মাদার টেরেসার স্মৃতি ও সৌধ
মাদার টেরেসার জন্ম স্কোপিয়ের একটি আলবেনীয় পরিবারে৷ ম্যাসিডোনিয়া, আলবানিয়া ও কোসোভোয় তাঁর নামে রাস্তা আছে, আছে নানা স্মৃতিসৌধ, এমনকি একটি মোটরওয়ে৷
স্কোপিয়ে, যেখানে সব কিছুর সূচনা
মাদার টেরেসার জন্মের পর তাঁর পারিবারিক নাম ছিল আগনেস গনজে বোইয়াশিহু৷ জন্ম হয় ম্যাসিডোনিয়ার বর্তমান রাজধানী স্কোপিয়েতে৷ জন্মের বাড়িটি ১৯৬৩ সালের বিধ্বংসী ভূমিকম্পে ধুলিসাৎ হয়ে গেছে৷ সেই জায়গায় এখন একটি স্মৃতিফলক বসানো আছে৷ ফলকে মাদার টেরেসার সুবিখ্যাত উক্তিটি উৎকীর্ণ করা আছে, ‘‘বিশ্ব শুধু রুটির জন্য ক্ষুধিত নয়, প্রেমের জন্যও বটে৷’’
‘‘মাদার টেরেসা ভবন’’
১৯৬৩ সালের ভূমিকম্পের আগে এখানে যে ক্যাথলিক গির্জাটি ছিল, সেখানে মাদার টেরেসাকে ‘ব্যাপটাইজ’ করা হয়েছিল৷ আজ ‘‘মাদার টেরেসা ভবন’’ সে-কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়৷
মিশনারিস অফ চ্যারিটি সম্প্রদায়ের পোশাকে মাদার টেরেসা
মাদার টেরেসা স্মারক ভবনটির সামনেই মাদারের মিশনারি বেশধারী মূর্তি৷ ১৯৭৯ সালে শান্তি নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি৷ তাঁর প্রতিষ্ঠিত সম্প্রদায় আজও সারা বিশ্বে সক্রিয়, স্কোপিয়েতেও৷
ম্যাসিডোনিয়ায় মাদার টেরেসার নামে নতুন মোটরওয়ে
স্কোপিয়ে থেকে কলকাতা অনেকটা পথ৷ সেই কলকাতাকেই তাঁর জীবন ও কর্মকাণ্ডের কেন্দ্র করেছিলেন মাদার টেরেসা৷ আজ তাঁর নামে যে মোটরওয়েটি তৈরি হচ্ছে, তা একদিন ম্যাসিডোনিয়াকে আলবানিয়া ও বুলগেরিয়ার সঙ্গে যুক্ত করবে৷ প্রকল্পটি সমাপ্ত হবার কথা ২০১৮ সালে৷
পারিবারিক গল্পগাছা
টিরানার হায়দার হাইদি রাস্তার এই বাড়িটিতে মাদার টেরেসা থাকতেন তাঁর মা ও বোনের সঙ্গে, ১৯৩০ থেকে ১৯৪৬ সাল অবধি৷ ১৯৮৯ সালে প্রথমবার আলবানিয়া সফরে এসে মাদার এই বাড়িটিও পরিদর্শন করেন৷
টিরানার মাদার টেরেসা চত্বর
আলবানিয়ার রাজধানীর দ্বিতীয় বৃহত্তম স্কোয়ার মাদার টেরেসার নাম বহন করছে৷
মাদারের নামে বিমানবন্দর
২০০৩ সালে টিরানা বিমানবন্দরের নামকরণ করা হয় মাদার টেরেসার নামে৷ এটি আলবানিয়ার একমাত্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর৷
প্রিস্টিনাতেও মাদারের স্মৃতিতর্পণ
ম্যাসিডোনিয়া আর আলবানিয়ার মতো কোসোভোতেও বিভিন্ন রাস্তা ও চত্বরের নামকরণ করা হয়েছে মাদারের নামে৷ রাজধানী প্রিস্টিনার কেন্দ্রে স্থাপন করা হয়েছে মাদার টেরেসার একটি মূর্তি৷
মাদার টেরেসার নামে ক্যাথিড্রাল
কোসোভোর রাজধানী প্রিস্টিনার এই গির্জাটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় ২০০৩ সালে; উদ্বোধন করা হয় ২০১০ সালে৷ কোসোভোর বাসিন্দাদের মাত্র পাঁচ শতাংশ ক্যাথলিক সম্প্রদায়ভুক্ত, বাকিরা ইসলাম ধর্মাবলম্বী৷