1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পরিস্থিতি ফের অগ্নিগর্ভ

৭ জুলাই ২০১০

নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সহিংস জনতার সংঘর্ষে চারজনের মৃত্যুর পর জম্মু-কাশ্মীরের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি রাজ্য প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় জারি করা হয় কারফিউ৷ নামানো হয় সেনাবাহিনী৷

https://p.dw.com/p/OD8l
শ্রীনগরসহ ভারত নিয়ন্ত্রিত সমগ্র কাশ্মীর উপত্যকায় ফ্ল্যাগমার্চ করেছে সেনাবাহিনীছবি: UNI

বুধবার দিল্লিতে নিরাপত্তা বিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটির বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবকে পাঠানো হয় শ্রীনগরে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে৷ সহিংসতা দীর্ণ জম্মু-কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে বুধবার নতুনদিল্লিতে বসে নিরাপত্তা বিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটির বৈঠক৷ পৌরহিত্য করেন প্রধানমন্ত্রী ডঃ মনমোহন সিং৷ স্থির হয় রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার কাজে রাজ্য সরকারকে সাহায্য করতে সেনা নামানো হবে৷ মারমুখি জনতা ও পুলিশের সংঘর্ষে গত দুদিনে চারজনের মৃত্যু হওয়ার পর পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রথমে জারি করা হয় অনির্দ্দিষ্টকালের কারফিউ৷ কিন্তু তাতেও কাজ না হওয়ায় রাজ্যের ওমর আবদুল্লা সরকার কেন্দ্রের কাছে সেনা সাহায্য চায়৷ রাজ্যের চলতি পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব জি.কে পিল্লাই প্রধানমন্ত্রির নির্দ্দেশে ইতিমধ্যেই শ্রীনগর রওনা হয়ে যান৷ সেখানে তিনি মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা এবং অন্যান্য পদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করে প্রধানমন্ত্রিকে রিপোর্ট দেবেন৷

Kaschmir Landschaft
কাশ্মীর উপত্যকায় মারমুখি জনতা ও পুলিশের সংঘর্ষে গত দুদিনে চারজনের মৃত্যু হয়েছেছবি: picture-alliance/ dpa

সেনাবাহিনী ইতিমধ্যেই শ্রীনগরসহ ভারত নিয়ন্ত্রিত সমগ্র কাশ্মীর উপত্যকায় ফ্ল্যাগমার্চ করেছে৷ তবে শহরের কেন্দ্রস্থলের বাইরে৷ প্রতিরক্ষা দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী এম.এম পাল্লাই রাজু সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, যতদিন দরকার ঠিক ততদিনই মোতায়েন রাখা হবে সেনা৷ তবে সেনাবাহিনীর ভূমিকা হবে সাহায্যকারীর৷ সেনা নামানোর যৌক্তিকতা সম্পর্কে তিনি বলেন, পরিস্থিতি যেভাবে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছিল, তাতে সেনা নামানো জরুরি ছিল৷ দ্বিতীয়ত, হিন্দু তীর্থযাত্রিদের অমরনাথ যাত্রাপথের নিরাপত্তার জন্য রাজ্য পুলিশের একটা বড় অংশকে মোতায়েন করা হয়৷ ফলে রাজ্য সরকারের হাতে যথেষ্ট পুলিশ নেই৷

কারফিউ কঠোরভাবে বলবত করায় শ্রীনগর মৃতনগরীর চেহারা নেয়৷ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের আটক করা হয়৷ নিরাপত্তা বাহিনীকে প্ররোচিত করতে কিছু লোককে পাথর ছোঁড়ার কাজে লাগানো হয়, যাতে উত্তেজনা বাড়ে৷ এদের কড়া হাতে দমন করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে বলা হয়৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক