1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা সোমবারও চলবে’

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২৯ ডিসেম্বর ২০১৩

বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে ঢাকায় একজন প্রাণ হারিয়েছেন৷ আর বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া কর্মসূচির অংশ হিসেবে নয়াপল্টনে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাঁকে আটকে দেয়৷

https://p.dw.com/p/1Ai7d
Bangladesch Khaleda Zia vor den Wahlen
গুলশানে বাড়ির সামনে খালেদা জিয়াছবি: DW/M. Mamun

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া নয়াপল্টনে তাঁর দলের কার্যালয়ের সামনে যাওয়ার জন্য গুলশানের বাসা থেকে বের হন স্থানীয় সময় বিকেল তিনটার দিকে৷ এরপর তিনি গাড়িতে উঠে রওয়ানা দিতে চাইলে পুলিশ সদস্যরা তাঁকে বাড়ির গেটে আটকে দেন৷ তারা জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া তাঁকে যেতে দেয়া হবে না৷ খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা দলের সদস্য কর্নেল (অব.) আব্দুল মজিদ জানান, তারা পুলিশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন৷ তবে পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম ডয়চে ভেলেকে জানান, নয়াপল্টনে কোন জমায়েত বা সমাবেশের অনুমতি নেই৷ তাই বিরোধী দলীয় নেত্রীকে সেখানে যেতে দেয়া হবে না৷ আর তাঁর নিরাপত্তার বিষয়টিও পুলিশের দেখার আছে৷

Bangladesch Khaleda Zia vor den Wahlen
বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া কর্মসূচির অংশ হিসেবে নয়াপল্টনে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাঁকে আটকে দেয়ছবি: DW/M. Mamun

খালেদা জিয়া বাসার সামনে তাঁর গাড়ির ভেতরেই কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেন৷ এরপর তিনি গাড়ি থেকে নেমে পায়ে হেঁটে পুলিশ বেষ্টনীর কাছে যান৷ তিনি পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন এবং দাঁড়িয়ে থাকেন৷ এরপর গণমাধ্যমের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে বাড়ির ভেতর ফিরে যান বিএনপি চেয়ারপার্সন৷ এসময় তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘এই সরকার জালেম এবং অগণতান্ত্রিক৷ এই সরকারের পতন হবেই৷’’ তিনি ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ সোমবারও চলবে বলে ঘোষণা দেন৷

এদিকে, রবিবার সকাল ১১টার দিকে ঢাকার মালিবাগে পুলিশ আর জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে৷ মালিবাগ রেলগেট এলাকা ও আবুল হোটেল এলাকার কয়েকটি গলি থেকে শিবির কর্মীরা মিছিল বের করলে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়৷ সংঘর্ষে মনসুর আলী নামে এক ব্যক্তি নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে৷ পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কর্মীরাও সংঘর্ষে অংশ নেয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান৷ রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কৃপা সিন্ধু বালা জানান, পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ বাধ্য হয়ে অ্যাকশনে যায়৷

এছাড়া, সুপ্রিমকোর্টের বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা মূল গেট দিয়ে মিছিল করে নয়াপল্টনে যেতে চাইলে পুলিশ তাদের জল কামান ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে আটকে দেয়৷ এরপর তারা ভিতরে গিয়ে পুলিশের প্রতি ইট পাটকেল ছোড়ে৷ এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগের একদল সমর্থক সুপ্রিমকোর্ট চত্বরে ঢুকে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়৷ সেখানে কয়েকজন আইনজীবী আহত হন৷

এর আগে, প্রেসক্লাব থেকে বিএনপিপন্থি সাংবাদিকরা মিছিল নিয়ে নয়াপল্টনে যেতে চাইলে তাদেরও বাধা দেয় পুলিশ৷ প্রেসক্লাবের সামনের এলাকায় পুলিশের সঙ্গে আইনজীবীদের কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়েছে৷ দুপুরের দিকে প্রেসক্লাবের ভেতরে ও বাইরে সাংবাদিকদের ওপর আওয়ামী লীগের কর্মীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে৷

উল্লেখ্য, রবিবার সকাল থেকেই ঢাকার সব প্রবেশ পথে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এবং আওয়ামী লীগের কর্মীরা অবস্থান নেন৷ ঢাকাসহ দূরপাল্লার যানবাহন আগে থেকেই বন্ধ করে দেয়া হয়৷ আর ব্যাপক তল্লাশির মুখে পড়েন সাধারণ মানুষসহ ১৮ দলের নেতা-কর্মীরা৷ ফলে ১৮ দলের নেতা-কর্মীরা কার্যত ঢাকায় ঢুকতে পারেনি৷

আর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের চারপাশ ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা বলয় তৈরি করায় ১৮ দলের কেউ সেখানে ঘেঁষতে পারেনি৷ মহিলা দলের একটি মিছিল সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করলে কয়েকজনকে আটক করা হয়৷

ঢাকা শহর এখন দৃশ্যত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এবং আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে৷ বিএনপির নেতা কর্মী বা শীর্ষ নেতাদের মাঠে দেখা যাচ্ছেনা৷ পুলিশ তাদের মাঠে নামতে দিচ্ছে না বলে জানিয়েছে বিএনপি নেতারা৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য