1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিশরের তরুণ প্রজন্মের স্বপ্ন তাদেরই সফল করতে হবে

১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১১

নতুন শতাব্দের প্রথম সফল বিপ্লবের জন্ম দিল মিশর৷ আর সেই বিপ্লবকে সত্যি সত্যিই ঘটতে দেখল গোটা দুনিয়া৷ প্রশ্ন, এবার কোন পথে যাবে মিশর? যে তরুণ প্রজন্ম এই বিপ্লবকে সত্য করেছে তারা কি উঠে আসবে নেতৃত্বে? এর উত্তর অজানা৷

https://p.dw.com/p/10GQQ
Egyptians, celebrate, President, Hosni, Mubarak, resigned, handed, power, military, Cairo, Egypt, মুবারক, বিদায়, উল্লসিত, কায়রো, মিশর, তরুণ, প্রজন্ম, স্বপ্ন, সফল,
মুবারকের বিদায়ে উল্লসিত কায়রোছবি: dapd

নতুন মিশরের উত্থান, তারুণ্যের মিশর

সেই ছবিই শনিবারের দুনিয়া দেখেছে৷ দেখেছে, গত ১৮ দিন ধরে যে চত্বর থেকে এই বিপ্লবকে বাস্তব করেছে মিশরের তরুণ প্রজন্ম, সেই তাহরির স্কোয়্যারকে তারা নিজেরাই হাত লাগিয়ে পরিষ্কার করছে৷ পোড়া গাড়ি থেকে শুরু করে যাবতীয় আবর্জনা সরাতে ঝাঁটা হাতে নিয়ে পথে নেমে পড়েছে আবালবৃদ্ধবনিতা৷ কাজটাকে তারা দেখছে, দেশের দায়িত্ব পেয়ে কিছু একটা করে দেখানোর মত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে৷ কিন্তু, এ হল তারুণ্যের উৎসাহ আর আবেগের বহিঃপ্রকাশ৷ এটা যথেষ্ট নয়৷

কেন যথেষ্ট নয়?

দরকারি বিষয়৷ আজকের প্রযুক্তি ফেসবুক, টুইটার, ইন্টারনেটকে কাজে লাগিয়ে দেশের সাধারণ মানুষকে জাগিয়ে তুলে যারা এই বিশ্বের প্রথম সফল ডিজিটাল বিপ্লবকে বাস্তবায়িত করল, তাদের কেউ কী আছে মিশরের প্রশাসনে? নেই৷ তাদের কোন প্রতিনিধিত্বই তৈরি হয়নি সেরকমভাবে৷ সেনাবাহিনী গতকালই কথা দিয়েছে, গণতন্ত্রের পথে দেশকে এগোতে তারা সাহায্য করবে৷ ক্ষমতা দখল করে দেশে সামরিক শাসন কায়েম করবে না৷ ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ওয়াশিংটন, সকলেই স্বাগত জানিয়েছে এই বিবৃতিকে৷ কিন্তু তারপর কী? কারা আসবে ক্ষমতায়? নির্বাচনে এই বিপ্লবের যারা রূপকার তারা যদি অংশ না নেয়, তাহলে আবারও এমন বিপ্লব দেখা যাবে মিশরে৷ কারণ তরুণ প্রজন্মের পছন্দ নাও হতে পারে সেই সরকার, যেখানে তারা কোথাও হাজির নেই৷ কারণ, স্বপ্নটা প্রথমে ওরাই দেখেছিল৷ আরও বড় কারণ হল, স্বপ্নটাকে সফল করতে হলে চাই ওদের সক্রিয় অংশগ্রহণ৷

Ägypten Kairo Aufräumarbeiten NO FLASH
মিশরের রাজপথ এখন পরিষ্কার করছেন বিক্ষোভকারীরাইছবি: AP

সেই অংশগ্রহণের প্রস্তুতিও সেভাবে নেই

সেখানেই কিছুটা হলেও মার খেয়ে গেছে মিশরের বিপ্লব৷ কারা সংগঠিত করবে এই বিপ্লব পরবর্তী মিশরকে৷ সেটাই প্রশ্ন৷ ওদিকে আলজেরিয়া কিন্তু মিশরকে দেখেই উদ্বুদ্ধ হচ্ছে৷ তাদের সামনেও একটা উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রাখতে হবে মিশরের তরুণ প্রজন্মকে৷ তারা একনায়কতন্ত্রকে বিদায় করতে সফল হয়েছে৷ কিন্তু তার ঠিক পরের দায়িত্বটা অনেক বেশি গুরুভার৷ সেটা হল দেশকে তরুণদের পছন্দমত করে গড়ে তোলা৷ আজ মিশর যেদিকে যাবে, আগামীকাল আলজেরিয়ার মত দেশগুলোও সেদিকেই পা বাড়াবে৷

আলজেরিয়া চাইছে ১৯ বছরের একনায়কতন্ত্রের অবসান ঘটাতে

কাজটা কিন্তু বেশ কঠিন৷ বিশেষ করে আলজেরিয়ার মত দেশে, যেখানে সরকারপক্ষের মাফিয়া মাস্তানরা রীতিমত প্রতাপশালী৷ প্রেসিডেন্ট বুতেলফিকার জন্য রক্তগঙ্গা বইয়ে দিতে তারা তৈরি৷ যে কারণে আলজিরিয়ার রাজধানী আলজিয়ার্সে শনিবারের মিছিলে মোট হাজার দুয়েক মানুষ অংশ নিয়েছেন৷ আস্তে আস্তে সেদেশেও বিপ্লবের আগুন ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা৷ যদিও ইতিমধ্যেই দমননীতির পথ নিয়েছে সরকার৷ অতএব মিশরের মত জায়গায় আসতে আলজেরিয়ার এখনও বেশ সময় লাগবে৷

প্রতিবেদন : সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা : হোসাইন আব্দুল হাই

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান