1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মনমোহন সিং মন্ত্রিসভায় রদবদল আসন্ন

১৮ জানুয়ারি ২০১১

প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং যে তাঁর মন্ত্রিসভায় রদবদল করতে চলেছেন, গতকাল রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং আজ কংগ্রেস তথা জোট সরকারের চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে ঘণ্টা দেড়েক আলোচনাতে সেটা স্পষ্ট হয়ে গেছে৷

https://p.dw.com/p/zzD4
প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংছবি: picture-alliance/Bildfunk

সম্ভবত আগামীকালই সরকারিভাবে সেকথা ঘোষণা করা হতে পারে৷ দুর্নীতি, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, প্রশাসনিক অনিয়ম ইত্যাদিতে মনমোহন সিং-এর জোট সরকারের ভাবমূর্তি আজ তলানিতে৷ সংসদের আসন্ন বাজেট অধিবেশন এবং বিরোধী পক্ষের আক্রমণের মুখে সরকারের ভাবমূর্তি চাঙ্গা করতে মন্ত্রিসভার রদবদল এক জরুরি পদক্ষেপ৷ সেজন্য প্রধানমন্ত্রী আনতে চাইছেন পরিচ্ছন্ন ও কর্মদক্ষ তরুণ প্রতিভাকে৷ তবে কাকে রাখবেন, কাকে বাদ দেবেন, কাকে সরাবেন সেই সমীকরণের কাজটা সহজ নয়৷ কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবিষয়ে আলোচনা করতে তাঁর রাজনৈতিক সচিব আহমেদ প্যাটেলকে নিয়ে আজ যান প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে৷ আলোচনা হয় ঘণ্টা দেড়েক৷

Manmohan Singh und Sonia Gandhi
মনমোহন সিং ও কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীছবি: AP

জানা গেছে বড়রকম রদবদল হয়ত হবেনা৷ তিনজন মন্ত্রীর পদ শূন্য৷ ডিএমকে দলের এ.রাজা, পৃথ্বীরাজ চহ্বন এবং শশী থারুর৷ টেলিকম কেলেঙ্কারিতে ইস্তফা দেন রাজা, পৃথ্বীরাজ চহ্বন চলে যান মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হয়ে আর শশী থারুর ইস্তফা দেন আইপিএল ক্রিকেটে সন্দেহজনক ভূমিকার জন্য৷ দপ্তর বদল হতে পারে মানব সম্পদ মন্ত্রী কপিল সিব্বাল এবং খাদ্য ও কৃষিমন্ত্রী শরদ পাওয়ারের৷ বর্তমানে কপিল সিব্বালের হাতে আছে অতিরিক্ত টেলিকম দপ্তর৷ শোনা যাচ্ছে সিব্বালকে পাকাপাকিভাবে টেলিকম মন্ত্রী করে মানব সম্পদ দপ্তর দেয়া হতে পারে অন্য কাউকে৷ সম্ভাব্য নাম বর্তমান আইনমন্ত্রী মইলি এবং কংগ্রেস নেতা জনার্দন দ্বিবেদী৷ শরদ পাওয়ারের হাত থেকে একটি দপ্তর কম করা হবে – হয় কৃষি না হয় খাদ্য৷

কিছু প্রবীণ মন্ত্রীকে মন্ত্রীসভা থেকে সরিয়ে এনে দলের সাংগঠনিক কাজে লাগানো হবে৷ যেমন, গ্রামীণ বিকাশ মন্ত্রী সি.পি যোশি, ভারি শিল্পমন্ত্রী বিলাসরাও দেশমুখ৷ তবে অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়, প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ.কে অ্যান্টনি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি.চিদাম্বরম এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস.এম কৃষ্ণা স্বপদেই বহাল থাকবেন বলে মনে হচ্ছে৷ উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে সংখ্যালঘু ও কর্পোরেটমন্ত্রী সলমান খুর্শিদ এবং কয়লামন্ত্রী শ্রীপ্রকাশ জয়শওয়ালকে পূর্ণমন্ত্রী করার সম্ভাবনা আছে৷ ডিএমকে দলের রাজা জায়গায় দলের প্রবীণ নেতা টি.আর বালুর নাম শোনা যাচ্ছে৷ পাশাপাশি,তৃণমূল কংগ্রেস মন্ত্রীসভায় আরো একটি আসন দাবি করেছে৷ সে পদের জন্য দলের সাংসদ সুদীপ বন্দোপাধ্যায়ের নাম উঠেছে৷ এই রদবদলে কি সরকারের ভাবমূর্তি চাঙ্গা হবে? প্রশ্ন সেটাই৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন