1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিশরে সরকারবিরোধী তুমুল বিক্ষোভ শুক্রবার

১০ ফেব্রুয়ারি ২০১১

হোসনি মুবারকের পদত্যাগের দাবিতে তাহরির চত্বরে রাত কাটাচ্ছেন বিক্ষোভকারীরা৷ চলছে শুক্রবারে বড় বিক্ষোভের প্রস্তুতি৷ এদিকে, মিশরের সেনারা গোপনে বিক্ষোভকারীদের আটক করছে বলে অভিযোগ তুলেছে একটি ব্রিটিশ পত্রিকা৷

https://p.dw.com/p/10Epu
বিক্ষোভকারীদের দখলে তাহরির চত্বরছবি: picture alliance/dpa

সর্বশেষ পরিস্থিতি

মিশরের সরকার বিরোধী বিক্ষোভকারীরা কায়রোর তাহরির চত্বর থেকে সরছেন না৷ রাতের বেলা ভীড় কম থাকলেও কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী তাহরির চত্বরেই রাত কাটাচ্ছেন৷ এদিকে, সেদেশের ভাইস-প্রেসিডেন্ট ওমর সুলাইমান সেনা অভ্যুত্থানের যে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বিক্ষোভকারীরা৷ সরকার বিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা পাঁচটি যুবগোষ্ঠীর জোট জানিয়েছে, মুবারকের পদত্যাগের দাবিতে শুক্রবার ব্যাপক গণবিক্ষোভের আয়োজন করা হবে৷ জোটের মুখপাত্র আব্দুল রহমান সমির জানান, তিনি (ভাইস-প্রেসিডেন্ট) সামরিক আইন জারির কথা বলছেন, যার অর্থ হচ্ছে চত্বর ঘিরে যারা আছে, তারা সবাই ধ্বংস হয়ে যাবে৷ এরকম কিছু হলে সাত কোটি মিশরীয় সরকার বিরোধী আন্দোলনে যোগ দেবে বলে পাল্টা হুঁশিয়ারি উচ্চারন করেছেন আব্দুল রহমান৷

Ägypten Kairo Proteste Demonstranten Flash-Galerie
মুবারকের পদত্যাগের আগে রাস্তা ছাড়তে রাজি নয় প্রতিবাদকারীরাছবি: AP

বিক্ষোভকারীদের ধরপাকড়ের অভিযোগ

যুক্তরাজ্যের দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকা এই খবর প্রকাশ করেছে৷ কয়েকজন বিক্ষোভকারী এবং একাধিক মানবাধিকার সংস্থার বরাতে পত্রিকাটির দাবি, গোপনে কয়েক শত প্রতিবাদকারীকে আটক করেছে সেনারা৷ এদেরকে নির্যাতনের ঘটনাও ঘটেছে৷ মিশরের এক মানবাধিকার সংস্থার পরিচালক হাসেম বাঘাত গার্ডিয়ানকে জানিয়েছেন, কারফিউ ভঙ্গের দায়সহ সন্দেহভাজন এমনকি বিদেশিদের মত দেখতে অনেককে আটক করেছে সেনারা৷ আটককৃতদের বৈদ্যুতিক শকসহ বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে৷

পশ্চিমা বিশ্বের প্রতিক্রিয়া

মিশরের সেনাবাহিনীকে আগের দিনগুলোর মতই নিরাবেগ মানে নিয়ন্ত্রিত আচরণ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷ তবে মিশরের জনগণের প্রত্যাশামত প্রয়োজনীয় উদ্যোগ এখনো সেদেশের সরকার নিতে পারেনি বলে মত যুক্তরাষ্ট্রের৷ জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডো ভেস্টারভেলে মিশর সরকারের জরুরী আইন প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন৷ বিক্ষোভকারী এবং সাংবাদিকদের কোনরকম ভীতিপ্রদর্শন থেকে বিরত থাকতেও মিশর সরকারকে অনুরোধ করেছেন তিনি৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান ক্যাথরিন অ্যাশটন মিশরের সংস্কার এবং নিয়মতান্ত্রিক পালাবদলের দিকে গুরুত্ব আরোপ করেছেন৷ তিনি সকল পক্ষের সঙ্গে সংলাপ এবং অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের জন্য মিশর সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: ফাহমিদা সুলতানা

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান