1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মার্কিন সরকার ব্যর্থ!

১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪

যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে অবৈধ প্রবেশ ঠেকাতে মার্কিন সরকার ব্যর্থ, এই অভিযোগে সীমান্ত পাহারায় নেমেছে বেসামরিক গোষ্ঠী৷ তবে তাদের এই উদ্যোগ নিয়ে বিতর্ক রয়েছে৷

https://p.dw.com/p/1DBmz
Minderjährige illegale Einwanderer aus Mexiko
ফাইল ফটোছবি: Reuters

উন্নত জীবনের আশায় মেক্সিকো থেকে লোকজন প্রায়ই যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকার চেষ্টা করেন৷ তাঁদের আগমন ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তে রয়েছে ইউএস বর্ডার পেট্রোল৷ কিন্তু তাদের উপর আস্থা রাখতে পারছেন না সীমান্ত এলাকার নাগরিকরা৷ তাই সীমান্ত পাহারায় গঠিত হয়েছে বিভিন্ন গোষ্ঠী৷

এক হিসেবে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস থেকে ক্যালিফোর্নিয়া পর্যন্ত দীর্ঘ সীমান্ত পাহারায় ২২টির মতো গোষ্ঠী কাজ করছে৷

সশস্ত্র গোষ্ঠী

বেসামরিক উদ্যোগে গঠিত হলেও এ সব গোষ্ঠীর হাতে রয়েছে রাইফেল, পিস্তল, যোগাযোগের যন্ত্রপাতি, চলাচলের জন্য ইউটিভি (ইউটিলিটি টাস্ক ভেহিকল) ইত্যাদি৷ বার্তা সংস্থা রয়টার্স সম্প্রতি ‘প্যাট্রিয়টস' নামের এমনই একটি গোষ্ঠীর ক্যাম্প পরিদর্শনের সুযোগ পায়৷ ক্যাম্পটি টেক্সাসের ব্রাউনসভিল অঞ্চলে অবস্থিত৷ সেখানে গিয়ে রয়টার্সের সাংবাদিক গোষ্ঠীর কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন৷ উইল নামের একজন ঐ সাংবাদিককে জানান, ‘‘সীমান্ত এলাকায় কাউকে দেখা মাত্র আমরা তাঁদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানান দেই যে আমরা আছি৷''

তবে এসব গোষ্ঠীর কাজকর্ম নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে অনেক আলোচনা শুরু হয়েছে৷ একপক্ষ বলছে এর ফলে মার্কিন সীমান্তরক্ষীদের কাজে সহায়তা হচ্ছে৷ আর সশস্ত্র হওয়ার কারণে আরেকপক্ষ তাদের ‘মিলিশিয়া', ‘ভিজিলান্টে' ইত্যাদি নামে ডাকছে৷

এ সব নামে আপত্তির কথা জানিয়েছেন প্যাট্রিয়টস-এর ‘হাগি বিয়ার' নামে ২৫ বছর বয়েসি মার্কিন সেনাবাহিনীর সাবেক সেনা৷ বোঝাই যাচ্ছে এটি তাঁর আসল নাম নয়৷ তিনি রয়টার্সকে বলেন, ‘‘যাঁরা এমন নামে ডাকেন তাঁদের কাছে ঠিক তথ্য নেই৷ তাঁরা মনে করেন, আমাদের কাজ হলো সীমান্ত পার হতে যাওয়া কোনো ব্যক্তিকে দেখলেই গুলি করে হত্যা করা৷ কিন্তু এটা ঠিক কথা নয়৷

‘‘আমাদের কাজ হলো অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের ঢুকতে না দেয়া৷ আমাদের দেখে তারা (প্রবেশকারীরা) বুঝতে পারে না যে আমরা আসলে বর্ডার পেট্রোলের লোক নয়,'' বলেন হাগি বিয়ার৷

এদিকে, এসব গোষ্ঠীর কাজ নিয়ে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি নিরাপত্তা বাহিনীও৷ টেক্সাসের এক ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা এ নিয়ে তাঁদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘এ সব গোষ্ঠীর কর্মীরা সশস্ত্র হওয়ায় পুলিশের পক্ষে তাঁরা আসলে কারা সেটা অনেক সময় বোঝা সম্ভব হয় না৷ এতে ভবিষ্যতে কোনো এক সময় তাদের সঙ্গে আমাদের গোলাগুলি হয়ে প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটতে পারে৷''

অর্থ আসে কোথা থেকে?

বেশিরভাগ সময় এ সব গোষ্ঠী সীমান্ত এলাকায় অবস্থিত কারও ব্যক্তিগত জমিতে ক্যাম্প স্থাপন করে৷ ঐ সব জমির মালিকরাই তাঁদের নিরাপত্তার জন্য এ সব গোষ্ঠী নিয়োগ করে থাকে৷ এছাড়া অনেক সময় গোষ্ঠীর সদস্যরা নিজেরাই পরিচালন ব্যয় মিটিয়ে থাকেন৷ আবার সমমনা অনেকেও এক্ষেত্রে অর্থ সহায়তা দিয়ে থাকে৷ রয়টার্সের সঙ্গে আলাপকালে সীমান্ত এলাকার কয়েকজন তাঁদের এলাকায় এ ধরনের গোষ্ঠীর উপস্থিতির কারণে নিরাপদে থাকার কথা জানিয়েছেন৷

জেডএইচ/ডিজি (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য