1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিশরে পদত্যাগ করলেন মন্ত্রীরা, কিন্তু বিক্ষোভ চলছেই

২৯ জানুয়ারি ২০১১

পঞ্চম দিনের মত আজ শনিবারও মিশর জুড়ে চলছে মুবারক-বিরোধী বিক্ষোভ৷ এরই মধ্যে পদত্যাগ করেছেন মন্ত্রীরা৷ আজই নতুন সরকার গঠনের কথা রয়েছে৷ তবে আন্দোলনকারীরা প্রেসিডেন্ট মুবারকেরই পদত্যাগ চাইছেন৷

https://p.dw.com/p/1071d
মিশর, মুবারক, বিক্ষোভ, egypt
তাহরির স্কোয়ারে সেনা পাহারাছবি: dapd

সর্বশেষ পরিস্থিতি

পুরো দেশ জুড়েই চলছে বিক্ষোভ৷ কায়রো, আলেক্সান্দ্রিয়া, ইসমাইলিয়া, সুয়েজ, রাফাহ সবখানেই বিক্ষোভ চলছে৷ কায়রোর বিক্ষোভস্থল তাহরির স্কোয়ারে হাজার হাজার আন্দোলনকারী জড়ো হয়েছেন৷ তারা মুবারক-বিরোধী স্লোগান দিচ্ছেন৷ আর পাশেই ট্যাঙ্ক নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন সেনা সদস্যরা৷ তবে আজ পুলিশের উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে না৷ যদিও গতকাল শুক্রবার তারাই বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিলেন৷ যে সংঘর্ষে শুধুমাত্র একদিনেই অর্থাৎ শুক্রবারেই নিহত হয়েছেন ৩৮ জন৷ সরকারিভাবেই জানানো হয়েছে এই তথ্য৷ বেসরকারি হিসেবে সেটা আরও বেশি৷ এ নিয়ে আন্দোলন শুরু হওয়ার পর মোট ৪৮ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি৷ তবে আল-জাজিরা’র হিসেবে নিহতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে গেছে৷ নিহতদের মধ্যে সাধারণ জনগণ ছাড়াও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য রয়েছেন৷ যেমন আজ রাফাহ শহরে বিক্ষুব্ধ জনতা পিটিয়ে তিন পুলিশ সদস্যকে মেরে ফেলেছেন বলে জানা গেছে৷

Proteste in Ägypten NO FLASH
ছবি: AP

সরকার ও বিশ্বের প্রতিক্রিয়া

প্রেসিডেন্ট মুবারকের ঘোষণা অনুযায়ী আজ মন্ত্রীরা পদত্যাগ করেছেন৷ এরপর নতুন সরকার গঠনের কথা রয়েছে৷ এদিকে বিক্ষোভ থামাতে রাত্রীকালীন কারফিউ জারি করা হয়েছে৷ যারা কারফিউ ভঙ্গ করবে, তারা বিপদে পড়বে বলে টেলিভিশনে ঘোষণা দেয়া হয়েছে৷ তবে মিশরের নোবেল জয়ী মহম্মদ এল বারাদেই, যিনি একসময় আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা আইএইএ’র প্রধান ছিলেন, তিনি বলছেন, মুবারককে অবশ্যই যেতে হবে৷ প্রয়োজনে মধ্যবর্তী সরকারের প্রধান হতে তিনি রাজি আছেন বলেও জানান৷ আফ্রিকান ইউনিয়ন মিশরের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে৷ আর যুক্তরাষ্ট্র শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ থামাতে মিশরকে পরামর্শ দিয়েছে৷ আর বলেছে, যদি বিক্ষোভ দমাতে সামরিক বাহিনী ব্যবহার করা হয় তাহলে মিশরকে দেয়া সাহায্য কমিয়ে দেয়া হতে পারে৷ উল্লেখ্য, মিশরের সামরিক বাহিনী যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে প্রতি বছর প্রায় ১৩০ কোটি ডলার সাহায্য পেয়ে থাকে৷

ইন্টারনেট যোগাযোগ বন্ধ

দেখতে দেখতে বিক্ষোভ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ার পেছনে ফেসবুক, টুইটারের মতো ওয়েবসাইট সহ মোবাইল নেটওয়ার্কের একটা বেশ বড় অবদান রয়েছে৷ তাই সরকার সেগুলো বন্ধ করে দিয়েছিল৷ তবে আজ আংশিকভাবে দুটি মোবাইল ফোন অপারেটরের কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে৷ কিন্তু ইন্টারনেটের সংযোগ এখনো পাওয়া যাচ্ছে না৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য