1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মাতৃভাষাকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে নিয়ে যাওয়া

২১ ফেব্রুয়ারি ২০১১

ভাষার জন্য রক্ত৷ ভাষার জন্য বুক পেতে পুলিশের গুলি৷ মাতৃভাষাকে ঘিরে এই উন্মাদনা, এই আবেগের গর্ব গোটা পৃথিবীর অন্য কোন জাতের নেই৷ আছে শুধুমাত্র বাঙালির৷

https://p.dw.com/p/10Kxa
ভাষা আন্দোলনের ছবির প্রদর্শনীছবি: AP

বাঙালিই পেরেছে মাতৃভাষাকে বিশ্বের দরবারে রাজসিংহাসনে বসাতে৷ তার মাথায় তুলতে সেরার মুকুট৷ ‘আ মরি বাংলাভাষা/ মোদের গরব মোদের আশা..'

গোটা বিশ্বে বাংলার অবস্থান প্রথম দশটি ভাষার মধ্যে৷ তার আগে রয়ে গেছে আরও কয়েকটি ভাষা৷ এই অবস্থান কীসের ভিত্তিতে? সংখ্যার ভিত্তিতে৷ ঠিক কতজন এই ভাষায় কথা বলেন, তার ওপরই নির্দ্ধারিত হয় ভাষার অবস্থান৷ সেই অবস্থানে প্রথমে আসার সম্ভাবনা আমাদের কোনদিন নেই, দ্বিতীয়তেও না, কিংবা তৃতীয়তে৷ কারণ, সংখ্যায় নয়, আমাদের, আমাদের বাংলা ভাষার আসল গৌরব তার কৃতিত্বে৷ যে কৃতিত্বের সাক্ষী ছিল ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন৷

ভাষা আন্দোলন, তাতে পুলিশের গুলি তরুণ ছাত্রদের ওপর৷ ঢাকা নগরীতে শহীদের মিছিল৷ তারপর দীর্ঘ ৫৯ বছর পার হল৷ আজও কিন্তু প্রাসঙ্গিকতা হারায় নি সেদিনের আন্দোলন৷ বাংলাকে নিজের প্রাণের মত, শরীরের খুনের মত ভালোবাসতে পারার যে অনুভূতি এই ভাষা আন্দোলন দিয়েছিল, সেই গভীরের অনুভূতি আজও প্রতিটি বাঙালির প্রাণে আছে৷ হয়তো বা আমাদের জিনের মধ্যেও সেটা চারিয়ে গেছে৷ চারিয়ে গেছে এই ভাষাকে ভালোবাসার ব্যাপারটা৷

আসলে মাতৃভাষাকে কে না ভালোবাসে? বিশ্বের সব জনগোষ্ঠীই এই মাতৃভাষাকে ভালোবাসার অনুভূতি পায়৷ সেটা কোন নতুন কথা নয়৷ নতুন কথা হল, সেই ভালোবাসাকে সপ্রমাণ করা৷ যা বাঙালি করেছে ১৯৫২ তে৷ যা বিশ্বের সকলের সামনে বাংলাভাষার আসনকে অনেক উঁচু করেছে৷ ভাষা আন্দোলনকে, তার শহীদদের সম্মান জানিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষিত হয়েছে ২১ ফেব্রুয়ারি৷ আমার ভায়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি৷

মাতৃভাষার প্রতি এই ভালোবাসা বাঙালির উত্তরাধিকার৷ ভাষা আন্দোলন বাঙালির ঋণ৷ আবার এই ভালোবাসাকে প্রজন্মের পর প্রজন্ম চারিয়ে নিয়ে যাওয়া তাই হওয়া উচিত ভাষা আন্দোলনের প্রতিটি শহীদের প্রতি বাঙালির ঋণশোধ৷

প্রতিবেদন : সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: জাহিদুল হক