1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মার্কিন শান্তি প্রক্রিয়ায় সাড়া দেবে ফিলিস্তিন : আব্বাস

১ ফেব্রুয়ারি ২০১০

ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস জানিয়েছেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় নতুন করে শান্তি প্রক্রিয়ায় সাড়া দেবেন তাঁরা৷

https://p.dw.com/p/LoyF
বার্লিনে ম্যার্কেল ও আব্বাসছবি: AP

সোমবার বার্লিনে জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন৷ এদিকে, চ্যান্সেলর ম্যার্কেল বলেছেন, নতুন এ শান্তি প্রক্রিয়াকে স্বাগত জানাবে জার্মানি৷

ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে দুই জাতির জন্য দুটি পৃথক স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় নতুন করে শান্তি আলোচনা শুরুর মার্কিন প্রস্তাবে খুব শিগগিরই সাড়া দেবে ফিলিস্তিন৷ বার্লিনে জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস একথা জানিয়েছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত মিচেলের কাছ থেকে একটি প্রস্তাব আছে....আমরা এটা পর্যালোচনার, আমাদের ভাই এবং বন্ধুদের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনার এবং তারপর আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আমাদের অবস্থান জানানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছি৷''

তবে একইসঙ্গে ২০০৩ সালের ইসরায়েল-ফিলিস্তিন শান্তিচুক্তির প্রতি ইঙ্গিত করে আব্বাস আরও বলেন, ‘‘ইসরায়েল যদি একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বসতি স্থাপন বন্ধ করে এবং মৌলিক সমঝোতায় ফিরে আসে তাহলে তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আমরা৷''

ওদিকে, মাত্র গত সপ্তাহেই ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট শিমন পেরেসের সঙ্গে আলোচনার সুযোগ হয়েছিল জার্মানির চ্যান্সেলর ম্যার্কেলের৷ আর সোমবার প্রেসিডেন্ট আব্বাসের সঙ্গেও বিশদ আলোচনা করেছেন তিনি৷ মার্কিন মধ্যস্থতা প্রস্তাব সম্পর্কে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন উভয়পক্ষের মনোভাব জেনে ম্যার্কেল সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘‘আমি মনে করি ইসরায়েল এই সম্ভাবনার বিষয়ে ইতিবাচক৷ এখন ফিলিস্তিনিরাও যদি এ বিষয়ে ইতিবাচক হয় তাহলে তা খু্বই ভাল হবে৷''

আব্বাস-ম্যার্কেল বৈঠকে ফিলিস্তিনে জার্মানির অর্থনৈতিক সহায়তা এবং অন্যান্য দ্বিপাক্ষিক বিষয়েও কথা হয়েছে৷ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, একটি জার্মান-ফিলিস্তিন যৌথ অর্থনৈতিক কমিশন গঠনের বিষয়েও একমত হয়েছেন তারা৷ এছাড়া জার্মানি খুব শিগগিরই গাজার বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য জ্বালানি সরবরাহ শুরু করবে বলেও জানিয়েছেন তারা৷

নতুন করে শান্তি আলোচনা শুরুর ওই মার্কিন প্রস্তাব সম্পর্কে ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এতে ফিলিস্তিনিদের দ্বারা শাসিত কিছু ভূখণ্ডে ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণ বন্ধ করা, ইসরায়েলি কারাগারে আটক উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তি এবং গাজায় দৃশ্যত ইসরায়েলি অবরোধ অবস্থার অবসানের আহ্বান জানানো হয়েছে৷

কিন্তু ফিলিস্তিনি নেতৃবৃন্দ বরাবরই বলে আসছে ইসরায়েল যদি পশ্চিমতীরে বসতি নির্মাণ পুরোপুরি বন্ধ না করে তাহলে কোনো ধরণের শান্তি আলোচনাতেই যাবে না তারা৷ প্রেসিডেন্ট আব্বাস বলেছেন, আরব অধ্যুষিত পূর্ব জেরুজালেমে বসতি নির্মাণ সাময়িকভাবে স্থগিত করাই যথেষ্ট নয়৷ শান্তি আলোচনার পরিবেশ সৃষ্টিতে ইসরায়েলকে আরও এগিয়ে আসতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি৷

প্রতিবেদন : মুনীর উদ্দিন আহমেদ, সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন