1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভোপাল দুর্ঘটনা নিয়ে হলিউডের ছবি

২৩ জুন ২০১০

চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অনেক সত্য তথ্য বের হয়ে আসে৷ আবার উল্টোটাও ঘটে থাকে৷ অর্থাৎ একটি সত্য ঘটনাকেও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ভিন্নভাবে দেখানোর জন্য চলচ্চিত্রকে ব্যবহার করা হয়ে থাকে৷

https://p.dw.com/p/O0Tq
ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন কার্বাইড লিমিটেড এর প্রবেশ পথ (ফাইল ছবি)ছবি: AP

ভারতের ভোপাল দুর্ঘটনা নিয়ে সম্প্রতি হলিউড একটি ছবি নির্মাণ করছে, যার নাম ভোপাল এ প্রেয়ার ফর রেইন৷ ৩৮ বছর বয়স্ক পরিচালক রবি কুমারের পরিচালিত এই ছবিটি আগামী ডিসেম্বর মাসে মুক্তি পাবার কথা রয়েছে৷ এতে রয়েছেন হলিউডের নামকরা অভিনেতা মার্টিন শিন৷ ছবিটিতে তিনি মার্কিন কোম্পানি ইউনিয়ন কার্বাইডের প্রধান নির্বাহী ওয়ারেন অ্যান্ডারসনের নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন৷ কিন্তু ইতিমধ্যে এই ছবিটি নিয়ে আপত্তি তুলেছে ভোপাল দুর্ঘটনায় যারা বেঁচে গিয়েছিলেন সেসব মানুষদের নিয়ে গঠিত একটি সংগঠন৷

ওই সংগঠনের কর্মি রচনা ধিংরা এই ছবির কাহিনী পড়েছেন৷ তিনি এই ছবির সমালোচনা করে বলেন, এই ছবির কাহিনী দেখে মনে হচ্ছে ওয়ারেন অ্যান্ডারসনের নেওয়া সিদ্ধান্তকে সঠিক বলে দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে৷ এছাড়া অনেক ঘটনাকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে৷ রচনা ধিংরা এই ছবির কাহিনী পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে বলেন, সত্য ঘটনা কেউ বদলে ফেলতে পারবে না৷ তাঁর সংগঠন এই ছবির কিছু অংশ পরিবর্তনের জন্য নির্মাতাদের সঙ্গে দেখা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেও জানিয়েছেন রচনা ধিংরা৷

এদিকে এই ধরণের সমালোচনার ব্যাপারে হলিউড অভিনেতা মার্টিন শিন জানিয়েছেন, ইউনিয়ন কার্বাইডের প্রধান নির্বাহী ওয়ারেন অ্যান্ডারসনের নাম ভূমিকায় অভিনয় করলেও তার জন্য কোন সহানুভূতি তাঁর নেই৷ উল্লেখ্য, ভোপাল দুর্ঘটনার পরপর অ্যান্ডারসন যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে যান৷ তার বিরুদ্ধে এখনও ভারত সরকারের হুলিয়া জারি রয়েছে৷ ভোপাল দুর্ঘটনার পর ওয়ারেন অ্যান্ডারসন এখন একটি ঘৃণ্য নাম হিসেবে রয়ে গেছে গোটা ভারতবাসীর মনে৷ উল্লেখ্য, ভোপাল দুর্ঘটনায় একরাতেই প্রাণ হারিয়েছিল তিন থেকে চার হাজার মানুষ৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই