1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মাইক লেই’র ‘সাধারণ জীবন’ নিয়ে অসাধারণ ছবি

১৬ মে ২০১০

শনিবার ছিল মহরত, কান-এ৷ এবং পণ্ডিতরা ইতিমধ্যেই বলছেন যে ব্রিটিশ চিত্রপরিচালক লেই হয়তো তাঁর তৃতীয় কান পুরষ্কার সংগ্রহ করার পথে৷

https://p.dw.com/p/NPMy
মাইক লেইছবি: TOBIS Film

‘এ্যানাদার ইয়ার' বা ‘আরেকটি বছর' ছবিটির কাহিনী এই: টম এবং তার স্ত্রী জেরি বছর চল্লিশেক ধরে দম্পতি৷ তাদের ছেলের নাম জো৷ পরিবারটি থাকে লন্ডনের একটি শহরতলিতে একটি সেমি-ডিট্যাচট বাড়িতে৷ টম পেশায় ইঞ্জিনীয়ার, জেরি হাসপাতালে কাউন্সেলরের কাজ করে৷ আমরা তাদের দেখি বাগান করতে, হয়তো বন্ধুবান্ধবদের মধ্যে কেউ এলো, যেমন জেরির এক একা-থাকা মহিলা বন্ধু, মেরি৷ মেরি'র আবার ওয়াইনের প্রতি একটু বেশী পক্ষপাতিত্ব, আর সেই সঙ্গে বক্ বক্ করে যাওয়া৷ আবার কেন্'ও আসতে পারে৷ সে ওভারওয়েট এবং চেইন স্মোকার, ওদিকে মেরির অনুরাগীও বটে৷

জীবন আশ্চর্য

এই তুচ্ছ উপজীব্য থেকে কোনো বিরাট নাটকীয় ছবি হতে পারে না, এবং সেটা লেই'এর উদ্দেশ্যও নয়৷ শনিবার তিনি তাঁর ছবির প্রেস স্ক্রিনিং'এ সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘মানুষজন তো একঘেঁয়ে নয় - জীবন হল আশ্চর্য৷ যদি বোর হতে চান, তবেই তারা বোরিং৷'' তিনি চিরকালই সাধারণ মানুষদের জীবন নিয়ে ছবি অথবা নাটক তৈরি করতে চেয়েছেন, বললেন লেই৷ - ১৯৯৬ সালে কান'এ ‘সিক্রেটস এ্যান্ড লাইজ' ছবিটির জন্য পাম দ'র বা গোল্ডেন পাম পান৷ তারও আগে ১৯৯৩ সালে ‘নেকেড' ছবিটির জন্য সেরা পরিচালকের পুরষ্কার, ঐ কান'এই৷ ‘আরেকটি বছর' কি আরেকটি পাম দ'র এনে দিতে চলেছে? সেটা সম্ভব বলে ৬৭ বছর বয়সী লেই মনে করেন না৷

যাত্রা

লেই'এর ছবি তৈরি করার পদ্ধতিটি একান্ত নিজস্ব৷ পরিচালক এবং অভিনেতারা বহু মাস ধরে চরিত্রগুলি এবং কাহিনীটা সৃষ্টি করে৷ তারপরে ক্যামেরা চলতে শুরু করে৷ লেই'এর ভাষায়: ‘‘আমি ফিল্ম তৈরী করার যাত্রার মাধ্যমে ফিল্মটি আবিষ্কার করি৷'' এছাড়া তাঁর ছবির কোনো নির্দ্দিষ্ট সূচনা কি অন্ত নেই৷ চরিত্রগুলির জীবন যেন ফিল্ম শুরু হবার আগে এবং পরে বিস্তারিত রয়েছে৷ সিনেমা হল ছাড়ার পরেও যেন দর্শকদের মাথায় ফিল্ম চলতে থাকে৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: জাহিদুল হক