1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মন্দা মোকাবিলার বৈঠক আজ জি এইটে, আশাবাদী নন ম্যার্কেল

২৬ জুন ২০১০

ক্যানাডায় চলতি জি এইট সম্মেলনের সাইডলাইনে নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের সঙ্গে আজই প্রথম একান্ত বৈঠক ওবামার৷

https://p.dw.com/p/O3sJ
আশাবাদী নন ম্যার্কেলছবি: AP

এদিকে, ব্যাংকের মুনাফায় কর বসানোর যে প্রস্তাব ম্যার্কেল করেছেন, তাতে তেমন সাড়া মেলে নি বলে তিনি হতাশ৷

নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রথম বৈঠক আজ শনিবার৷ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে জি এইট সম্মেলনের সাইডলাইনে৷ দুই নেতার আলোচনায় অবশ্যই উঠে আসবে আফগানিস্তান প্রসঙ্গ৷ ক্যামেরন সম্প্রতি আরও একটি বোমা ফাটিয়েছেন৷ আফগানিস্তান থেকে ব্রিটিশ সেনা ফিরিয়ে নেওয়ার দিনক্ষণ মোটের ওপর ঘোষণা করে দিয়ে তিনি বলেছেন, বড়জোর পাঁচ বছর, তার মধ্যেই যাবতীয় ব্রিটিশ সেনা আফগানিস্তান থেকে ফিরিয়ে নিতে চান তিনি৷ প্রসঙ্গত, আফগানিস্তানে এই মুহূর্তে রয়েছে ১০ হাজার ব্রিটিশ সেনা৷ সংখ্যার দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ঠিক পরেই৷ ওবামা ক্যামেরনের বৈঠকে সম্ভবত এই প্রসঙ্গটিও আজ উঠতে চলেছে৷

শুধু ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেই নয়, জি এইট সম্মেলনে আজ ওবামার সঙ্গে পৃথক বৈঠকে মিলিত হবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং, চীনের প্রেসিডেন্ট হু জিনতাও, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি মিউং বাক, জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী নাওতো কান এবং ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট সুশীলো বামবাং ইয়োধোইয়োনো৷ সেই হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার জন্য জি এইট সম্মেলন শুরুর দিনটির গোটাটাই ব্যস্ততায় ভরা৷

কিন্তু, এই সম্মেলনে নিজের প্রস্তাব সেভাবে গ্রাহ্য না হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেওয়ায় কিছুটা হতাশ জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ আজ শনিবার সন্ধ্যায় জি এইট নেতাদের যে অধিবেশন রয়েছে সেখানে আলোচনার বিষয় বিশ্বজোড়া আর্থিক মন্দার মোকাবিলার উপায় সন্ধান৷ জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল সেই অধিবেশনে যে বিষয়টির ওপর চাপ দিতে চান, তা হল ব্যাঙ্ক এবং অর্থঋণদানকারী সংস্থাগুলির ওপর বিশেষ করের ব্যবস্থা করা৷ চ্যান্সেলর ম্যার্কেলের মতে, এই ব্যবস্থার ফলে সরকারের রাজস্বের মাত্রা যেমন বাড়বে তেমনই তার প্রভাবে মন্দা মোকাবিলায় মিলবে আর্থিক সহায়তা৷ কিন্তু জার্মানির এই প্রস্তাব কতটা গ্রাহ্য হবে তা নিয়ে সংশয় ব্যক্ত করেছেন ম্যার্কেল৷ ওবামা সহ অন্যান্য জি এইট নেতারা চাইছেন ব্যয়সংকোচ এবং অর্থ সঞ্চয়ের মাধ্যমে মন্দা পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে৷ ফলে জার্মানির এই প্রস্তাব আন্তর্জাতিক স্তরে কতদূর এগোতে পারবে তা নিয়ে সংশয় রয়েই যাচ্ছে৷ সমস্যা হল, জি এইটভূক্ত দেশগুলি এ বিষয়ে ঐকমত্যে না পৌঁছতে পারলে একা জার্মানির পক্ষে এই কর আরোপ করা সম্ভবপর নয়৷

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা : জাহিদুল হক