1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারত বনধে জনজীবনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

৫ জুলাই ২০১০

পেট্রো পণ্য ও অত্যাবশ্যক জিনিষপত্রের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সোমবার বিরোধী পক্ষের ডাকা দেশব্যাপি ১২ ঘণ্টার হরতালে স্বাভাবিক জনজীবন প্রায় অচল৷ বিশেষ করে বাম ও বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে৷

https://p.dw.com/p/OB3i
ভরত বনধে অচল কলকাতা শহরছবি: AP

কংগ্রেস শাসিত দিল্লিতে জনজীবন স্তব্ধ না হলেও বাস, মেট্রো ও শহরতলির ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয় যথেষ্ট৷ এছাড়া, যথারীতি বিক্ষিপ্ত সহিংসতা, সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর, রেল ও সড়ক অবরোধের ঘটনা ঘটে৷ পোড়ান হয় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রি শীলা দিক্ষিতের কুশপুত্তলিকা৷ দিল্লিতে বিক্ষোভ সমাবেশে বিজেপি সভাপতি নীতিন গাডকড়ি বলেন, ‘‘এই হরতাল মনমোহন সিং সরকারের ভ্রান্ত আর্থিক নীতির বিরুদ্ধে জনগণের প্রতিবাদ৷’’

পরে বিজেপি ও শরিকদলের নেতারা গ্রেপ্তার বরণ করেন৷ গ্রেপ্তার বরণ করার সময় সিপিআই-এম নেত্রী বৃন্দা কারাতের মন্তব্য, ‘‘এই প্রতিবাদ কোন বিশেষ রাজনৈতিক দলের নয়৷ এটা আমজনতার সমস্যার মিলিত প্রতিবাদ সরকারের ঘুম ভাঙ্গাতে৷’’ একই ভাষায় কথা বলেন সিপিআই নেতা ডি. রাজা৷ বলেন, ‘‘সরকার যদি এতে কান না দেন তাহলে বামদল বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে৷ সংসদে ঝড় উঠবে৷’’ উল্লেখ্য, পেট্রো পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি কোনমতেই তুলে নেওয়া হবেনা বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে সরকার৷

বাম শাসিত পশ্চিমবঙ্গে হরতাল প্রায় সর্বাত্মক৷ বিমান, ট্রেন, বাস ও অন্যান্য যানবাহন চলাচল করেনি৷ সরকারি অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অধিকাংশ দোকানপাট ছিল বন্ধ৷ বিহারে হরতাল প্রায় সর্বাত্মক৷ জায়গায় জায়গায় ট্রেন অবরোধ৷ অধিকাংশ দোকানপাট খোলেনি৷ মহারাষ্ট্রে হরতালের ব্যাপক প্রভাব পড়ে৷ পুণেতে ১০-১২টি সরকারি বাস জ্বালিয়ে দেয়া হয়৷ মুম্বাই-এ বিমান, ট্রেন, বাস চলাচল বিপর্যস্ত৷ জোরদার করা হয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা৷ উত্তরপ্রদেশে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় বিক্ষোভকারীদের৷ অন্ধ্রপ্রদেশে টিডিপি নেতা চন্দ্রবাবু নাইডু গ্রেপ্তার হন৷ অবশ্য তামিলনাড়ুতে বন্ধের প্রভাব তেমন পড়েনি৷

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রবীণ অধ্যাপক ডঃ অমল মুখোপাধ্যায় ধর্মঘট প্রসঙ্গে ডয়চে ভেলেকে বলেন, এই ধরণের হরতাল সম্পূর্ণ বেআইনি, অনৈতিক ও অসাংবিধানিক৷ মানুষের ব্যক্তি স্বাধীনতার পরিপন্থী৷ যে আমজনতার কথা বলে হরতাল ডাকা হয়, তাদের উপকারের বদলে অপকার হয়৷ একদিনের রুজি-রোজগার তাদের হারাতে হয়৷ এ জিনিষ আজ আর চলেনা৷ সেকেলে হয়ে গেছে৷ পাশাপাশি সরকারের উচিত হয়নি অল্প সময়ের ব্যবধানে পেট্রো পণ্যের দু’দুবার দাম বাড়ানো৷ বাজেটে একবার বাড়ানো হয়৷ তাই রাজনৈতিক দলগুলির উচিত প্রতিবাদের নতুন রাস্তা খুঁজে বের করা৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ