1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে দুই দিনে ৬ বিক্ষোভকারী নিহত

১ আগস্ট ২০১০

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে এখন চলছে কারফিউ৷ কারণ আন্দোলন৷ দাবি- আলাদা রাষ্ট্র বা পাকিস্তানের সঙ্গে জুড়ে যাওয়া৷ আর এই আন্দোলন থামাতেই নিরাপত্তা বাহিনীর দমন অভিযান৷ তাতে গত দুই দিনে মারা গেছে ছয় তরুণ বিক্ষোভকারী৷

https://p.dw.com/p/OZB1
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে এক ভারতীয় সেনাছবি: AP

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের উত্তরাঞ্চলের জেলা বারামুল্লা৷ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত শহরটি৷ শনিবার সারা দিন জুড়েই সেখানে চলেছে বিক্ষোভ৷ নিরাপত্তা কর্মীদের দিকে পাথর ছুঁড়ে মারা, পুলিশ ফাঁড়িতে আক্রমণ, সামরিক বাহিনীর গাড়িতে আগুন লাগানো - এসবই ছিল বিক্ষোভের ভাষা৷ নিরাপত্তা বাহিনীও ছিল তৎপর৷ কখনো টিয়ার গ্যাস, কখনোবা আকাশে গুলি করে ভয় দেখানো – এই করে চেষ্টা করেছে বিক্ষোভকারীদের হটাতে৷ তবে এর মাঝেও একসময় পুলিশ গুলি চালায় পাথর ছুঁড়ে মারাদের দিকে৷ এতে প্রাণ হারায় ৩০ বছরের এক যুবক৷ স্থানীয় এক পুলিশ কর্মকর্তাই দিয়েছেন এসব তথ্য৷ তবে তিনি নিজের নাম প্রকাশ করতে চাননি৷

এতো গেল একজনের মৃত্যুর খবর৷ এমন আরেক ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে এক তরুণ, যে আর সবার সঙ্গে গিয়েছিল একটি পুলিশ ফাঁড়ি আক্রমণ করতে৷ সেসময় পুলিশ আবারও গুলি চালায় আক্রমণকারীদের ওপর৷

এসবই শনিবারের ঘটনা৷ এর আগে শুক্রবারে বিভিন্ন ঘটনায় মারা গিয়েছিল আরও চার জন৷ অর্থাৎ দুই দিনে মারা গেছে মোট ছয় জন৷ আর জুন মাসের ১১ তারিখ থেকে এ পর্যন্ত মারা গেছে কমপক্ষে ২৩ জন৷ এখানে জানিয়ে রাখি, জুনের ঐ তারিখে ১৭ বছরের এক তরুণ বিক্ষোভকারী পুলিশের টিয়ার শেলের আঘাতে মারা গেলে চারিদিকে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে৷ এখন পর্যন্ত হতাহতের যে সংখ্যা তাতে গত দুই বছরের মধ্যে এটাই সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ বলে মনে করা হচ্ছে৷

এদিকে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নেতা উমর ফারুক আন্দোলনকারীদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর এমন আচরণের নিন্দা জানিয়েছেন৷ তিনি বলেন, বিক্ষোভকারীরা নিজেদের ইচ্ছাতেই আন্দোলন করছিল৷ এছাড়া নিরীহ মানুষের প্রাণ রক্ষার্থে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বিশেষ করে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি৷

উল্লেখ্য, বিচ্ছিন্নতাবাদীদের এই নেতা ফারুক বর্তমানে গৃহবন্দী অবস্থায় রয়েছেন৷ কাশ্মীরের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভারত সরকারের সঙ্গে এর আগে বেশ কয়েকবার আলোচনায় বসেছেন তিনি৷ কিন্তু আলোচনায় বসার আগে এবার তিনি বেশ কিছু শর্ত জুড়ে দিয়েছেন৷ এর মধ্যে রয়েছে কাশ্মীর থেকে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহার, রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি ও কঠোর নিরাপত্তা আইন বাতিল৷

উল্লেখ্য, গত প্রায় ২০ বছর ধরে বিচ্ছিন্নতাবাদী রাজনীতিবিদ ও ইসলামি জঙ্গিরা আলাদা কাশ্মীর রাষ্ট্র গঠনের দাবিতে বিক্ষোভ করে আসছে৷ তাঁরা কাশ্মীরে ভারত সরকারের শাসন চান না৷ তবে প্রয়োজনে পাকিস্তানের সঙ্গে যেতে তাঁরা রাজি৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম