনী সরে গেলে সেদেশে অন্ধকার নেমে আসবে বলে যারা মনে করেন, তাদের আশঙ্কা অমূলক৷ পরিস্থিতি যাই হোক সুখে দুখে ভারত সর্বদাই থাকবে আফগানিস্তানের পাশে৷ ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ভারতীয় শিল্প ও বাণিজ্য ফেডারেশন আয়োজিত ভারত-আফগান বাণিজ্য সম্মেলনে এই বার্তাই দেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সলমান খুরশিদ৷ আফগানিস্তানে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের বিপুল সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে সেদেশের অর্থনৈতিক রূপান্তরের রোডম্যাপ তৈরির সময় এসেছে৷ দুদেশের ভবিষ্যত একই সুতোয় বাঁধা৷

An Afghan policeman secures an area after a suicide vehicle bomb tore through the area on the outskirts of Kabul, Saturday, Nov. 16, 2013. The explosion came just hours after President Hamid Karzai announced that U.S. and Afghan negotiators had finished a draft to be presented to the Loya Jirga, whom Kabul says must approve the document before Afghanistan signs it. (AP Photo/Anja Niedringhaus)
আফগানিস্তানের পুনর্গঠন প্রকল্পে ভারত ২০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করছেছবি: picture-alliance/AP

সম্মেলনে আফগান উপ-বাণিজ্যমন্ত্রী মোজাম্মেল শিনওয়ারি তাঁর বক্তব্যে ২০১৫ সালকে আফগানিস্তানের ‘বিনিয়োগ বর্ষ' রূপে অ্যাখ্যায়িত করে বলেন, ২০১৫ সালে আফগানিস্তান হবে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সদস্য দেশ৷ আফগানিস্তানে ক্ষমতাসীন হবে নতুন সরকার৷ বদলে যাবে রাজনৈতিক ও নিরাপত্তার গোটা চালচিত্র৷ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগের সেই সুযোগ গ্রহণের জন্য তিনি ভারতীয় বণিক সঙ্ঘকে আমন্ত্রণ জানান৷ আফগান সরকারের শীর্ষ কর্তাব্যক্তিরা বিনিয়োগ ক্ষেত্র হিসেবে কৃষি, খনিজ পদার্থ, ব্যাঙ্কিংসহ পরিষেবা, তথ্য-প্রযুক্তি, টেলিযোগাযোগ, জ্বালানি এবং পরিবহণের নাম উল্লেখ করেন৷ শুধু তাই নয়, আফগানিস্তানের মধ্য দিয়ে ভারতীয় পণ্য মধ্য এশিয়ায় পাঠানো যেতে পারে বলে জানান তিনি৷

আফগানিস্তানের বাণিজ্যিক সহযোগী দেশ হিসেবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী খুরশিদ জানান যুদ্ধ-বিধ্বস্ত আফগানিস্তানের পুনর্গঠন ও পুনর্নির্মাণ প্রকল্পে ২০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে ভারত৷ এ থেকে বেরিয়ে যেতে পারেনা ভারত৷ যতদিন দরকার থাকবে৷ তুর্কমেনিস্তান-আফগানিস্তান-পাকিস্তান-ভারত গ্যাস পাইপলাইন প্রকল্প সম্পর্কে তিনি আশাবাদী৷

খুরশিদ বলেন, ভারত-আফগানিস্তান-ইরানের মধ্যে বিশাল বাণিজ্যিক সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো যায়, যদি এই তিন দেশের মধ্যে সংযোগ বা যোগাযোগ পথ সুগম করা যায়৷ তাহলে পুরো এলাকায় ঘটবে রূপান্তর৷ ইরানের চাবাহার বন্দর মুক্ত বাণিজ্য বন্দর বলে চিহ্নিত৷ এই বন্দর হতে পারে আফগানিস্তানে ভারতীয় পণ্য রপ্তানির বিকল্প রুট৷ এই বন্দরের সম্প্রসারণে ভারত তাই লগ্নি করতে আগ্রহী৷ কারণ আফগানিস্তান-পাকিস্তানের মধ্যে ট্রানজিট চুক্তি থাকা সত্ত্বেও আফগানিস্তান ও ভারতের মধ্যে পণ্য চলাচলে পাকিস্তান অনুমতি দিচ্ছে না৷ যদি দিত তাহলে আফগান পণ্য তাজা ও শুষ্ক ফল সরাসরি পাকিস্তান হয়ে ভারতের ওয়াগা চেক-পোস্ট পর্যন্ত আসতে পারত কম সময়ে এবং কম খরচে৷

পাকিস্তানের আপত্তির কারণ কী ? কারণটা সহজবোধ্য৷ আফগানিস্তানে ভারতের ক্রমবর্ধমান প্রভাব প্রতিপত্তি দৃঢ়মূল হোক, পাকিস্তানের কাছে সেটা গ্রহণযোগ্য নয়৷ এর পেছনে কাজ করছে ধর্মীয় জাতীয়তাবাদ এবং ভারতবিরোধী মনোভাব৷ পাকিস্তানের অভিযোগ আফগানিস্তানের কান্দাহার এবং জালালাবাদে ভারতীয় কনস্যুলেট থাকার কারণে পাকিস্তানের পশ্চিম সীমান্তে হিংসার আবহ তৈরি হয়েছে৷ কিন্তু আন্তর্জাতিক মহল মনে করছে, এটা অতিরঞ্জিত৷ তবে একেবারে ভিত্তিহীন নয়৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য