1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গোচারণ ও পরিবেশ

অরুণ শঙ্কর চৌধুরী২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫

আর্জেন্টিনার গাউচো-রা যেমন বিখ্যাত, তেমনি বিখ্যাত আর্জেন্টিনার বিফ, যা জার্মানির অফিস ক্যান্টিনগুলোতেও সার্ভ করা হয়ে থাকে৷ কিন্তু সেই বিফ-এর জন্য যে পরিমাণ পশুপালন দরকার, তা-তে কি পরিবেশের ক্ষতি হয় না?

https://p.dw.com/p/1GemK
Deutschland BdT Milchbauer Steffen Hinrichs
ছবি: picture-alliance/dpa/I. Wagner

দক্ষিণ এশীয় এলাকায় গোচারণ সংক্রান্ত পরিস্থিতি

একটু পুরনো পরিসংখ্যান বলছে, মঙ্গোলিয়ায় গোচারণভূমি জমির ৮০ শতাংশ, চীনে ৪৩ শতাংশ, এমনকি ইরানে ২৩ শতাংশ, কিন্তু এশিয়ার অধিকাংশ দেশে সাত শতাংশের কম৷ ভারতে ঐ পরিমাণ হলো চার শতাংশ, বাংলাদেশে আরো কম – কিন্তু নেপালে ১২ শতাংশ৷ ওদিকে এশিয়ায় পশুপালনের পরিমাণ খুব কম নয়; বিশেষ করে ভারত, চীন, পাকিস্তান, বাংলাদেশ বা ইন্দোনেশিয়ায় বেশিই বলা চলে৷ অথচ এই সব দেশে ‘কমিউনাল গ্রেজিং ল্যান্ড' বা গরু চরানোর সাধারণ জমি, ভারতে যাকে পঞ্চায়েতের জমি বা ‘গৌচর' বলা হয়ে থাকে – তা ক্রমেই কমে আসছে৷ একদিকে জবরদখল; অন্যদিকে সরকারি তরফে ভূমিহীন কৃষকদের মধ্যে বণ্টন; সেই সঙ্গে ক্রমেই আরো বেশিমাত্রায় গোচারণ৷ এর ফলে ধীরে ধীরে একটা সংকট সৃষ্টি হতে চলেছে৷

তা থেকে বাঁচার উপায়

‘রিহ্যাবিলিটেশন অফ ডিগ্রেডেড কমিউনাল গ্রেজিং ল্যান্ড' – অর্থাৎ সাধারণের জন্য গোচারণের জমির পুনর্বাসন নাম দিয়ে বিশ্বের নানা দেশে, নানা মহাদেশে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলেছে৷ আইব্রাউ পিট, অর্থাৎ ওপরের দিকে উঁচু, শক্ত ঘাস বসানো জল চোঁয়ানোর খাদ কেটে, কিংবা লাইভ ফেন্সিং, অর্থাৎ বিদ্যুৎ দেওয়া তারের বেড়া বসিয়ে, অনেক পন্থাতেই গরু চরানো নিয়ন্ত্রণ করার প্রচেষ্টা চলেছে৷ মূল লক্ষ্য হলো, গরু চরানোর ফলে প্রায় নেড়া মাঠে পরিণত হওয়া জমিতে আবার ঘাস, ঝোপঝাড় গজানোর ব্যবস্থা করা৷ মেইনটেন্যান্স খুব শক্ত নয়: ঝোপঝাড় মাঝেমধ্যে কেটে পানি যাওয়ার পথগুলো খোলা রাখা, সবই বর্ষা নামার আগে৷ তবে মানুষ আর সেই অনুপাতে পশুপালন বৃদ্ধি একটা সমস্যা থেকে যাচ্ছে৷ মনে রাখতে হবে, এ সব এলাকায় পশুপালন মানুষের জীবিকার একটা বড় অঙ্গ৷ ফলে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিতে গৃহপালিত পশুদের সংখ্যা জনসংখ্যার সমান কি তার চেয়ে একটু বেশি৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য