1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভাল্লুকের মতো ঘুমোন, কুম্ভকর্ণের মতো নয়

১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১

এ্যালাস্কার ব্ল্যাক বেয়ার বা কালো ভাল্লুকরা শীত কাটায় স্রেফ ঘুমিয়ে৷ এই হল সেই হাইবারনেশন বা শীতনিদ্রা৷ কিন্তু অভ্যাসটা মানুষেরও কাজে আসতে পারে৷

https://p.dw.com/p/10JLt
জাগলে অবশ্য অন্য কথা!ছবি: AP

মার্কিন মুলুকের একেবারে উত্তরে এ্যালাস্কা, বরফের দেশ৷ সেখানে ঐ চরম শীতে না ঘুমিয়েই বা কি করার থাকতে পারে৷ কিন্তু তা বলে একেবারে পাঁচ মাস, না খেয়ে, না দেয়ে? সেটা সম্ভব হয় মেটাবলিক রেট বা বিপাকের হার কমে যাওয়ার ফলে৷ ভাল্লুকদের হৃৎপিণ্ডের স্পন্দন সাধারণত মিনিটে ৫৫ বার৷ শীতনিদ্রার সময় সেটাই হয়ে দাঁড়ায় মিনিটে মাত্র ১৪ বার৷ এছাড়াও কমে তাদের শরীরের তাপমাত্রা এবং যাকে বলে মেটাবলিক রেট বা বিপাকের হার৷

শীতনিদ্রার সময় ভাল্লুকদের শরীরের তাপমাত্রা কমে ৫-৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস৷ ওদিকে তাদের বিপাকের হার প্রায় ২৫ শতাংশ কমে যায়৷ এ'সবই একবার ভালো করে পর্যবেক্ষণ করে দেখা দরকার, ভেবেছিলেন এ্যালাস্কা ইউনিভার্সিটির গবেষকরা৷ সেই সুযোগ আসে যখন তারা খবর পান যে, এ্যালাস্কার বনবিভাগের হাতে পাঁচটি কালো ভাল্লুক ধরা পড়েছে৷ ও বেচারারা খিদের তাড়নায় জনবসতির বড় কাছাকাছি এসে পড়েছিল৷

ভাল্লুকরা শীত কাটায় কোনো গুহা কি খোঁদলে৷ এবার তাদের চরম বিগ ব্রাদারের অবস্থায় রাখা হল: সারা শরীরে ঢোকানো সেন্সর, দেহের কোন অংশের ক্রিয়া কিরকম হচ্ছে, তার হিসাব করা এবং রাখার জন্য৷ তাদের যে খাঁচাগুলোয় রাখা হল, সেগুলিতেও একাধিক ইনফ্রা-রেড ক্যামেরা লাগানো৷ অর্থাৎ গভীর ঘুমের মধ্যেও তারা কি করছে বা না করছে, তাদের দেহের মধ্যে কি ঘটছে বা না ঘটছে, তার হিসাব রাখার ব্যবস্থা হয়ে গেল৷

এখন ভাল্লুকের ঘুম নিয়ে এতো গবেষণায় লাভ? গবেষকরা বলছেন, এই ধরা যাক কারো হয়তো সেরেব্রাল স্ট্রোক হয়েছে৷ ভাল্লুকদের মতো সেই রোগীর মেটাবলিজম বা বিপাকও যদি ব্যাপকভাবে কমিয়ে আনা যায়, তবে স্থায়ী ব্রেন ড্যামেজ কম হতে পারে, চিকিৎসার আরো বেশী সময় পাওয়া যায়৷ - অথবা মঙ্গলগ্রহে মানুষ পাঠানোর সময় একটি মূল সমস্যা হবে, দীর্ঘসময় নিষ্ক্রিয় থাকার ফলে মহকাশচারীদের পেশীর ক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে৷ যা তারা শীতনিদ্রায় থাকলে ঘটবে না৷

শুধু একটা খটকাই থেকে যাচ্ছে: ভাল্লুকরা তদের মেটবলিজম বা বিপাকের হার এমন কমায় কি করে?

কালো ভাল্লুকরা নিঝুম ঘুমে, তাই তারা নিরুত্তর৷

প্রতিবেদক: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: সাগর সরওয়ার