1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মস্কোর উপর চাপ বাড়ছে

২৫ মার্চ ২০১৪

শেষ পর্যন্ত ক্রাইমিয়ায় নিজেদের কোণঠাসা সৈন্যদের প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হলো ইউক্রেন৷ এদিকে নেদারল্যান্ডসে জি-সেভেন ও আণবিক নিরাপত্তা শীর্ষ সম্মেলনে মস্কোর বিরুদ্ধে আরও শাস্তিমূলক পদক্ষেপ সম্পর্কে আলোচনা হচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/1BV8a
হেগ-এ জমায়েত হয়েছেন পশ্চিমা দেশগুলির শীর্ষ নেতারাছবি: Reuters

রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ক্রাইমিয়াকে রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত করার কাজ শেষ হয়ে গেছে, যদিও এই পদক্ষেপের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি মেলেনি৷ কিন্তু ক্রাইমিয়ায় থেকে যাওয়া সৈন্যদের জন্য প্রতিটি দিনই অত্যন্ত কঠিন হয়ে উঠছে৷ বিনা বাধায় রুশ বাহিনী একের পর এক ইউক্রেনীয় স্থাপনায় হানা দিচ্ছে৷ সোমবারই ইউক্রেনীয় নৌ-বাহিনীর এক জাহাজে হামলা ঘটেছে৷ অত্যন্ত অপমানজনক অবস্থায় ইউক্রেনীয় সৈন্যদের সরে দাঁড়াতে হচ্ছে৷ এমনকি সংঘাতের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না৷ সামান্য প্ররোচনা থেকেও মারাত্মক পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারতো৷ এই অবস্থায় কিয়েভের সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ক্রাইমিয়া থেকে ইউক্রেনীয় সৈন্যদের ক্রাইমিয়া উপদ্বীপ ছেড়ে মূল ভূখণ্ডে ফিরে আসার নির্দেশ দিয়েছে৷ ক্রাইমিয়ার বর্তমান প্রশাসন জানাচ্ছে যে, ইউক্রেনীয় সৈন্যদের একাংশ শিবির বদল করে তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে৷ বাকিরা ক্রাইমিয়া ছেড়ে চলে যাচ্ছে৷

Krim Krise Soldaten Abzug 23.03.2014 Simferopol
ক্রাইমিয়া ছেড়ে চলে যাচ্ছে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীছবি: picture-alliance/Itar-Tass

ক্রাইমিয়ার প্রশ্নে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ঐকমত্য আরও জোরালোভাবে প্রদর্শন করতে নেদারল্যান্ডসের রাজধানী দ্য হেগ-এ জমায়েত হয়েছেন পশ্চিমা দেশগুলির শীর্ষ নেতারা৷ রাশিয়াকে জি-এইট থেকে সরিয়ে দিয়ে আবার শিল্পোন্নত দেশগুলির গোষ্ঠী জি-সেভেন কাঠামো চালু করা হয়েছে৷ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জেমস ক্যামেরন সোচি শহরে নির্ধারিত জি-এইট শীর্ষ সম্মেলনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন৷ বাকি সাতটি দেশের নেতারা দুই দিনের শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন৷ সেইসঙ্গে অনুষ্ঠিত হচ্ছে আণবিক নিরাপত্তা শীর্ষ সম্মেলনও৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সোমবার বলেছেন, ইউক্রেনের সরকার ও জনগণের প্রতি সমর্থনের প্রশ্নে ইউরোপ ও অ্যামেরিকা ঐক্যবদ্ধ৷ এই পদক্ষেপের মূল্য চোকাতে রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়েও এখনো পর্যন্ত ঐক্য বজায় রয়েছে৷ জি-সেভেন সম্মেলনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে৷

পশ্চিমা বিশ্বের তর্জন-গর্জন সত্ত্বেও রাশিয়ার সিদ্ধান্তের কোনো সামরিক প্রতিক্রিয়া দেখানোর মতো পরিস্থিতি এখনো আসেনি৷ কিন্তু ইউক্রেনের পূর্ব সীমান্তে রুশ বাহিনীর সংখ্যা বেড়ে চলায় বিষয়টির উপর কড়া নজর রাখছে সামরিক জোট ন্যাটো৷ ক্রাইমিয়ার ধাঁচে ইউক্রেনের পূ্র্বাঞ্চলেও রুশ বংশোদ্ভূত জনগোষ্ঠীর স্বার্থে মস্কোর হস্তক্ষেপের আশঙ্কা করছে কিয়েভের সরকার৷ রাশিয়া এমন সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দিলেও সংশয় কাটছে না৷ মার্কিন প্রশাসন রাশিয়ার সঙ্গে উত্তেজনা বাড়ার আশঙ্কা নিয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়ে উঠছে বলে জানিয়েছে৷

এসবি/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য