1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারত-নাইজেরিয়া

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি৮ নভেম্বর ২০১৩

গোয়ায় জনৈক নাইজেরিয়ান যুবকের হত্যাকাণ্ড নিয়ে ভারত ও নাইজেরিয়ার মধ্যে চলেছে কূটনৈতিক টানাপোড়েন৷ নাইজেরিয়ান দূতাবাসের দাবি, গোয়ায় বসবাসকারি নাইজেরিয়ানদের ওপর পুলিশি ব্যবস্থা বন্ধ করা হোক৷

https://p.dw.com/p/1ADjp
ভারতের গোয়ার সমুদ্র তীরবর্তী চাপোরা গ্রামে নাইজেরিয়ার এক যুবক খুন হনছবি: picture-alliance/AP Photo

গোয়ার রাজধানী পানাজি থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে উত্তর গোয়ার সমুদ্র তীরবর্তি চাপোরা গ্রাম৷ এই গ্রামে নাইজেরিয়ার এক যুবক খুন হলে গোয়ায় বসবাসকারি ৫০ হাজার নাইজেরিয়ান নাগরিকদের মধ্যে প্রায় ২০০ জনের একটি বড় দল এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদে৷ পুলিশ ৫৩ জন প্রতিবাদীকে আটক করে৷ ঐ হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে সুরেন্দ্র পাল নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷

এই নিয়ে শুরু হয় ভারত ও নাইজেরিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক চাপানউতোর৷ দিল্লির নাইজেরিয়ান হাইকমিশন থেকে এই ধরণের কাজকর্মে সামগ্রিকভাবে অপমান করা হয়েছে গোটা নাইজেরিয়াকে৷ নাইজেরিয়ানদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে ভারত সরকার৷ এটা খুবই স্পর্শকাতর ইস্যু৷ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করা হয়েছে৷ ভারতে নাইজেরিয়ান এবং নাইজেরিয়ায় ভারতীয় নাগরিকদের নিরাপত্তা নিয়ে মত বিনিময় হয়৷

এই হত্যাকাণ্ডের কারণ কী? পুলিশের মতে, এই খুনের ঘটনার পেছনে আছে ড্রাগ মাফিয়া চক্র আর নাইজেরিয়ানরা তারই এক অঙ্গ৷ বিজেপি শাসিত রাজ্য গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী মনে করেন, ড্রাগ ব্যবসায় রেষারেষির জেরেই এই হত্যাকাণ্ড৷ তিনি পুলিশকে নাইজেরিয়ানসহ সেইসব বিদেশিদের খুঁজে বের করতে বলেছেন, যাঁরা ভিসার মেয়াদ পার হয়ে যাবার পরও রয়েছেন৷ গোয়ার সমুদ্রতীরের পর্যটনস্থলগুলিতে ড্রাগ মাফিয়াদের রমরমা৷ নাইজেরিয়ান ছাড়াও আছে রাশিয়ান, ইসরায়েলি এবং স্থানীয় মাফিয়া৷ রুশ ও ইসরায়েলিরা বিক্রি করে সাধারণত এমএমএ-এর মতো উত্তেজক মাদক এবং চরস৷ আর নাইজেরিয়ানরা বেচাকেনা করে থাকে কোকেন৷ সব থেকে ভালো নেটওয়ার্ক আছে এই নাইজেরিয়ানদের৷ এরা ব্যবহার করে থাকে নেট এবং মোবাইল ফোন৷ কখনো কখনো এরা নিজেরাই নিয়ে আসে কোকেন৷ ধরা পড়লে এদের কাছ থেকে কথা বার করতে পুলিশকে হিমসিম খেতে হয়৷ গোয়ায় এখন এমন অবস্থা কেউ নাইজেরিয়ানদের ঘর ভাড়া দিতে চায় না৷ পুলিশ ভাড়াটে হিসেবে নাইজেরিয়ানদের উৎখাত করে দিচ্ছে৷ স্থানীয় ড্রাগ মাফিয়াদের সঙ্গে পুলিশের যথেষ্ট দহরম মহরম৷ মাঝে মধ্যে পুলিশ ড্রাগ মাফিয়াদের ডেরায় হানা দিলে তারা পুলিশকে জানিয়ে দেয় যে, কারা কারা ড্রাগ কেনে বা কিনেছে৷ পুলিশ তাদের ধরপাকড় করতে গেলে পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে তাদের দিতে হয় মোটা টাকার নজরানা৷ তার পরিবর্তে স্থানীয় ড্রাগ প্রভুরা ছাড় পেয়ে যায়৷ চাপোরা মার্কেটের মতো কয়েকটি কুখ্যাত বাজার আছে, যেখানকার রেস্তোরা বা বারে বসে চলে হাজার হাজার টাকার ড্রাগ বেচা-কেনা৷

নাইজেরিয়ার কনস্যুলার অ্যাটাশে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ভারতে বাস করে ৫০ হাজার নাইজেরিয়ান৷ কিন্তু মনে রাখতে হবে, নাইজেরিয়ায় বাস করে দশ লাখ ভারতীয়৷ ভারতে নাইজেরিয়ানদের হেনস্থা করা হলে নাইজেরিয়ার ভারতীয়দের সঙ্গে একই ব্যবহার করা হবে৷ তাঁদেরকেও ভাড়াটে হিসেবে ঘর থেকে বের কোরে দেয়া হবে৷ ড্রাগ ব্যবসা মাথায় থাকলে একটা সম্মানজনক নিষ্পত্তিতে আসা সহজ হবে না৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য