1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মার্কিন-ইসরায়েলি সম্পর্কে সংকট দেখেন না ওবামা

১৮ মার্চ ২০১০

প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা মার্কিন-ইসরায়েলি সম্পর্কে কোনো রকম সংকটের কথা অস্বীকার করেছেন৷ অথচ জেরুসালেমে নতুন বসতি নির্মাণের ব্যাপারে ওয়াশিংটনের উত্তপ্ত অভিযোগের পরেও, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এখনও নীরব৷

https://p.dw.com/p/MW8e
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা (ফাইল ছবি)ছবি: AP

বার্তামাধ্যমগুলোর ভাষায় : জেরুসালেমে বসতি নির্মাণ প্রসঙ্গ ইতিমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েলের মধ্যে ‘শোডাউনে' পরিণত হয়েছে৷ বিশেষ করে ঐ বসতি নির্মাণের ঘোষণা যে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন-এর সফরের সময়েই করা হয়, তা দৃশ্যত ওয়াশিংটনে গভীর ঊষ্মার সৃষ্টি করে৷ স্বয়ং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন গত সপ্তাহে নেতানিয়াহু'কে টেলিফোনে বলেন যে, বাইডেনের প্রতি ইসরায়েলের এই আচরণ একটি ‘‘গভীরভাবে নেতিবাচক সঙ্কেত'' পাঠিয়েছে৷ এবং এ-সপ্তাহে তিনি মস্কো যাত্রার আগে নেতানিয়াহু'র সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেননি, যদিও প্রত্যাশা সেইরকমই ছিল৷ কেন, তার ব্যাখ্যা পাওয়া যায় স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র মার্ক টোনার-এর কাছ থেকে, ক্লিন্টনের যাত্রা শুরু হবার পরে৷ টোনার রিপোর্টারদের বলেন, ‘‘আমরা এখনও একটি প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় আছি, কিন্তু এখনও তা' আসেনি৷'' প্রতিক্রিয়া বলতে ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া৷

বিশেষ বন্ধন'

এই অবস্থায় প্রেসিডেন্ট ওবামা পুরো বিরোধটির ব্যাপারে প্রথমবার প্রকাশ্যে মন্তব্য করেছেন৷ মার্কিন ফক্স নিউজের সাক্ষাতকারে ওবামা বলেন, ‘‘ইসরায়েল আমাদের ঘনিষ্ঠতম মিত্রদের মধ্যে গণ্য৷ ইসরায়েলের জনগণ এবং আমাদের মধ্যে একটি বিশেষ বন্ধন আছে, যা শেষ হয়ে যাবে না৷ কিন্তু বন্ধুদের মধ্যেও মাঝেমধ্যে মতানৈক্য হয় এবং আমি ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন'কে বিশেষ করে ইসরায়েলে পাঠিয়েছিলাম এই সমর্থন এবং আশ্বাসের বার্তা নিয়ে যে, ইসরায়েলের নিরাপত্তা অলঙ্ঘনীয় এবং আমাদের বহু যৌথ স্বার্থ আছে বলে আমার বিশ্বাস৷ মতানৈক্য যা আছে, তা' শান্তি প্রক্রিয়ায় প্রগতির পথ নিয়ে৷''

ওবামা'র নিজস্ব পরিকল্পনা ?

এমনকি ওবামা উল্লেখ করেন যে, জেরুসালেমে নতুন আবাসনগুলির ঘোষণা এসেছিল ইসরায়েলের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে, এবং নেতানিয়াহু ক্ষমাপ্রার্থনা করেছেন৷ ওদিকে ওয়াশিংটনে ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত মাইকেল ওরেন, যিনি ইতিপূর্বে মার্কিন-ইসরায়েল সম্পর্ক ঐতিহাসিক বিচারে তার সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছনোর কথা বলেছিলেন, তিনিও এবার নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকার জন্য লিখিত একটি প্রবন্ধে বলেছেন : ওয়াশিংটন এবং ইসরায়েলের মধ্যে সম্পর্ক ‘‘ক্ষেত্রবিশেষে মতানৈক্য সামলে উঠতে পারে এবং তদ্সত্ত্বেও অনাক্রম্য থাকতে পারে৷'' নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকার খবর অনুযায়ী, হোয়াইট হাউস ইসরায়েলি-ফিলিস্তিনি আলাপ-আলোচনার ভিত্তি হিসেবে একটি মার্কিন পরিকল্পনা পেশ করার কথা ভাবছে - এবং সেই পরিকল্পনায় নাকি রাজ্যাঞ্চলের মানচিত্রও থাকবে৷ অবশ্য ওবামা'র এই নিজস্ব পরিকল্পনা পেশ হবার আগে মধ্যপ্রাচ্যে তাঁর দূত জর্জ মিচেল'কে প্রচুর কাঠখড় পোড়াতে হবে৷

প্রতিবেদক : অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা : দেবারতি গুহ