1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভোপাল গ্যাস দুর্গতদের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ভারতের নতুন উদ্যোগ

১৮ জুন ২০১০

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পুনর্গঠিত বিশেষ মন্ত্রিগোষ্ঠীর বৈঠক শুরু হয়েছে শুক্রবার থেকে৷ চলবে সোমবার পর্যন্ত৷ রিপোর্ট পেশ করতে হবে ক্যাবিনেট কমিটিতে ২৪শে জুন৷

https://p.dw.com/p/NwdN
আদালতের রায়ের পর প্রতিবাদ বিক্ষোভছবি: AP

ভোপাল গ্যাস দুর্গতদের বিভিন্ন অভাব অভিযোগ খতিয়ে দেখে তার বিহিত করার উপায় সুপারিশ করবেন ৭জনের এই কমিটি – যার নেতৃত্ব করছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি. চিদাম্বরম৷

ভোপাল গ্যাস দুর্গতদের প্রতি অবিচারের প্রতিবাদে দেশব্যাপী বিক্ষোভ এবং রাজনৈতিক চাপ যেভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে, তাকে সামাল দিতে প্রধানমন্ত্রী ডঃ মনমোহন সিং তড়িঘড়ি বিশেষ মন্ত্রিগোষ্ঠী পুনর্গঠিত করে তার বিহিত করতে উদ্যোগী হয়েছেন৷ কমিটির আলোচ্য সূচির শীর্ষে আছে প্রথমত আইনি ইস্যু৷ ১৯৯৬-এ সুপ্রীম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধকে লঘু করার ফলে আসামিদের ১০ বছর জেলের জায়গায় হয় মাত্র দুবছর জেল – সেটার সংশোধনী পিটিশন দাখিল করা৷ দ্বিতীয়ত, ইউনিয়ন কার্বাইড কারখানার বিষাক্ত এলাকা দুষণমুক্ত করা৷ এই কাজ কাকে দিয়ে করানো হবে এবং কে তার ব্যয় বহন করবে, তা স্থির করতে হবে৷ তৃতীয়ত, ইউনিয়ন কার্বাইডের প্রাক্তন প্রধান ওয়ারেন এ্যান্ডারসনকে ভারত ছেড়ে যেতে দেবার জন্য মূলতঃ দায়ী কে, তা জানতে হবে৷ চতুর্থত, গ্যাস দুর্ঘটনায় মৃতদের প্রকৃত সংখ্যা ঠিক কত, তার হিসাব চাই৷ উল্লেখ্য, সরকারি হিসেব মত এই সংখ্যা চার হাজারের মত – বেসরকারি মতে ১৫ থেকে ২০ হাজার৷ ক্ষতিপূরণ নিয়েও ক্ষোভ রয়েছে৷ গ্যাস দুর্গতরা আগে যে পরিমাণ অর্থ পেযেছে, তা অতি সামান্য৷ এর পরিমাণ বাড়ানোর জন্য চাপ বাড়ছে৷ উল্লেখ্য, মন্ত্রিগোষ্ঠীর বৈঠকের আগেই পরিকল্পনা কমিশন দুর্গতদের স্বাস্থ্য ও চিকিত্সা বাবদ আগাম এক হাজার কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে৷

গ্যাস পীড়িতদের জন্য যেসব এ জিও শুরু থেকে লড়াই চালিয়ে আসছে ভূপালি সংস্থা তাদের অন্যতম৷ সংস্থার আহ্বায়ক নিত্যানন্দন জয়রামন ডয়েচে ভেলেকে বলেন, সরকারের কাছে তাদের দাবি, জীবিতদের পুনর্বাসন, গ্যাস দুর্ঘটনাকে ফৌজদারি অপরাধ গণ্য করে মামলার পুনর্বিচারের জন্য এক বিশেষ সেল গঠন যাতে ভারতীয় অপরাধীদের সাজা বাড়ানো যায়, এবং ইউনিয়ন কার্বাইডের প্রধান এ্যান্ডারসনকে ভারতে আনা হয় বিচারের জন্য৷ ক্ষতিপূরণের পরিমাণ স্থির করতে হবে জীবিতদের সঙ্গে পরামর্শ করে৷ গ্যাস দুর্গতদের জন্য ২৬ বছর পর আজ যেভাবে সবাই এত সোচ্চার, সেটা আগে হয়নি কেন এই অভিযোগ খণ্ডন করে জয়রামন বলেন, এই অবিচারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে ১১২৬ বার, অনশন হয়েছে ১২০ বার, ২০০০ হাজার কিলোমিটার পায়ে হেঁটে ভোপাল থেকে দিল্লি গেছে দুর্গতরা ন্যায়বিচারের আশায়৷ জার্মানিসহ বিশ্বের অনেক দেশে বিক্ষোভ দেখানো হয়৷ সেক্ষেত্রে মিডিয়ার ভূমিকাই দুঃখজনক৷ মিডিয়াই ঠিকমতো তা তুলে ধরেনি৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন