1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মঙ্গোলিয়ায় নারীরাও বনরক্ষী

ইউরি রেশেটো/এসি২৮ জুন ২০১৪

জার্মান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সমিতি জিআইজেড নানা ধরনের উন্নয়ন প্রকল্পে সাহায্য করে থাকে৷ তার মধ্যে পড়ে মঙ্গোলিয়ার উত্তরে একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, যেখানে মহিলারা শিখছেন ভবিষ্যৎ বনরক্ষীদের কাজ৷

https://p.dw.com/p/1CRMI
ছবি: Sao Sokol

সে কাজের একটি বড় অংশ হলো পরিবেশ সংরক্ষণ৷ এমনকি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পাঠ্যবইগুলো রচনায় সাহায্য করেছেন জার্মান বন বিভাগের কর্মীরা৷ কেমন চলেছে এই পাঠক্রম? জিআইজেড মঙ্গোলিয়ায় অরণ্য সংরক্ষণেও সাহায্য করে থাকে, মঙ্গোলিয়া সরকারকে পরিবেশ সংক্রান্ত প্রকল্পের বাস্তবায়নেও সাহায্য করে৷

মঙ্গোলিয়া সরকার ও দেশের পরিবেশ মন্ত্রণালয় আইনের সংস্কার করেছেন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে মোকাবিলার জন্য একটি জাতীয় পরিকল্পনা সৃষ্টি করেছেন৷ কিন্তু সেই পরিকল্পনার বাস্তবায়নের জন্য প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কর্মীর অভাব৷ জিআইজেড ঠিক সেখানেই সাহায্য করছে৷

স্যুঞ্চারা শহরটি ঠিক যেখানে ‘তাইগা' বনভূমি ‘স্টেপ', অর্থাৎ খোলা প্রান্তরে পরিণত হয়, সেখানে অবস্থিত৷ অঞ্চলের বৃহত্তম পেশাদারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এই স্যুঞ্চারায়৷ এখানে বনরক্ষী ও পরিবেশ প্রযুক্তিবিদদেরও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়৷ পাঠ্যবইগুলো রচনা করা হয়েছে জার্মান বন বিভাগের কর্মীদের সহযোগিতায়৷

প্রশিক্ষণার্থীদের শিখতে হয়, নার্সারিতে কী ভাবে গাছ লাগাতে হয়, ছোট ছোট চারাগুলোর দেখাশোনা করতে হয়, অথবা প্রতি হেক্টর জঙ্গল থেকে কী পরিমাণ গাছ কাটলে সেই জঙ্গলের কোনো ক্ষতি হয় না৷ পরে এই প্রশিক্ষণার্থীরাই আবার এ সব অন্যদের শেখাবে৷

সঠিক পেশা

এঁদের মধ্যে কয়েকজন সবে কাজ শুরু করেছেন, অন্যরা এর আগে বেকার ছিলেন৷ এখন বিশেষ করে মহিলাদের এই পেশাটির জন্য উদ্বুদ্ধ করার প্রচেষ্টা চলেছে৷ এংখসায়া এনখবাৎ-এর ভাষ্যে: ‘‘আমি যখন আমার বাবা-মাকে বললাম যে, আমি বনরক্ষী হতে চাই, তখন তাঁরা খুব আনন্দিত হয়েছিলেন – প্রধানত আমার কথা ভেবে৷ আমার বাবার এক টুকরো জমি আছে, সরকারের কাছ থেকে আগামী ৬০ বছরের জন্য ইজারা পেয়েছেন৷ প্রতিবার আমি যখন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে বাড়ি আসি, বাবা-মা আমাকে উৎসাহিত করেন, আরো পড়ো, এংখসায়া, জঙ্গলে ঘুরে দেখো, অনেক শেখো, যাতে আমাদের কাছে যেটা একটা সখ, সেটা তোমার পেশা হয়ে উঠতে পারে, তোমার সঠিক পেশা৷''

এংখসায়া যাতে শেষমেষ একটা চাকরিও পান, সেজন্য স্যুঞ্চারার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র কয়েকটি কোম্পানির সঙ্গে একত্রে কাজ করছে, তার একটি হলো এই কাঠকল৷ সরকার চান যে, ভবিষ্যতে শুধু অনুমোদিত কোম্পানিরাই জঙ্গল থেকে কাঠ কিনতে পারবে৷ সে অনুমোদন পাবার জন্য কোম্পানিগুলিকে নিশ্চিত করতে হবে যে, তারা যেন জঙ্গল থেকে মাত্রাধিক কাঠ না কাটে এবং তাদের কর্মী হিসেবে শুধু প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত পরিবেশ প্রযুক্তিবিদদের নিয়োগ করে৷

পরিকল্পনার বাস্তবায়নের জন্য মঙ্গোলিয়ার প্রায় তিন হাজার বনরক্ষীর প্রয়োজন৷ এঁদের এক-তৃতীয়াংশ আগামী তিন বছরেই প্রশিক্ষণ সমাপ্ত করে বের হবেন৷ তারপর তাঁদের প্রচেষ্টা হবে, তাইগা বনভূমির তিলে তিলে মৃত্যু রোধ করা৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য