1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মহাকাশ অভিযানে প্রতিযোগী

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি৭ নভেম্বর ২০১৩

মঙ্গলযানের সফল উৎক্ষেপণে ভারত কী মহাকাশ অভিযানে প্রতিবেশী চীনের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠবে? এই প্রশ্নটা ঘোরাফেরা করছে রাজনৈতিক অঙ্গনে এবং সংবাদ মাধ্যমগুলিতে৷ বলা বাহুল্য, প্রশ্নটা উড়িয়ে দেবার মতো নয়৷

https://p.dw.com/p/1AD8V
epa03935453 A handout photograph made available by the Indian Space Research Organization (ISRO) shows the Polar Satellite Launch Vehicle PSLV-C25 payloading fairing containing Mars Orbiter Mission Spacecraft or Mangalyaan at the Satish Dhawan Space Center Sriharikota in Andhra Pradesh about 80 kilometers from Chennai, India, 04 November 2013. Five years after it sent the cheapest-ever mission to the moon, India is set to launch a Mars mission for 80 million dollars. Mangalyaan, the Mars orbiter mission of India's space programme, is scheduled to launch on 05 November and a successful voyage and orbit insertion - about 300 days away - would make it the first Asian nation to reach the red planet. EPA/INDIAN SPACE RESEARCH ORGANIZATION / HANDOUT HANDOUT EDITORIAL USE ONLY/NO SALES
ছবি: picture-alliance/dpa

মঙ্গল অভিযান সফল হলে ভারত হবে এশিয়ার প্রথম দেশ যে লালগ্রহে পৌঁছতে পেরেছে৷ প্রতিবেশী চীনের ক্ষমতার দিকে ছুঁড়ে দেবে এক প্রতীকী চ্যালেঞ্জ, যেটা চীনের পক্ষে হজম করা বেশ শক্ত হবে৷ দুবছর আগে চীনের মঙ্গল অভিযান ব্যর্থ হয়েছিল৷ চীন তাই তার মহাকাশ অভিযান আরো জোরদার করতে বিনিয়োগ বাড়াবে৷ চীন তখন ঝুঁকতে পারে মহাকাশের সামরিকীকরণের দিকে৷ বাড়বে উত্তেজনা, তৈরি হবে সংঘাতের পথ৷ এই রেষারেষিকে কেন্দ্র করে এশিয়া হয়ে উঠবে মহাকাশ অভিযান প্রতিযোগিতার নতুন উৎসভূমি৷ জাতীয় নিরাপত্তার দিক থেকে চীনের ক্রমবর্ধমান মহাকাশ শক্তি ভারতের কাছেও হয়ে উঠতে পারে এক নতুন চ্যালেঞ্জ৷

মহাকাশ বিজ্ঞানে চীনের নেতৃত্বকে ভারতের মঙ্গল অভিযান হেলিয়ে দিয়েছে৷ অভিযানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে মহাকাশ-ভিত্তিক ক্ষমতা এবং মর্যাদা৷ যদিও ভারত মনে করে এই নিয়ে প্রতিযোগিতার প্রশ্ন ওঠে না৷ এটা ভারতের মহাকাশ বিজ্ঞানের অগ্রগতির ধারাবাহিকতা৷ পর্যবেক্ষকরা অবশ্য মনে করেন, মহাকাশ দখলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা থামবার নয়৷ চীন, জাপান ও ভারতের পর আসতে পারে দক্ষিণ কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, তাইওয়ান প্রভৃতি দেশ৷

কোনো কোনো মহল ভারতের মঙ্গল অভিযানের সমালোচনা করতেও ছাড়ছে না৷ বলা হচ্ছে, ভারতের মত দেশে ৪৫০ কোটি টাকা সামাজিক কল্যাণে খরচ না করে লালগ্রহে মঙ্গলযান পাঠানোটা কী এতই জরুরি ছিল? বিশেষ করে যে-দেশে ৩৫ কোটি মানুষের গড় আয় দৈনিক মাত্র ৭৫ টাকা, যেখানে একৃ-তৃতীয়াংশ মানুষের ঘরে ঠিকমত বিদ্যুতের জোগান নেই, স্বাস্থ্য পরিষেবা নড়বড়ে, সেখানে মঙ্গল অভিযানে কী লাভ হবে? চীন-পন্থীদের মতে, চীন শুধু সামরিক দিক থেকে শক্তিধর দেশ নয়, মানুষের জীবনের মানও উন্নত৷ শুধু মঙ্গল অভিযানে বৃহৎ শক্তি হওয়া যায় না৷ দরকার সর্বাত্মক উন্নতি৷

সত্যিই কী ভারতের মঙ্গল অভিযানে সামাজিক কল্যাণ নেই৷ ভারতের এক মহাকাশ বিজ্ঞানী তা খণ্ডন করে বলেন, এই অভিযান সফল হলে তার লাভ হবে একাধিক৷ যেমন টিভি সম্প্রসারণ, উপগ্রহ-ভিত্তিক যোগাযোগ, টেলি-এডুকেশন, টেলি-মেডিসিন, আবহাওয়া, প্রতিরক্ষা, বিপর্যয় মোকাবিলা ব্যবস্থাপনা, তেল-গ্যাস ও খনিজ পদার্থ অনুসন্ধান, কৃষি এবং ভূ-পর্যবেক্ষণ ইত্যাদি৷

দক্ষিণী রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা মহাকাশ কেন্দ্র থেকে উৎক্ষেপিত মঙ্গলযান ‘মঙ্গলায়ন' সাফল্যের সঙ্গে প্রথম ধাপ পেরিয়ে পৃথিবীর কক্ষপথে স্থাপিত হয়৷ দ্বিতীয় ধাপে ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে প্রবেশ করবে মঙ্গলের কক্ষপথে৷ এর পরের ধাপ, মঙ্গলের বুকে ঠিকমত অবতরণ৷ তিনটি পরীক্ষাই কঠিন৷ তারমধ্যে একটি পার করেছে, আরো দুটি পার করতে হবে মঙ্গলায়নকে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য