1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিয়ানমারে নির্বাচনের প্রস্তুতি বা প্রহসন

১১ মার্চ ২০১০

এ বছরেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজনের কার্যক্রম শুরু করেছে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকার৷ নিয়োগ দিয়েছে নির্বাচন কমিশনের৷ খুলে দেয়া হয়েছে বিরোধী দলের কয়েকটি আঞ্চলিক কার্যালয়৷

https://p.dw.com/p/MQa3
অং সাং সু চি’কে থামাতে বদ্ধপরিকর সামরিক শাসকগোষ্ঠীছবি: AP

তবে নতুন নির্বাচনের আইন নিয়ে জান্তা সরকারের সমালোচনা আন্তর্জাতিক গোষ্ঠিগুলো৷

নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আইন প্রণয়ন এবং এই আইনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সমালোচনাকে সঙ্গে রেখেই মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকার সে দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দিয়েছে৷ এই আইনের বিরুদ্ধে জনগণকে সোচ্চার হবার আহ্বান জানিয়েছেন বন্দি নেত্রী অং সান সু চি৷ তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে তিনি এই আহ্বান জানান৷

সোমবার ঘোষিত নতুন নির্বাচনী আইনের আওতায় ১৭ সদস্যের এই কমিশন নিয়োগ করা হয়েছে৷ তবে সমালোচকরা বলছেন, এই কমিশন মোটেই নিরপেক্ষ নয়, কারণ সামরিক সরকার তাদের পছন্দমত লোক নিয়োগ করেছে৷ নতুন এই কমিশনের প্রথম কাজটি হবে দীর্ঘ দুই দশকেরও বেশী সময়ের কাঙ্খিত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা৷ যদিও আজই জানানো হয়েছে, জান্তা সরকার ১৯৯০ সালের সাধারণ নির্বাচন বাতিল করেছে৷ যে নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছিল সু চির নেতৃত্বাধীন প্রধান বিরোধীদল দ্য ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি ৷ নতুন নির্বাচন আইনের সঙ্গে আগের নির্বাচনের অসঙ্গতি থাকাকে বাতিল করার কারণ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে৷

বিশ্লেষকরা বলছেন, আগামী অক্টোবর বা নভেম্বরে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে৷

নতুন নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা দিয়ে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, স্টেট পিস এন্ড ডেভলপমেন্ট কাউন্সিল বা জান্তা সরকার সাফল্য মণ্ডিত এবং সুস্থ বহুদলীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজনে নতুন নির্বাচন আইনের আওতায় এই নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছে৷ চলতি বছরেই এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে৷ থান সো নামের এক ব্যক্তিকে এই কমিশনের প্রধান করা হয়েছে৷

মিয়ানমারের নতুন নির্বাচন আইনের সমালোচনা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷ অপরদিকে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন এই নির্বাচনে বন্দি বিরোধী দলীয় নেত্রী অং সান সু চি-কে অংশগ্রহণের অনুমোদন দেবার আহ্বান জানিয়েছে৷ নতুন নির্বাচনী আইনে বলা হয়েছে, আদালতে অপরাধী সাব্যস্ত হয়েছে এমন কোনো ব্যক্তি নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবেন না৷ ফলে নির্বাচনে দাঁড়ানো থেকে বাদ পড়বেন নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী নেত্রী অং সাস সুচি৷ গত ২০ বছরের মধ্যে প্রায় ১৪ বছরই হয় কারাগারে, নয়তো গৃহবন্দি অবস্থায় কাটাচ্ছেন তিনি৷

এদিকে, আজই এক খবরে জানা গেছে, সু চির দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসিকে আঞ্চলিক কার্যালয় খোলার অনুমতি দেয়া হয়েছে৷ ২০০৩ সালের মে মাসে সামরিক কর্তৃপক্ষের সমর্থকরা সু চির গাড়িবহরে হামলা চালানোর পর জান্তা সরকার সেখানে এনএলডির কার্যালয় বন্ধ করে দেয়৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার, সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন