1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মাওবাদীদের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার বনধে আংশিক সাড়া

২৩ মার্চ ২০১০

ভারতের পশ্চিমবঙ্গসহ সাত রাজ্যে মাওবাদীদের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার বনধে আংশিক সাড়া দেখা গেল বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুরে৷

https://p.dw.com/p/MZgC
ফাইল ছবিছবি: AP

পশ্চিম মেদিনীপুরের ভালুকপুনিয়ায় বিস্ফোরণ ঘটিয়ে রবিবার ভোর রাতে ৪৮ ঘণ্টার বনধ শুরু করল মাওবাদীরা৷ মেদিনীপুর এবং গোদাপিয়াশাল স্টেশনের মাঝে এই বিস্ফোরণের জেরে আদ্রা-খড়গপুর লাইনে সোমবার সকাল থেকে বেশ কিছুক্ষণ ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে৷ তারপর বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে গোটা এলাকা তল্লাশি চালানোর পর নিশ্চিন্ত হলে ফের ট্রেন চালু হয়৷ তবে খড়গপুরের সঙ্গে বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার সংযোগ রক্ষাকারী এই রেলপথটি ব্রাঞ্চ লাইন হওয়ায় মূল রেলপথে রেল চলাচল বন্ধ হয়নি৷ পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গল মহল এলাকার বেশ কিছু জায়গাতেই এদিন নাশকতার চেষ্টা চালায় মাওবাদীরা৷

রবিবার গভীর রাতে বাঘঝাঁপা গ্রামে সশস্ত্র মাওবাদীদের একটি দল হামলা চালায়৷ আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় দুই সিপিএম কর্মীর বাড়িতে৷ মারধর করা হয় দুই সিপিএম সমর্থককে৷ বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়ার মাওবাদী প্রভাবিত এলাকাতেও এদিন বনধের যথেষ্ট প্রভাব পড়ে৷ ট্রেন-বাস বন্ধ থাকায় বাঁকুড়া সদর, বিষ্ণুপুর মহকুমায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়৷ বাঁকুড়ার সারেঙ্গা এলাকায় বনধ ছিল সর্বাত্মক৷ শালবনিতে রাস্তার ওপর গাছের গুঁড়ি ফেলে যান চলাচল বন্ধ করে দেয় মাওবাদীরা৷ পুরুলিয়ার বান্দোয়ানেও বনধ ছিল সর্বাত্মক৷

পশ্চিমবঙ্গের লাগোয়া ঝাড়খন্ডের ঘাটশিলাতেও, রায়পাহাড়ি এবং কুরলিসুতা গ্রামের মধ্যে একটি সেতুপথ ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণ ঘটিয়ে উড়িয়ে দেয় মাওবাদীরা৷ ঝাড়খন্ডের রাঁচি, জামশেদপুর এবং ধানবাদে বনধের আংশিক প্রভাব পড়ে৷

মাওবাদীদের বিরুদ্ধে কেন্দ্র-রাজ্য যৌথ বাহিনীর অপারেশন গ্রিন হান্টের বিরুদ্ধে জন সচেতনতা গড়তে এবং জনবিরোধী কেন্দ্রীয় বাজেটের প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, বিহার, ঝাড়খন্ড, ছত্তিসগড়, অন্ধ্র প্রদেশ এবং মহারাষ্ট্রের তিন জেলায় ৪৮ ঘণ্টার এই বনধের ডাক দিয়েছে মাওবাদীরা৷ কিন্তু অপারেশন গ্রিন হান্ট এদিনও বন্ধ থাকেনি৷ বিশেষ করে ওড়িশায়, বি এস এফ, সি আর পি এফ, এবং কোবরা ও গ্রেহাউন্ড-এর মত বিশেষ নকশাল দমন কম্যান্ডো বাহিনী এদিন একযোগে মালকানগিরি অঞ্চলে তাদের অভিযান জোরদার করেছে৷

এদিকে, এদিন রাজ্য বিধানসভায় বাজেট প্রস্তাব পেশ করেন অর্থমন্ত্রী অসীম দাশগুপ্ত৷ ২০১১ সালের ভোটের আগে শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেটে সংখ্যালঘু এবং তফশিলি জাতির জন্য ঢালাও ভর্তুকি বরাদ্দের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে৷ কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়করা বাজেট বক্তৃতা শুরুর আগে থেকেই অধিবেশন কক্ষের ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন৷ তারপর একসঙ্গে ওয়াক আউট করেন তাঁরা৷ বিরোধীশূন্য বিধানসভাতেই বাজেট পেশ হয়৷

প্রতিবেদক: শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক