1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মানুষ না মেশিন কার সিদ্ধান্ত হবে চুড়ান্ত !

১ মার্চ ২০১১

বিশ্বকাপসহ বিভিন্ন খেলাতে এখন ব্যবহার করা হচ্ছে ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম বা ডিআরএস৷ সাধারণত খেলাকে নির্ভুল করার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে এই পদ্ধতি৷ কিন্তু প্রশ্ন দেখা দিয়েছে তবে কার রায় হবে চুড়ান্ত? মানুষের না মেশিনের!

https://p.dw.com/p/10RHh
আম্পায়ারদের ভূমিকা দিন দিন গৌণ হয়ে যাচ্ছেছবি: AP

সাধারণত আম্পায়ারকে হতে হয় নিরপেক্ষ, সুদৃষ্টিসম্পন্ন, সুদক্ষ এবং সুবিবেচক৷ কিন্তু মাঝেমাঝে দেখা যায়, বিভ্রান্তিতে পড়তে হয় আম্পায়ার বেচারাকে৷ আর হবেই না বা কেন? খেলার মাঠে এত দ্রুত সবকিছু ঘটে যায় যে, আম্পায়ারের নিজেরও মনে হতে পারে ঘটনাটা যদি আরেকবার দেখা যেত? আর যে খেলোয়াড়ের বিপরীতে যায় আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত তাঁর কিংবা তাঁর ভক্তদের তো কথাই নেই৷ মানতে নারাজ তারা আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত৷ কিন্তু সমাধান কী? এখন অবশ্য এই সমাধানটা সবাই জানেন৷ এত ভাবনা চিন্তার কী আছে? ভিডিও আছে না! খেলার শুরু থেকে শেষ সব কিছুই তো রেকর্ড থাকছে৷ দেখা হোকনা কেন একটু আগে আসলে কী ঘটেছিল? টেলিভিশনে বারবার দেখানো হতে থাকে একটু আগে ঘটে যাওয়া দৃশ্যটি৷ তারপর যদি টেলিভিশন বলে আম্পায়ার ঠিকই দেখেছেন৷ তাহলে বেঁচে যান আম্পায়ার বেচারা৷ কিন্তু মাঝখানে নষ্ট হয় কিছু সময়৷ আর যদি দেখা যায়, তাঁর সিদ্ধান্তটি সঠিক ছিলনা, তাহলেতো আম্পায়ারকে পড়তে হয় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে৷

তাই কেউ কেউ বলছেন এরমানে কী দাঁড়াচ্ছে? তবে কি টেলিভিশনের বিচারই চূড়ান্ত?

২০০৯ সালে নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তানের মধ্যে টেস্ট খেলার সময় সিদ্ধান্ত পর্যালোচনার এই পদ্ধতি প্রথমবারের মতো ব্যবহার করা শুরু হয়৷ আর এবার বিশ্বকাপেও ব্যবহৃত হচ্ছে এই পদ্ধতি৷ কিন্তু ভারতীয় দলের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি বিশ্বাস করছেন, এই পদ্ধতিটি সঠিক কোনো পন্থা নয়৷ রোবাবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলার সময় এই পদ্ধতি ব্যবহার করার জন্য তাঁদের এক উইকেট পড়ে যায়৷ কিন্তু তাঁদের দলের কেউই ঐ উইকেট পড়ার ক্ষেত্রে যন্ত্রের এই সিদ্ধান্তকে মেনে নিতে পারছেননা!

প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক