1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারত-বাংলাদেশ বিদ্যুৎ চুক্তি বাস্তবায়নে বিলম্ব

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি৯ জুন ২০১৩

ভারত-বাংলাদেশ আন্তঃসীমান্ত বিদ্যুৎ পরিবহণ চুক্তি বাস্তবায়নে বিলম্ব হওয়ায় এর খরচ বেড়ে যাবার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে৷ সীমান্তের উভয়দিকে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো তৈরির কথা ছিল ২০১২ সালে৷ কিন্তু এখনো সেটা হয়নি৷

https://p.dw.com/p/18mC3
ছবি: picture-alliance/dpa

দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুসারে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ঘাটতি মেটাতে ভারত ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রপ্তানি করবে বাংলাদেশকে৷

ভারত থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ পরিবহণের জন্য ভারতের পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশন এবং বাংলাদেশের পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির আন্তর্জাতিক সীমান্তের দুদিকে ১৯৭টি বিদ্যুৎ টাওয়ার নির্মাণ করার কথা৷ কিন্তু সেই কাজে বিলম্ব হওয়ায় প্রকল্পের খরচ অনেক বেড়ে ১,৬০০ কোটি টাকায় পৌঁছে যাবে বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ৷ নতুন সময়সূচিতে ভারতের দিকে এই কাজ শেষ হবার কথা ছিল ২০১৩ সালের মে মাসে আর বাংলাদেশের দিকে জুলাই মাসে৷ স্থানীয় বিবাদের জেরে দুটি টাওয়ার বসানো যায়নি৷

Symbolbild- Proteste in Pakistan Elektrizitätsknappheit
অবকাঠামো তৈরির কথা ছিল ২০১২ সালেছবি: Getty Images

বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি ভেড়ামারা থেকে ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর সীমান্ত পর্যন্ত ৪০ কিলোমিটার হাই-ভোল্টেজ লাইন বসাবে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির জন্য৷ এই ৫০০ মেগাওয়াটের মধ্যে ২৫০ মেগাওয়াট রপ্তানি করবে কমদামে এবং বাকি ২৫০ মেগাওয়াট বাংলাদেশ কিনবে বাজার দামে৷ এজন্য সীমান্তবর্তী মুর্শিদাবাদ জেলার নবগ্রাম ব্লকে ৩০ একর জমিতে ৪০০ কেভির সাব-স্টেশন বসাচ্ছে পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশন৷ আর বাংলাদেশের দিকে এই সাব-স্টেশন বসানো হচ্ছে ভেড়ামারায়৷ দুটির মধ্যে হাই-ভোল্টেজ লাইন টেনে বিদ্যুৎ আমদানি-রপ্তানি করা হবে৷

২০১৩ সালের মধ্যেই সীমান্তের দুদিকে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো তৈরি হয়ে যাবে বলে আশা করছে ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রণালয়৷ পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ পর্ষদ তার উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ বাংলাদেশকে বিক্রি করতে আগ্রহী, যাতে রাজ্যের বাড়তি আয়ের পথ খুলে যায়৷ কারণ প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিল্প রাজ্যে গড়ে না ওঠায় এই বিদ্যুৎ রপ্তানি করে রাজ্যের খরচ কিছুটা পোষানো সম্ভব হবে৷

রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ সূত্রের খবর, সবকটি ইউনিট চালু থাকলে দৈনিক ৭৫০ মেগাওয়াটের মতো বিদ্যুৎ বাড়তি হয়৷ সেথেকে ২৫০ মেগাওয়াট বাংলাদেশে রপ্তানি করলেও ৫০০ মেগাওয়াট উদ্বৃত্ত থেকে যাবে৷ তাই রাজ্যে নতুন বড় শিল্প গড়ে না উঠলে কিংবা বাংলাদেশের মত আরো গ্রাহক না পেলে লোকসানের বোঝা বহন করতে হবে৷ শীর্ষ কর্তাব্যক্তিদের মতে পশ্চিমবঙ্গে ভবিষ্যত শিল্প সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে নতুন নতুন বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল৷ সেগুলি গড়ে ওঠার পাশাপাশি প্রত্যাশিত মাত্রায় শিল্পায়ন হচ্ছে না৷

শুধু তাই নয়, ভারতের জাতীয় থার্মাল পাওয়ার কর্পোরেশনের বিদ্যুৎ ব্যাপার নিগন (এনভিভিএ ) এবং বাংলাদেশের পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড পিডিবি'র মধ্যে সমঝোতা চুক্তি অনুসারে বাংলাদেশে এক যৌথ উদ্যোগে ১,২৪০ মেগাওয়াট কয়লা-ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প হাতে নিয়েছে ভারত৷ বাংলাদেশে বিদ্যুতের অভাব পূরণে এক উচ্চাকাঙ্খামূলক পরিকল্পনায় ২০৩০ সাল পর্যন্ত ৪,৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা৷ ভারত-বাংলাদেশ কয়েকটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের সমীক্ষা কাজও শুরু করতে চলেছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য