1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মহিলাদের ট্রাউজার্স, অর্থাৎ প্যান্ট পরার ইতিহাস সুদীর্ঘ

২৬ সেপ্টেম্বর ২০১০

তার প্রমাণ খোদ প্যারিসের একটি পুলিশী আইন, ২০০ বছরের পুরনো৷ আজও নাকি সেই আইন বাতিল করা হয়নি৷ কাজেই খাতায় কলমে প্যারিসে মহিলাদের প্যান্ট পরা আইনবিরুদ্ধ!

https://p.dw.com/p/PMrx
মহিলাদের প্যান্টস্যুটের স্রষ্টা ঈভ স্যাঁ লরাঁ; ছবিতে ডান দিকে ফরাসি অভিনেত্রী ক্যাথরিন দেনোয়েভ, বাঁয়ে ফ্যাশন মডেল লেটিৎসিয়া কাস্টা, দুজনেই প্যান্টস্যুট পরেছবি: AP

ঈভ স্যাঁ লরাঁ শুনলে কি বলতেন, তিনিই জানেন৷ ফ্র্যাংক সিনাত্রার গানের ‘সিজলিং' প্যারিস, ‘ওৎ কুতুর' মানে হাই ফ্যাশনের প্যারিস, সেখানে মহিলারা প্যান্ট পরবেন না, এটা বলার মতো ধৃষ্টতা কার হতে পারে?

হয়েছিল৷ সে একেবারে ফরাসি বিপ্লবের সময়কার কথা৷ ক্রিস্টিয়ান বার্ড'এর সদ্য প্রকাশিত ‘‘ট্রাউজার্সের রাজনৈতিক ইতিহাস'' পড়লেই সব জানতে পারবেন৷ ট্রাউজার্স ছিল যুগ যুগ ধরে পুরুষদের আধিপত্য আর নারী-পুরুষের মধ্যে বৈষম্যের প্রতীক৷ উনবিংশ শতাব্দীতে ফরাসি লেখিকা জর্জ স্যান্ড এক ধরণের রাজনৈতিক প্রতিবাদ হিসেবেই প্যান্ট পরতেন৷ বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে, এই ধরুন ১৯৩৩ সাল নাগাদ জার্মান অভিনেত্রী মার্লিন ডিট্রিশ হলিউডে প্যান্ট পরছিলেন৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মহিলারা কারখানায় কাজ করতে - এবং প্যান্ট পরতে শুরু করলেন৷ তার পরেই যেন বাঁধ ভেঙে গেল৷

Bundeskanzlerin Angela Merkel mit Hillary Clinton
দুই প্যান্টস্যুটধারিণী: জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টনছবি: AP

ষাটের দশকে মহিলাদের ট্রাউজার্স এলো ফ্যাশনে, নামল ক্যাটওয়াকে৷ সত্তরের দশকে এলো ব্লু জীনস - যার বেশী কিছু বলার দরকার পড়ে না৷ ফেরা যাক ঈভ স্যাঁ লরাঁ'র কথায়৷ তিনি চেয়েছিলেন মেয়েদের জন্য পুরুষদের ওয়ার্ড্রোব সৃষ্টি করতে: তা'তে কোট-প্যান্ট-স্যুট-টাই, সব কিছু থাকবে৷ আর আগামীতে কি আসতে চলেছে জানেন? পুরুষদের জন্য মহিলাদের স্কার্ট!

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম